পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা থাকে। অতএব সেই সময়ে সবিশেষ সাবধান হওয়া উচিত। রোগীর গৃহের জানালা দরজায় কাৰ্ব্বলিক্‌ এসিডের দ্রাবণে সিক্ত পর্দ খাটাইয়া দেওয়া উচিত এবং রোগীর গাত্ৰে সৰ্ব্বদা কাৰ্ব্বলিক্‌ তৈল (১ ভাগ কাৰ্ব্বলিক এসিড ও ৯ভাগ নারিকেল তৈল) উত্তমরূপে লাগাইয়া রাখিলে যন্ত্রণার লাঘব হয়, শরীরের ব্ৰণ-ক্ষতাদি শীঘ্র শুকাইয়া যায়, ক্ষতাদিৰ দুৰ্গন্ধ দূৰীভূত হয় এবং তন্মধ্যস্থিত রোগবীজও নষ্ট হয়, "ছাল’ দেহ হইতে পৃথক্ হইয়া বায়ুসাহায্যে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইতে পাবে না এবং ঘায়ে মাছি বসিতে পাবে না, সুতরাং রোগের পরিব্যাপ্তি বিশেষ ভাবে নি পাবিত হইয়া থাকে । ৬। বোগ-আরোগ্য হইলে যতদিন না সমস্ত “ছাল” উঠিয়া যায়, ততদিন রোগীকে সুস্থব্যক্তির সহিত মিশ্রিত হইতে দেওয়া উচিত নহে । কয়েক দিন স্বান করিবার পর সুস্থব্যক্তির সংস্পর্শে আসিলে কোন বিপদের আশঙ্কা থাকে না । ৭। বস্ত্র, শয্যাদি, বোগীব গৃহ ও গৃহসজ্জা পূৰ্ব্বকথিত প্রণালীতে উত্তমরূপে বিশোধন না করিলে রোগের পরিব্যাপ্তি হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবন, ইহা সৰ্ব্বদা মনে রাপিতে হইবে। FAls“ () (Hydrophobia-fEG (A বা শৃগালের মুখের লালার মধ্যে এই রোগের বীজ অবস্থিতি করে। দংশন কালে উহা ক্ষত মধ্যে সংলিপ্ত হইয়া স্নায়ুমণ্ডলীর পথ দিয়া মস্তিষ্কের দিকে মৃদ্ধগতিতে পরিচালিত হয় এবং অল্পাধিক কাল ব্যবধানে মস্তিষ্কে উপনীত শারীর স্বাস্থ্য-বিধান byసి হইয়া ভীষণ রোগলক্ষণ প্রকাশ করে । এই রোগের লক্ষণ একবার প্রকাশিত হইলে মৃত্যু মুনিশ্চয়—এই রোগ কখন নীরোগ হইতে দেখা যায় নাই । ক্ষিপ্ত কুকুরে বানর, বিড়াল, অশ্ব, মনুষ্য প্রভৃতি প্রাণীকে দংশন করিলে উহাদিগের জলাতঙ্ক রোগ উৎপন্ন হয় ; তখন উহাদিগের লালার মধ্যেও ঐ রোগের বিষ বিদ্যমান থাকে এবং তাহারা মনুষ্য বা অন্ত প্রাণীকে দংশন করিলে উহাদিগেরও ঐ রোগ উৎপন্ন হইয়া থাকে। পূর্বে এই ভয়ানক রোগেব কোন সুচিকিৎসা প্রচলিত ছিল না । এস্থলে বলা কৰ্ত্তব্য যে, কুকুরে কামড়াইলেই জলাতঙ্ক বেগ উৎপন্ন হয় না ; কুকুর ক্ষিপ্ত ন হইলে এই রোগ জন্মিবার কোন আশঙ্কা থাকে না । পুনশ্চ ক্ষিপ্ত কুকুরে দংশন করিলেই যে জলাতঙ্ক রোগ উৎপন্ন হইবে, তাহার কোন অর্থ নাই। ক্ষিপ্ত কুকুরে অনেক লোককে এক সময়ে দংশন করিলে তাহার বিষ ক্রমে ঝরিয়া যায়, সুতরাং যাহারা প্রথমদষ্ট হয়, তাহাদেরই ঐ রোগ উৎপন্ন হইবার সম্ভাবনা ; যাহাদিগকে পবে কামড়ায়, বিষের অসদ্ভাব হেতু তাহাদিগের মধ্যে অনেক সময়ে উক্ত বোগ প্রকাশ পায় না । বিশেষতঃ দেহ বস্ত্রাদি আবৃত থাকিলে বিষ বস্ত্রের উপর লাগিয়া যায়, দংশন-জনিত ক্ষত মধ্যে প্রবেশ করিবাব সুবিধা পায় না, সুতরাং এরূপ স্থলে ক্ষিপ্ত কুকুরে দংশন করিলেও ঐ রোগ জন্মিবার সম্ভাবনা থাকে না । বোধ হয় এইরূপ রোগীর চিকিৎসাদ্বারা দেশীয় ঔষধ বিশেষ আরোগ্য সম্পাদন সম্বন্ধে প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছে। প্রকৃত জলাতঙ্ক রোগ এই ঔষধের দ্বারাই উপশমিত হয় না। লোকে মিথ্যা