পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిy করিতেন । দিল্লীশ্বর জাহাঙ্গীরের রাজত্বের সময় বঙ্গীয় ভুক্রগণের বিদ্রোহানল প্রবল হইয় উঠে । জনপ্রবাদে জানা যায় যে এই সময় খাজে ওসমান নামক জনৈক সৈন্তাধ্যক্ষ একদল সৈন্ত লইয়া ব্ৰহ্মপুত্রের উপকণ্ঠ বোকাইনগরে ছাউনী স্থাপন করে । শক্রর প্রবেশু করিবার জন্ত ক্রমে এই স্থান দুৰ্গরূপে নিৰ্ম্মিত হয় । খাজে ওসমানই এই দুর্গের স্থাপয়িত । সৈন্তাবাস স্থাপিত হইলে পর একটা কাননগুর কার্য্যালয় স্থাপিত হয়। বোধ হয় ভুক্রগণের কার্য্যকলাপ দর্শন ও ক্রমে এতদেশ অধীনতা পাশে আবদ্ধ করিবার মানসেই মোগলরাজ এইরূপ একটা দুর্গ প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। দুর্গ নিৰ্ম্মাণ লইয়া ঈশাখার সহিত মোগল রাজের কোন সংঘর্ষ উপস্থিত হইয়াছিল কিনা জানা যায় না । গ্রামটির দৈর্ঘ্য অনুমান একক্রোশ ও প্রস্থ অৰ্দ্ধ ক্রোশের অধিক হইবে। তন্মধ্যে কেল্লার স্থানট অৰ্দ্ধবৰ্গ মাইলের কম হইবে না। চতুর্দিকে প্রশস্ত উচ্চ মৃৎ প্রাচীর ও মুগভীর পরিখা দ্বারা বেষ্টিত ছিল । এখনও স্থানে স্থানে প্রাচীরের চিহ্ল বিদ্যমান, কিন্তু পরিখার নিম্ন ভূমি শুষ্ক হইয়া শস্যক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে। আড়াইশত বৎসর পূৰ্ব্বে বিখ্যাত ব্ৰহ্মপুত্র নদ বোকাই নগরের পশ্চিম দিক দিয়া প্রবাহিত হইত। এখনও এমন পল্লীবৃদ্ধ জীবিত আছেন, র্যাহারা ময়মনসিংহ নগরের ছয় মাইল পূৰ্ব্বে অবস্থিত রাজগঞ্জ গ্রামের পাশ্ব দিয়া ব্ৰহ্মপুত্রকে প্রবাহিত দেখিয়ছেন। অতএব এইরূপ গতি পরিবর্তন অসম্ভব নহে । সে সময়ে ব্রহ্মপুত্রের এক ক্ষুদ্র শাখা ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২৭ কেল্লার ভিতর দিয়া প্রবাহিত হইত, তাহ। এখন বড় বিল নামে পরিচিত । বর্ষাকাল ব্যতীত অন্ত সময়ে উহাতে জল থাকে না । ইহার উত্তর ও দক্ষিণ পারে দুইটী করিয়া চারিট মাটীব স্ত,প বিদ্যমান আছে। স্থানীয় লোকের ঐ গুলিকে বুরুজ বলিয়া থাকেন। পূৰ্ব্বে উহাদেব উপরিভাগে স্থাপিত কামান শ্রেণীর মধ্যে কালু ও ফতু নামক অতি বৃহৎ দুইটী তোপ ছিল। দুর্গের আরও কয়েকট বুরুজের চিত্ন পরিলক্ষিত হয়। দুর্গের পাশ্বে যে একটী উচ্চ ভূমি দৃষ্ট হয়, পূৰ্ব্বে ঐ স্থানে কেল্লাদরের আবাস ও দেওয়ানখানা প্রতিষ্ঠিত ছিল । এক্ষণে উলুবনে আবৃত কিন্তু তবুও স্থানটর বিশেষত্ব বুঝা যায়। বাদসহ সাজাহানের রাজত্ব সময়ে সাহিন খা নামক জনৈক কেল্লাদার দুর্গরক্ষার ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন এমত প্রমাণ পাওয়া যায় । কেল্লাদার সেকালের ফৌজদারের ন্তায় রাজ সম্মান পাইত। কেল্লা হইতে বহির্গত হইবাব সময় তাহার সম্মানার্থ আড়ানী, ছাতা ও তুরিভেরী প্রভৃতিও সঙ্গে যাইত । কেল্লাদার সাহিন খার প্রতিষ্ঠিত একটা মসজিদ অদ্যপি অতীত কালের সাক্ষ্য দিতেছে। মসজিদটী বহুকাল দণ্ডায়মান থাকিয়া বিগত ১৩০৪ সালের ভীষণ ভূমিকম্পে পার্থের একটা দেওয়াল ব্যতীত সমস্তই ভূমিসাৎ হইয়াছে। প্রাচীন ইষ্টক গুলি অতীব দৃঢ়। দেওয়ালের বহির্দেশে ইষ্টক গুলির গাত্রে এক প্রকার প্রলেপ আছে। ইহা ঠিক চীনে মটর প্রলেপের মত দেখা যায়। বোধ হয় - ইহাই