পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা বলরাম ও সুভদ্রা, অন্তটতে কৃষ্ণ প্রস্তর বিনিৰ্ম্মিত শ্রীকৃষ্ণের ও শ্বেত প্রস্তর বিনিৰ্ম্মিত শ্রীরাধার মূৰ্ত্তি। এই মন্দির কৃষ্ণচন্দ্রের মন্দির বলিয়া অভিহিত । অপর একটাতে রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ র্তাহীদের এক পাশ্বে হনুমান ও অপর পাশ্বে জাম্বুবান করযোড়ে দণ্ডায়মান। আর একটা মন্দিরে গেীব ও নিতাই অধিষ্ঠিত। বলা বাহুল্য মূৰ্ত্তিগুলি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত ও সুচিত্রিত। এতদ্ভিন্ন একটা কক্ষে বহু শালগ্রাম শিলা ও কতিপয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভিন্ন মূৰ্ত্তি সজ্জিত রহিয়াছে। এই সকল মন্দিরের মধ্যে একটব বহির্ভাগ বিচিত্র কারুকার্য্যখচিত । প্রতিশোধ స్నెసె • vবৃন্দাবনচন্দ্র এখন বিপুল সম্পত্তির অধিকারী। স্বামী সত্যদেব র্তাহার প্রথম মোহস্তি । অনেকে অনুমান করেন এই সকল সুদৃশু মন্দিরাদি র্তাহার পরবর্তী মোহাস্তুদিগের সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ৬ বৃন্দাবনচন্দ্রের সে শিলামূৰ্ত্তি এখন স্থানান্তরিত হইয়াছে ও তৎ পরিবর্তে র্তাহার পরবর্তী মোহান্ত কর্তৃক, এই ভোগমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ৮ বৃন্দাবনচন্দ্রের সম্বন্ধে অনেক অলৌকিক কাহিনী শ্রত হওয়া যায়। এই মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিয়া আজও—নরনারী ভক্তিভাবে স্বামী সত্যদেব সরস্বতীর বিষয় চিন্তা করিয়া থাকে। শ্ৰীগৌরীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশোধ ( ইংরাজি ফস্টাইনের সহিত আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয় ভিনিসে । প্রথম আমি তাহার একখানি ক্ষুদ্র হস্ত দেখিতে পাই । সেই সুন্দর হস্তের চম্পক কলির স্তায় সুগঠিত অঙ্গুলিগুলি জলের উপর ন্তস্ত ছিল । আমি মনে মনে সেই সুগঠিত হস্তের প্রশংসা না করিয়া থাকিতে পারিলাম না ; ক্রমে আমার বজরাখানি তাহার বজরার পাশ্বে আসিবামাত্র চকিতের মত হস্তখানি অপস্থত হইল ; সঙ্গে সঙ্গে জানালার পরদাখানিও সরিয়া গেল ; কি দেখিলাম ? দেখিলাম পরীর মত সুন্দরী ফসটাইন ঈষৎ হাস্তে রঞ্জিত মুখে আমারই দিকে চাহিয়া আছে ? এমন রূপ বুঝি স্বর্গের অপরারও বাঞ্ছনীয় । হইতে ) কুঞ্চিত স্বর্ণকেশদাম সেই সুন্দর মুখখানির চারিদিক বেড়িয়া আছে ; কুটিল ভঙ্গিমপূর্ণ স্বনীলনয়ন দুইটি হস্যোজ্জল। সৌরচুম্বিত পদ্মরাগ তুল্য লজ্জারক্তিম সুপুষ্ট কপোল ; পকবিম্বাধর হাস্যরঞ্জিত ! আমি মাঝিদিগকে বজরা বাধিতে বলিলাম ; ধীরে ধীরে তাহার বজরঃখানি আমার বজরার পাশ্বে আসিয়া দাড়াইল । জানালার সম্মুখে তাহার বদনখানি একটা প্রস্ফুটত কমলের মত শোভা পাইতে ছিল। আমি অনিমেষ লোচনে সেই সৌন্দৰ্য্য দর্শন করিতে লাগিলাম। কি উন্মদিনী, কি উত্তেজনাপূর্ণ সে রূপ! কিন্তু এত সৌন্দর্য্যেও তাহার একটা দোষ মোচন