পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8ty দুৰ্ব্বল শিশুর মত সে নীরবে আজ্ঞ পালন করিল, শরীরে বা মনে এতটুকু বল ছিল না যে যদ্বারা ইহার বিপরীত কিছু করিতে পারে । শিশির পাশে বসিয়া কত কথা বলিল, সভয় প্রশ্নে বারম্বার কুশল জিজ্ঞাসা করিল সে কোন জবাব করিতেও সক্ষম হইল না, কেবলই তাহার মনে হইতেছিল কে যেন তাহাকে সেই অন্ধকারের ছায়ায় ছায়ায় অনুসরণ করিতে চলিয়াছে, সেই অদৃশু তীক্ষ দৃষ্টি তাহার অন্তঃস্থল ভেদ করিতে লাগিল এবং একটা অজ্ঞাত আতঙ্কে সে থাকিয়া থাকিয়া কঁাপিয়া উঠিতে লাগিল । তারপর সমুদয় বাধা বিপত্তি একদিকে ঠেলিয়া ফেলিয়া বিবাহ হইয়া গেল। শুভদৃষ্টি হয় নাই, কনের সলজ্জ নেত্র পিপাসু বরের নেত্রে তড়িৎফুরণ করিল না। এতই বুঝি সে আত্মহারা হইয়াছিল যে পাছে তাহার আনন্দ ব্যক্ত হইয়া যায় তাই সাহস করিয়া চাহিতে পারে নাই ! কিন্তু বিবাহ মন্ত্রপাঠ আরম্ভ হইতেই সর্পদংষ্ট্রবৎ কন্ত অকস্মাৎ ঝড়মড়িয়া অবগুণ্ঠন ফেলিয়া দিল, পাশ্ববৰ্ত্তীর পানে দুইনেত্র বিস্তৃত করিয়া চাহিল, তারপর সহসা তাহার মস্তক সন্মুখে ঝুকিয়া পড়িল, সে- পতনোন্মুখ इहेन । ? যখন বিবাহ হইল তখন লগ্নের চিহ্নই ছিল না, শুক্রতার তখন নিবিয়া : গিয়াছে, এবং সোনায় মেশানো শ্বেত বসনের ঘোমটাপরা উষা তাহার বিক্ষিত চক্ষু মেলিয়া রক্তবসনা কনের চন্দন চর্চিত g«ło • * * * মুখের মৃত্যুবিবর্ণতা সন্দর্শন করিয়া সহায়- দেখাইতেছিল। ভারতী পৌষ, ১৩২০ ভূতির শিশিরাশ্র মোচন করিতেছিলেন । যখন করালীচরণ বীতসংজ্ঞ, কমলার হিম হস্ত টানিয়া আনিয়া বরের শিথিল করে স্থাপন পূর্বক সম্প্রদানমন্ত্র পাঠ করিল, তখন বিদ্যুৎস্পৃষ্টবং শিহরিয়া বর সেই হাত থানা নিজের হস্ত হইতে নিক্ষেপ করিয়া ডাকিল “শিশির - ছিঃ, কি করচো শচি !” “না ভাই না, আমায় রক্ষা কর, তোমরা জানোনা আমি—” “ক্ষেপে গেলে নাকি ! বসে বসে আর সময় নাই, স্বৰ্য্য ওঠে বলে ।” প্রায় তাছাকে চাপিয়া বসাইয়া শিশির তাহার পাশ্বে বসিল, অস্ফুট স্বরে সে আত্মগত কহিল “কি পাগলের পাল্লাতেই পড়া গেছে ! মেয়ের চিরকালে হিষ্টিরিয়া আছে, ভয় কি !” গৃহে ফিরিয়াও সে দ্বিধা সে সঙ্কোচ কাটিল না, নববধূর কথা ভাবিতে গেলেই কেবল সেই রক্তহীন অচেতন মুখ ও তাহার হিমশীতল স্পর্শ মনে পড়িয়া একটা অশাস্তির পঞ্চার করে, তথাপি মনের নিভৃতে একটা স্বঙ্গের আলোও ফুটিয়া উঠিয়াছে, সাধনার ধন আজ প্রত্যক্ষ হইয়াছে যে। সেদিন প্রথম ফাল্গুনের ঈষৎ শীতোষ্ণ বাতাসে মুকুলদাম শিহরিয়া উঠিতেছে, আম্রমুকুলের মদগন্ধলুব্ধ মঞ্জুর গুন্‌ গুনিয়া ফিরিতেছিল, বসন্তের্গ চিরসখাও সেদিন নীরব ছিল না, উদ্যানের সর্বত্র একটা হাদিখেলা মাতামাতিরই চিহ্ন ; আকাশের নীলটাও সেদিন রূপালি কাজ । করা পুঞ্জমেঘে বারাণসী সাড়ীর মত জানালার নিকট বা