পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৭, বর্ষ অষ্টম সংখ্যা আমার বোম্বাই প্রবাস S-4 সাতারার দুর্গ প্লেগও ছিল না আর “সিডিস্যান” মকদ্দমারও স্বত্রপাত হয় নি—এ সব উৎপাত আমি চলে আসবার পরে হয়েছে। সাতারা একটি ঐতিহাসিক শোভনপুরী। দূরে পাহাড়ের দৃগু, আবহাওয়া স্বাস্থ্যকর, আর এক বিশেষ সুবিধা এই যে মহাবলেশ্বর পাহাড় হাতের কাছে, যখন ইচ্ছা যাওয়া যেত। Union Club ও সঙ্গীতসমাজ, এই দুইটি জায়গা দেশী লোকদের মিলনের স্থান ছিল । সঙ্গীতসমাজে মাটঙ্গে বাওয়া নামক একটি অন্ধ গায়ক গান শেখাতে যেতেন, তিনি মধ্যে মধ্যে আমাদের বাড়ীতেও শেখাতে আসতেন । $ উৎসব মহারাষ্ট্র দেশে পূজাপাৰ্ব্বণ উৎসবাদি আমাদেরই মত, কেবল উংসব বিশেষের মহাত্ম্য গণনায় তারতম্য দেখা যায়। বাঙ্গালার দুর্গোৎসব এদেশে নাই । যদিও নবরাত্রি উপলক্ষে কোন কোন হিন্দুগৃহে দুর্গাপূজা হয়, তথাপি বোম্বাইবাসীদের মধ্যে ইহার তেমন মাহাত্ম্য নাই। বিজয়াদশমীই ( দশারা ) শারদোৎসবের বিশেষ দিন। সে দিন হিন্দুগৃহে আত্মীয়স্বজন বন্ধুর পরস্পর দেখাসাক্ষাৎ, কোলাকুলি ও স্বর্ণচ্ছলে শমীপত্রের আদান প্রদান হয়। কথিত আছে পাণ্ডবের বিরাট রাজ্যে প্রবেশ কালে এই দিনে শমীবৃক্ষতলে অস্ত্রশস্ত্র রেখে শমীপূজা করেছিলেন। তা থেকে এ অঞ্চলে বিজয়ী দশমীতে শমীপূজার রীতি প্রচলিত। সিন্ধু দেশেও এই প্রথা দেখেছি। মারাঠী দেশে দশারীর বিশেষ মাহাত্ম্য কেন না এই সময়ে