পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

489 গীত আরম্ভ কবে । আরম্ভেব সময় প্রধান গায়িক যিনি তিনি দুই এক তান ধবেন, পবে তাহাতে আর সকলে যোগ দেয় । প্রত্যেক চরণ দুইবার করিয়া গীত হয় । এমনও হইতে পারে যে গীতের প্রধান অংশগুলি প্রধান কর্তৃক গীত হয়, কেবল ধুয়াতে আব সকলে সমস্ববে যোগদান কবে । এইরূপ চক্রাকারে তালে তালে করতালি ধবনিতে নাগবিকাদের মধুব সঙ্গীত গুজরাট ভিন্ন আব কোথাও শুনি নাই। না শুনিলে ইহার প্রকৃত মাধুর্য বোঝা যায় না । পেশাদারী শোক প্রকাশ গুজরাটে একটা অদ্ভুত রীতি আছে— শোকেৰ ভান করিয়া বুক চাপড়াইয়া পেশাদারী শোক প্রকাশ । মৃত ব্যক্তির জন্ত শোক করিতে হইলে একদল স্ত্রীলোক ভাড়া করিয়া আনা হয়, তাহারা বক্ষাঘাত করিয়া মহ আৰ্ত্তনাদ আরম্ভ করে । পথে ঘাটে .এইরূপ শোকাভিনয় দেখিতে পাইবে । দেখিলে মনে হয় যেন কাহার কি সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত হইয়াছে। কিন্তু এই শোককারী নারীদিগেব তালে তালে বক্ষাঘাত, অশ্রীহীন বিলাপধ্বনি ও কৃত্রিম ভাবভঙ্গী দেখিয়া শীঘ্রই সে ভ্রম দূর হয় । ভাড়ের যাত্রা শোকের কাহিনী হইতে একটু অমেদে ব কথা বলিয়া এই ভাগ শেষ করি । আমি যখন প্রথম আহমদাবাদে যাই তখন সেখানে একটা পার্টি দিয়াছিলাম—তাহাতে অনেক ইংরাজ ও দেশীয় লোক উপস্থিত ছিলেন। সেই পার্টিতে আমোদের মধ্যে ভাবইয় ভাবর্তী কীৰ্ত্তিক, ১৩২ • নামে ভাড়ের যাত্রাব দল অনানো হইয়াছিল। ভালইয়ার উপস্থিত ঘটনা বর্ণনায় ও লোকজনের চরিত্র নকলে পরম পটু। তাহার যে সময়কাব চিত্র প্রদর্শন কবিতেছিল তখন বোম্বায়ে “সেয়াব মেনিয়া” বোগেব বিশেষ প্রাদুর্ভাব। আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলেই সেয়ার কিনিবাব জন্ত পাগল । নিঃস্ব কাঙ্গাল যাহাব ঘবে অন্ন জোটে না সেও এক রাত্রির মধ্যে সম্পদবান হইয়া উঠিবে – লোকে ধ এইরূপ উচ্চাক জীবি সীমা নাই । ইংৰাজ মারাঠী গুজবাটী এই সংক্রামক বেগে সকলকেই ধরিয়াছে। সেই বেীকে ইংবাজ ও দেশীয়দের বিলক্ষণ মেলামেশা নেটির তখন ইংবাজেব অবজ্ঞাব পাত্র ছিল না । তখন তাহদের গলাগলি ভাব দেখে কে ? সেয়াব বাজাবের রাজা ছিলেন প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ ; তবে তজ্জনীর ইঙ্গিতে সেয়ার বাজারের উত্থান পতন হইত। ইংৰাজের তখন র্তাহার দৰবাবে গিয়া থোসামোদ করিতে অপেনাদিগকে অপমানিত বোধ কবিতেন না । মেমসাহেব পৰ্য্যস্ত কখন কথন সেয়ার ভিক্ষা করিতে তাহাব দ্বারে উপস্থিত হইতেন । এই বিষয়টি সেই গুজরাটি ভাড়েবা সুন্দর নকল করিয়াছিল । সাহেব তাহার মেমকে লইয়া সেয়ার আবদারের জন্ত বাহির হইয়াছেন দেখিয়া দশকমণ্ডলীর মধ্যে হইত । হাসির ফেয়ারা উঠিল । ইহার মধ্যে ওদিকে কি গোলযোগ উপস্থিত! চটপট চপেটাঘাতের শব্দ ! একজন ইংরাজ ম্যাজিষ্ট্রেট র্তাহার স্বজাতির ওরূপ উপহাসজনক নকল সহিতে না পারিয়া বেচারা ভাড়দের উপর উত্তম মধ্যম প্রহার আরম্ভ