88२ শবরী তখন গোপনে আশ্রম-পিতা ঋষিদে ব নীরব সেবায় রত হইল। সে সেবা দুব হইতে—কেন না সে যে চণ্ডাল ! নিশার পার্থী পম্পাপথে শীলতমলের শাখে বসিয়া বনফল ভক্ষণ করি ত । ভোজনের শেষ পথের মাঝে ভুক্তবিশেষ ছড়াইয়া যাইত ৷ উষার আলোক ফুটিতে না ফুটিতে শরবী কুটীর ত্যাগ কবিয়া আপন হাতে পম্পীপথ পরিষ্কার করিত। কেহ জানিত না, দেখিত না, দেখিয়াছিলেন একজন, চিনিয়াছিলেন একজন, ঋষি মতঙ্গ। তিনি শবরীর দীক্ষাগুরু হইলেন । শবরীব প্রিয় দর্শনের পথ তিনি দেখাইয়া দিলেন । ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২৪ দেওয়ার সার্থক তা পাওয়াতে নয়, দেওয়াতেই। শবরী সেই মন্ত্রেরই ত সাধক । এই মন্ত্রেই তাহার আসন পাতা হইয়াছে। বাসরের ফুল ফুটিয়াছে, প্রিয়তম আসিবেন । প্রিয়তম আসিলেন, চণ্ডাল শবরীব চণ্ডালত্ব ঘুচিয়া গেল। পম্পায় পাপের রক্তিমম্পর্শ শুমতন্তুর অবগাহনে আবার পবিত্র হইল। মানুষের গড়া অনার্য্যত্ব— ভেদেব শৃঙ্খল, ভেদেব বেড়া ভাঙ্গিয়া গেল। এই অধৰ্ম্ম নাশের জন্তই"ত দেবীর চণ্ডালত্বের অভিনয় । শ্রীউপেন্দ্রনাথ দত্ত । Cーマラiz5業 গড়িয়ে যায় গো হৃদয় আমার নীল আকাশের গায় সকল ফেলে’, পাগল যে আজ কোথায় – কি ধন চায় ? সাগর আসে লহর তুলি আমার কোলের কাছে, কিরণমাখা ঢেউগুলি, মোর জল্ছে বুকের মাঝে ; অমল উষা হিরণ আভা ঢালছে জগৎ ব্যেপে’ ; পাল ফুলিয়ে মনের তরী চলল কোথায় কেঁপে’ ?
- পুরী, পাথার প্রাস্তে রচিত ।
স্নিগ্ধ মধুব.বষ্টছে বাতাস ; স্বচ্ছ গগন-গায় এমন কবে? উধাও হ’য়ে এ মন কোথায় ধায় ? 臻 球会 碌 আজকে তুষার পাইন সীমা !— আপন-বিভোর আমি, সেনাব উষার মুখ-সায়রে তলিয়ে যাইরে নমি’ ! শ্ৰীদেবকুমার রায় চৌধুরী।
