পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৭ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা বে সেই মুহুর্তেই আমার সাহায্য তাহাব প্রয়োজন হইবে । তিনি বাহিবের দিকে পশ্চাৎ করিয়! শয়ন করিয়াছিলেন । নিশ্বাস অত্যন্ত দ্রুত পতিত হই েই ছিল, খুব সম্ভব আমাদের আগমন তিনি বুঝিতে পারেন নাই । আমি ঘুবিয়া তাহার সম্মুখে গিয়া দাড়াইলাম। চক্ষু মুদ্রিত –মুগের আবক্তিম ভাব জবেব প্রবলতার পবিচয় প্রদান কবিতেছিল । শয্যাব নিকট একটুখানি নত হইয়া নাড়ী পরীক্ষাব জন্ত আমি তাঙ্গাব উত্তপ্ত দক্ষিণ হস্ত খানি আপনার অঙ্গুলি দ্বারা টিপিয়া ধবিলাম । সহসা যেন কোন অতিমানসিক বলে বেগী ধড়মড়িয়া উঠিয় বসিয়া সজোরে আমার ললাটে একটা ঘুসি বসাইপ্পা দিল। র্তাঙ্গার চক্ষে এমন ভয়েব ও উদ্বেগেব ভীষণ ভাব ফুটিয়া উঠিয়াছিল, যে আমি আমার ডাক্তার জীবনের অভিজ্ঞতায় অপর কোন বোগর চক্ষে এমন ভয়ানক ভাব কথন ও দেখিয়াছি বলিয়া স্মরণ করিতে পাবি না । আৰ্ত্তস্বরে চীৎকার কবিয়া তিনি বলিতে লাগিলেন, “আমায়-ছেড়ে দাও, আমি বলচি —স্বৰ্ণমায় ছেড়ে দাও, আর তোমার ঐ ঠী গুl হাত আমব উপর থেকে উঠিয়ে নাও,—ওতে মরণের ছায় লেগে অাছে । সমস্ত জীবনটা আমার নষ্ট হয়ে গ্যাছে এতেও কি শোধ হয় নি,—একটা জীবন এ কি ঢের নয়,— কবে-কতদিনে আমার ছুটি হবে, কতদিন —কত –দিন—আমি এমনি কবে সহ করে বেঁচে থাকৃব ?” মিসেস হিথারষ্টন্‌ ৰ্তাহার রুগ্ন স্বামীকে সাস্বনী দিবার অভিপ্রায়ে—আপনার শীতল, সৌধ-রহস্ত 竇 切ー(tぶ。 শীর্ণ হস্তখানি জেনােরলের তপ্তললাটে মর্ষণ করিতে করিতে অত্যন্ত স্নেহপূর্ণ মৃদু মৃদু স্বরে বলিতে লাগিলেন “চুপ কর,—চুপ কর,— শাস্ত হও—দেথচ না, ইনি ডাক্তাব ইষ্টারলিং, – ইনি তোমার কোন ক্ষতি করবেন না – তোমার রোগ আরাম কবে, তোমায় সুস্থ কবে দেবেন এখুনি !” আকস্মিক অত্যধিক উত্তেজনার পর যেমন অবসাদ আসে জেনারলেবও সেইরূপ ভাল হইল, তিনি অত্যন্ত শ্রাস্তভাবে বালিষের উপর গুইয়৷ পড়িলেন। র্তাষ্ঠীর মুখের ভাব ও বর্ণ, যেন বামধন্থর বর্ণ পরিবর্তনের মতই দ্রুত পরিবর্তিত হইতেছিল, তাহার মুখের দিকে চাহিয়া আমার মনে হইল বিকাবেব ঝোক্ট সম্পূর্ণই কাটিয়া যাইতেছে। এবং পত্নীর বাক্যের অর্থও তাহাব হৃদয়ঙ্গম হইয়াছে। বগলে থারমোমিটার যন্ত্র লাগাইয়া আমি র্তাহাব নাড়ার স্পন্দন-শব্দ গণনা করিতেছিলাম, স্পন্দনের সংখ্যা ছিল—একশত কুড়া, জরের উত্তাপ ১০৪ ডিগ্রী । স্পষ্টই বোঝা যাইতেছিল, এটা ম্যালেরিয়া ফিবার । জীবনের ভুরিভাগ যাহারা গ্রীষ্মপ্রধান দেশে কাটাইয়াছেন, মধ্যে মধ্যে - এ বেগ,— র্তাহীদের অবশ্যম্ভাবী ! থারমোমিটারট ‘কেসের মধ্যে ভরিতে ভারতে আমি বলিলাম “কিছুষ্ট হয় নি, সামান্ত মাত্রায় কুইনাইন আব আসেনিক, দিলেই জর ছেড়ে যাবে, শরীর সাতেও সময় লাগবে না, এম্ন সাধারণ জর ।” একটা দীর্ঘকালস্থায়ী নিশ্বাস ফেলিয়া জেনাবল কহিলেন “এঃ,– কোন বিপদ নেই”। কথার সুরে মনে হইল যেন কঠিন রোগ ও