পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা যায়। সারা দিন তা’র উপরে গরু চরিয়ে বেড়ায়, আর স্বৰ্য্যাস্তের আগেই ভে পু বাজাতে বাজাতে পল্লী অঞ্চলে নেমে আসে। অনেক দূর হতে গৃহস্থের ছোট ছোট ছেলে মেয়ের সে বঁাশীর রব শুনে বুঝতে পারে, যে তাদের গরুর ফিরে আসছে। তার ফিরলে ছেলে মেঘেরা বাছুরদের গলা জড়িয়ে ধরে প্রাণ ভরে আদর করে। এই রাখালবালকের দুধ আর আলু থেয়েই প্রায় দুবেলা কাটিয়ে দেয়। গ্রীষ্মকালের ক” মাসের মধ্যে এক একটা গরুর দুধ থেকে প্রায় ১ মণ ১০ মণ করে পনীর উৎপন্ন হয়। পূৰ্ব্বে, বিবাহের সময় বর এবং কনের বন্ধু বান্ধবের সকলে মিলিত হোয়ে একটা প্রকাণ্ড পনীর স্ত,প তাদের উপহার দিত। এবং সেই জমাট পনীরপিগু বংশানুক্রমে পিতা হ’তে পুত্র ভোগ দখল করত। তাতেই তাদেব সন্তান সন্ততি প্রভৃতির, জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ ইত্যাদি স্মরণীয় ঘটনা সকল লেখা থাকত। ১৬৬০ খৃঃ অব্দের কোনকোনও পুরাতন পনীবপিণ্ড এখনও দেখতে পাওয়া যায়। এ দেশের কোন কোন স্থানে এই পনীবই লোকদের প্রধান খাদ্য । এবং সেখানে মজুরদের পারিশ্রমিকের জন্ত পয়সার পবিবর্তে পনীরই দেওয়া হয়। যখন টাটকা পনীর বেশী পরিমাণে খেয়ে কাবও পেটেৰ পীড়া হয়—তখন তাকে খানিকটা পুবাতন পনীর দেওয়া হয়। তাদের বিশ্বাস যে, এতেই তার অমুখ সেরে যাবে। পনীর পিণ্ড যত বড় হয়, ততই ভাল এবং স্বস্বtছ হয়ে থাকে। কাউকে কাউকে ২ মণ રાજ >ペ সুইসদিগের গার্হস্থ্য জীবন ৯ই9 করে বয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এক মাত্র ফ্রান্সই, সুইটজারল্যাণ্ডের নিকট থেকে বৎসরে প্রায় ৩৮০০০ মণ পনীর ক্রয় করে । গৃহস্থবাটিতে কোনও অতিথি অভ্যাগত এলে গৃহস্বামী তাকে যত্ন করে অতি পুরাতন পনীরের প্রস্তুত খাদ্য খেতে দেয়। মান্ধাতার আমলের গমের রুটি আর বহু কালের শুষ্ক শূকরের মাংসও তাদের প্রিয় খাদ্য। সুইস্র মিষ্টান্ন প্রস্তুতের জন্ত (Confection) tā starfs i a gy যুরোপ ময় তাদের একটা সুনাম আছে। য়ুবোপের বড় বড় সহরের ধনী লোকের গৃহে এবং হোটেলে সুইস্ হালুইকার (Pastry Cooks) নিযুক্ত আছে। ভাল ভাল কেক্‌, নানা রকম ফলের উৎকৃষ্ট পিটে তার সারা দিনই খায়। এবং দিনের মধ্যে অনেকবার কফি পান করে। সুইস্র খুব ভাল শকারী । তারা বন্দুক নিয়ে আল্পস্ পাহাড়ে শুময় হরিণের (Chamois) অনুসন্ধানে বেড়ায়। একবার, একটি সুইস যুব একটা শুময় লক্ষ্য করে ছুটতে ছুটতে হঠাৎ গভীব খিদের মধ্যে পড়ে যায়। এবং সেখানে উপরে বা নীচে কোনও দিকে পা’ বাড়ন সম্ভব না হওয়ায় তিন দিন তিন রাত্রি সেইরূপ অবস্থায় সেইখানে পড়ে থাকে। চতুর্থ দিনে সৌভাগ্য ক্রমে, একদল শিকারী সেই পথ দিয়ে যেতে যেতে তাকে সেই অবস্থায় দেখতে পেয়ে দড়ির সাহায্যে টেনে উপরে তোলে। আর একবার আর একজন শিকারী পদস্থলিত হয়ে হঠাৎ প্রায় ১৩০০ ফুট নীচে মণ ওজনের এক একটি পিণ্ড কঁধে এক পাহাড়ের গর্তের মধ্যে পড়ে যায়।