পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3е е উজান বয়ে যেতে অক্ষম। কেহ বা অবস্থা যেমনই হোকৃ তাকে আপনার মনের ম ইন করে গড়ে নিতে পারেন, যিনি আত্মবলে আপনি আপনার ভাগ্যবিধাতা । প্রকৃতি ও আত্মশক্তি, দৈব ও পুরুষকার, মামুষের এই দুই ভাগ্য-সুত্রধার। এদের মধ্যে আত্মবান পুরুষই ধন্ত । “দৈবং নিহত্য কুরু পৌবষমাত্মশক্তা” এই উপদেশ মত কাৰ্য্য কব, কৃতী হবে— মানুষ হবে। গোবিন্দ বিঠাল কড়কড়ে গোবিনা কড কড়ে পুণ দক্ষিণ) কলেজে গণিত শাস্ত্রের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি আমাদের অনেক কালের বন্ধু । যখন প্রথম বিলাতে গিয়ে জ্ঞানেন্দ্রমাহন ঠাকুরের গোবিন্দ বিঠাল কড়কড়ে ठांब्रडौ অগ্রহায়ণ, ১৯৩২ বাড়ীতে বাস করি তখন তার সহিত সৰ্ব্বদা দেখা সাক্ষাৎ হত—সে ত ৫০ বৎসরেরও আগেকার কথা । আমার বোম্বাই প্রবাস কালে আমরা বরাবর বন্ধুত্বস্তুত্রে বাধা ছিলাম—আজ পর্য্যন্ত তা অটুট রয়েছে। মারাঠী জাতির অনেক পদবীই বাঙ্গালীর পক্ষে কৌতুকাবহ কিন্তু নাম ছাড়াও গোবিন্দ কড়কড়ের অনেকগুলি ভাবসাব হাস্ত্যরসাত্মক। তিনি জাতিতে ব্রাহ্মণ, ধৰ্ম্মে খৃষ্টান, ব্যবসায়ে অধ্যাপক, এবং স্বভাবে কিঞ্চিৎ পাগল । এমন কি, চাকর ও ছেলেদের মহলে তিনি “পগলা সাহেব” বলেই খ্যাত ছিলেন। “ছিলেন” শুনে যেন কেউ না মনে করেন যে বেচার গোবিন্দ ইহলোকে নাই। আশা করি আমাদের এই পুরাণে বন্ধুটি সুস্থ শরীরে ও শাস্তচিত্তে তার নির্জন অবসরপ্রাপ্ত জীবন যাপন করছেন । তবে বহুদিন র্তার কোন খবর পাই নি । এক একবার র্তার সহাস্ত গৌরবদন দেখতে এবং তার সঙ্গে পবিবারের নবাগতগুলিকে পরিচয় কfরয়ে দিতে ইচ্ছা হয় । কিন্তু এ বয়সে র্তার খিড়কিস্থিত কোটর থেকে তাকে কলকাতায় টেনে আন শক্ত ব্যাপার। গোবিন্দের জীবনী একটু নতুন রকমের । র্তার পিতা বোম্বাই প্রদেশের কোন আদালতে সেরেস্তাদার ছিলেন কিন্তু এক সময়ে তহবিণের কিছু গোলযোগ হওয়ায় তিনি ফেরার হন । সেই সময়ে বালক গোবিন্দ সহরের কলেক্টর সাহেবের নিকট যাতায়াত করতে আরম্ভ করেন । এই সুদৰ্শন বালকটিকে দেখে কলেক্টর Tucker সাহেবের মমত হয় এবং তিনি ওঁর শিক্ষার