পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা ইচ্ছাকৃত কোন দুষ্ট অভি প্রায় লুক্কায়িত নাই, তখন যেন একটু শান্তভাবে সহজহুরে বলিলেন “থাকৃ, থাকু, অত ব্যস্ত হবার দব করি নেই, এতে আর হয়েচে কি ? ডাক্তার তুমি ইচ্ছে কর ত, দেখাতেও বাধা নেই— অনুগ্রহ করে ঐটে এখানে নিয়ে এস দেখি ” দ্রব্যটির উপরের আবরণবস্ত্রখানি জেনারল খুলিয়া ফেলিলে ভিতরেব বহস্তটি বাছিব হইয় পড়িল । আমি যাহাকে কে কৃ মনে করিয়াছিলাম তাহা কেক্‌ নহে অতি মুন্দর মনোরম পৰ্ব্বত শৃঙ্গের একটি অমুকুতি। চূড়ার উপরে শুভ্র প্রস্তরবিন্দু গুলি —যাহা তুষারকণার অনুকরণে ঝুবি বাধিয়া আছে, সেই গুলিকেই আমাব ভ্রান্তচক্ষু পরিচিত কেকের উপরের চিনিব দান স্থিব কবিয়ছিল । জেনারল বলিলেন “এটি হচ্চে হিমালয়, না, হিমালয় নয় –সবট নয়—এ জায়গাটি সুবিন মশাখা, এটি ভারতবর্ষ থেকে আফ গানিস্থানে যাবার গিরিবত্ম। অনুকৃতিটি কি সুন্দর ” বাস্তবিকই তাই ! এমন সুন্দব অমুক বণ কম দেখা যায়। আমি মুগ্ধনেত্ৰে দেখিতে লাগিলাম, পৰ্ব্বত গাত্রের তৃণ গুল্ম গুলিও যেন সজীব । জেনারল কহিলেন “এই স্থানটির সহিত আমার জীবনের বিশেষ সম্বন্ধ আছে। কাবণ এইখানেই আমার প্রথম অভিধান সম্পন্ন হয়, ঐ-কালাবাগ—আর খুল উপত্যকার অপর প্রাস্তে –গিরিবঘ্নে আঠার শে এক চল্লিশের গ্রীষ্মকালে—আফ্রিদিদের দমনের জন্য আমি সেনাপতি নিযুক্ত হয়েছিলেম। এটা cगोष-ब्रश्छ - (2 مايمي যে বড় সঙ্কটহীন বা সহজসাধ্য কাজ ছিল না—আমাকেও তা স্বীকার করতে হয়েছিল।” জেনারলকে থামিতে দেখিয়া, তিনি যে স্থানটি দেখাইতেছিলেন তাহারই অত্যন্থ নিকটবৰ্ত্তী একটি রক্তের মত লাল চুনিব উপর অঙ্গুলী নির্দেশ কবি আমি বলিলাম—“এই বুঝি সেই গিরিব যেখানে আপনি তাদের সঙ্গে যুদ্ধে নিযুক্ত হয়েছিলেন” ? “ই, এইখানেই—আমাদের একটা খণ্ড যুদ্ধ হয়ে গেছল।” বলিয়, অগস্ত ঝুকিয় তিনি সেই লাল চিচুটিকে একদৃষ্টে দেখিতে লাগিলেন, “আমরা এ—ইথানে—ই অt-- ক্রী –স্ত~~” বলিতে বলিতে সহসা তিনি মূৰ্ছিতের মত বালিসেব উপবে পড়িয়া গেলেন। আমি যখন প্রথম এই গুহে প্রবেশ করি র্তাগর চোখে মুথে যেমন ঘোব বিকাবেব লক্ষণ দেখিয়ছিলাম-ঠিক সেই ভাল আগব যেন ফিরিয়া আসিতেছিল। আব-ঠিক্‌ সেষ্টমুহূৰ্বেই তাহাব বিছানাব উপব হইতে একটি শব্দ ভাসিয়া আসিল টিং টং, টং, শব্দটা যেন বা তাসেই ভাসিতেছিল, তাহাব আধfব বা উৎপত্তিব কোন স্থান দেখা গেল না, শৃঙ্গে যেন হাওয়াব জোবে বাজিতেছিল টি, টিং, টিং, কি সে শব্দ ? তাঙ্গ শ্রুতিস্থ থকব, অথবা শ্রুতিকটু, সে কথা প্রকাশ কবিয়া বোঝান যায় না, তবে এরূপ শব্দ অমাব জীবনে যে আনি দ্বিতীয় বার শুনি নাই, ইহাব পূৰ্ব্বেও নয়, আর পরে ও নয়, এই কথাটিই বলিতে পাবি । তার দ্বিতীয় বার না শোনার জন্ত যে আমি দুঃধিত হই নাই,--- এই টুকুই ইগর বিশেষণ ! বষ্টিসাইকেলের ঘণ্টার এক রকম