পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆ»8 যেখানে বর্ষার প্রাচুর্য বশতঃ প্রচুর ধান জন্মে ভাতই সেখানকার লোকদের প্রধান আহাব । তদ্ব্যতীত, বাজরী, জোয়ারী, গম প্রভৃতি যেখানে যেরূপ শস্ত জন্মে তাহ! সাধারণ লোকের মধ্যে প্রচলিত। তবে এটা মানতে হবে যে ভাত সকল স্থানেই উপাদেয়, ভদ্র লোকদের ভাত ও ‘ বরণ’ ( ডাল ) ভিন্ন চলে না। রাল্লা অনেকটা আমাদের ধরণ, কেবল তরকারিগুলি ঝালপ্রধান আর আমাদের মত ওদের কোন মিশ্র তরকারী রান্না হয় না । আহারের সময় কার পর কি খেতে হয় এমন বিশেষ কোন নিয়ম নেই। আমাদের যেমন তিক্ত হতে আরস্ত করে ‘মধু<েণ সমাপয়েৎ একটা নিয়ম আছে, ওদেশে মিষ্টি ঝাল লোস্ত যখন যাতে অভিরুচি তাই গ্রহণে কোন বাধা নেই। মিষ্টে ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২০ অরুচি হলে টক ঝাল, ঝালে অরুচি হলে আবার মিষ্ট, ঝালের মুখ মিষ্ট করে আবার লোন্তায় এসে পড়া যায়। কোন মারাঠী কিম্বা গুজরাটী বন্ধুর বাড়ী নিমন্ত্রণে গেলে কখন কোন জিনিস খেতে হবে—কোথা হতে আরম্ভ কোথায় গিয়ে শেষ, এ এক সমস্ত । খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে তরকারী আর নানা রকম চাটনী, অম্বলের জায়গায় ‘পঞ্চামৃত, (এক রকম পাঁচ মেশালো অন্ন মধুর ঝোল ), আর ‘কড়ি একরকম মসলামাথা টক দধির পাক । মিষ্টান্নের মধ্যে ‘শ্রখণ্ড’ মারাঠীদের পরম উপাদেয় সামগ্ৰী, জাফরাণ যুক্ত মিষ্ট দধি দিয়ে প্রস্তুত। মিষ্টারের ব্যাপার আর সব আমাদেরই মতন, কেবল ওদেশে ছানার চলন নেই, সুতরাং ওর সন্দেশ রসগোল্লা প্রভৃতি ভাল ভাল মিষ্টান্ন হতে পাৰ্ব্বতী মন্দির