পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి అశి “তোমার গরীব আত্মীয়দের সাহায্য করতে হয় কি না ? —” বোধ হয় নিজে সে বিষয়ে ভূক্তভোগী !— বহুকাল একক জীবন যাপন করায় ইংরাজসমাজ-খ্যাত চিরকুমারীর স্থায় র্তার কতকগুলি পাবিপাট্যের অভ্যাস বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছে। ঘরের আসবাবগুলি একটু এদিক ওদিক হবার জে নেই। আমার ছেলেমেয়ের মধ্যে যার বিয়ে আগে হবে তাকে অমুক আসবাবটি দেবেন বলে লোভ দেখাতেন । তাদের সঙ্গে কতরকম মুখভঙ্গী করে ঠাট্টাতামাস করতেন তা বলে শেষ করা যায় না । পঞ্চাশোর্দ্ধেও কতকগুলি বিষয়ে তিনি যেন নিতান্ত ছেলেমানুষ ছিলেন। কতবার আমরা তার আতিথ্য স্বীকার করে তার সঙ্গ উপভোগে আমোদে দিন কাটিয়েছি। র্তার ঘর দুয়ার, খাবার বন্দোবস্ত সকলই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। “আজ না” ( অৰ্জুন ) একটি পুরাতন ভৃত্য কথায় কথায় তার ডাক পড়ে। সন্ধ্যাবেল তার সাজটিও দেখবার জিনিস ! গায়ে কোট নেই, মাথায় একটি লম্ব রাজটুপী, পায়ে চটিজুতা, আমাদের অভ্যর্থনার জন্ত নাটেকর নামক র্তার সুগায়ক বন্ধু গৃহে উপস্থিত ; গায়কের গানের সঙ্গে সঙ্গে তার উৎসাহও সপ্তমে চড়ে উঠেছে। আমরা এক একবার মনে করতেম এ পাগল কলেজে গম্ভীরভাবে অধ্যাপনা করেন কিরূপে । কিন্তু মস্তিষ্কের গোলে তার কাজের কোন প্রকার গোল হয়েছে বলে ত কথন শুনি নি। ছাত্রের তাকে খুব ভালবাসত দেখতুম। তার ংসারে ভালবাসার জিনিসের মধ্যে ছিল কতকগুলি গরু বাছুর। বারান্দায় দরমার ব্যাড়ার জানালার মধ্য দিয়ে তারা কখনো ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২০ কখনো মুখ বাড়িয়ে দিত আর তিনি তাদের কত আদর করতেন—আর ছেলেদের বলতেন “এই দেখ, একেই ত বলে সংসার ” বাস্তবিক, এ ভিন্ন তিনি অপর কোন সংসার কখনো করেন নি। কোন একটি বন্ধুর ছোট ছেলের মৃত্যু হওয়ায় বড় ছেলেটিকে তার বাপ মা সিবিল সাৰ্ব্বিস ছাড়িয়ে কাছে রাখবার জন্ত ব্যস্ত শুনে গোবিন্দ, “বলেছিলেন এ আবার কি পাগলামি । ছেলে ত মানুষের গিয়েই থাকে ।” তার পরে যখন তাকে বোঝানো হল যে র্তার গরু বাছুরেব মধ্যে একটু সবে ধন নীলমণি ! বাছা যদি মারা যায় র্তার কি রকম কষ্ট হয়, তখন যেন পুত্র শোকের মৰ্ম্ম কতকটা উপলব্ধি করতে পারলেন । আমাদের কাছে তিনি মধ্যে মধ্যে এসে থাকতেন, বিশেষতঃ কোন স্বাস্থ্যকর পাহাড়ে হাওয়া বদল করতে যাবার সময় সানন্দে সঙ্গ ধরতেন । এইরূপে একবার সিমল পাহাড়ে অবস্থান কালে তার গাল রক্তবর্ণ হয়েছিল। র্তার গাল লাল হয়েছে বলে র্তার মহাভাবনা উপস্থিত এবং আয়নায় মুখ দেখে আমাদের গাল দেখিয়ে ক্রমাগত বলতেন “I say why are my cheeks so red”— যেন ভারি একটা অসুথের চিহ্ন ! আমরা র্তার সঙ্গে ইংরাজিতেই বাক্যালাপ করতেম, আর আমাদের বাঙ্গল কথা শুনে তিনি “হচ্ছ কচ্ছ” বলে ঠাট্টা করতেন। আপনার মনে বকা তার এক পাগলের অভ্যাস । বেঁটেখাট মুনীর মানুষটি, হাট কোট পরে, লাঠিটি দুই হাত দিয়ে আড়াভাবে কোমরের পিছনে এটে ধরে যখন আমাদের সঙ্গে ব্যাড়াতে বেরতেন, তখন পাহাড়ে রাস্তায়