পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పె& ఈ সেই আলোটা কমলার সৰ্ব্বাঙ্গে ছড়াইয়া পড়িয়া তাহাকে যেন দুই হাতে আলিঙ্গন করিয়া ধরিয়াছিল। শচীকান্ত অগ্রসর হইয়া মৃদুস্বরে ডাকিল “কমল |” কমলা তড়িতাহতের মত একবার চমকিয়া আশাপূর্ণ যুগলনেত্র পূর্ণ বিকশিত করিয়া তাহার মুখের দিকে তাকাটল, পরক্ষণে ঘোর হতাশার বজ যেন তাহার মাথার উপরে আসিয়া পড়িয়াছে এমনই অসহায় তাহাকে দেখাইল, বুঝি শেষ সংশয় টুকুর এই সঙ্গে সমাধি হইয়। গেল । “কমল, এ জীবনে যে এদিন ফিরে পাবে সে অাশা আমার ফুরিয়েই ছিল, এ মুখের ঋণ কার কাছে শোধ করবো ? কখনও ঈশর মানিনি কিন্তু আজ তার কথা ভাবতে ইচ্ছ হচ্চে, মনে হচ্চে বোধ হয় তারই অসীম দয়া তোমাকে আমার পাশ্বে এনে দিলে। তিন বৎসর প্রায় গত কলে, কত খুজেচি, কত কেঁদেছি কোন অতলে তলিয়ে ছিলে কোথাও খুজে পাইনি—” - আবেগ ভরে সে আরও কত কথা বলিয়া গেল, কিন্তু নববধূ বোধ হয় ইহার একটাও বুঝিতে পারিল না, সে যেমন তেমনি নিম্পন্দ লোচনে চাহিয়া মহিল । ... " স্বাজি বৰ্দ্ধিত হইতেছিল, কৰ্ম্মগৃহের কেঞ্চাহল মঙ্গীভূত হইতে লাগিল, বাঙাস শীতল হইয় আসিল, বিশ্ববিষ্কৃত শচীকান্ত মুগ্ধনেত্রে অবগুষ্ঠিত মুখের পানে চাঁহিয়া ভাবিতেছিল—কোথায় ক্ষোভ, কিলের লজ্জা এ মুখের তুলনা নাই ! - চেত্তন৷ লাভে যেন আর একটু সরিয়া গিয়৷ ভারতী পৌষ, ১৩২০ মুগ্ধকণ্ঠে ডাকিল “কমলা।” সাদরে হাতখানি হাতে তুলিয়া লইল “আমার কমল ৷” আগ্নেয় গিরির ধাতু নিঃশ্রববৎ জালাদিগ্ধ কঠিন স্বরে কমলা সহসা তীব্র কণ্ঠে বলিয়া উঠিল “তুমি আমার কেউ নও!” সবেগে হাত টানিয়া লইয়া সে বিদ্যুৎবেগে সরিয়া গেল । ভোরের বেলা বাহিরে আসিতেই কৌতুর্কমল্পী কল্যাণী আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল “বউ কথা কয়েচে দাদা ?” শচীকান্ত এ প্রশ্নের উত্তরে ক্ষীণ হাসিয়া “তোদের বউকে জিজ্ঞাসা করিস” বলিয়াই দ্রুতপদে চলিয়া গেল, কাহারও কাছে তাহার যেন মুখ দেখাইতে ইচ্ছা করিতেছিল না। কল্যাণী অনেক অনুসন্ধানে পাশের স্নানাগার হইতে বধূকে টানিয়া বাহির করিল, সেই দৃষ্টি, সেই একই ভাব! বুঝিল তাহার দাদা এইজন্য তেমন বিষাদের হাসি হাসিয়াছিলেন, একটু ক্ষুব্ধ হইয়া বলিল “কি wেমার দক্ষম সকম ভাই।” কমলা অর্থীগ দৃষ্টিত্তে কেবল একবার চাহিয়া দেখিণ জঞ্জি। সে দৃষ্টিতে কিছুই ছিলনা—তথাপি ধেন অনেক ছিল ! কল্যাণী দুই পদ পিছাইঞ্জ গেল । মনের, ঝাল মনে মায়িত্ব গিরিজাসুন্দরী যথাকৃত্য সম্পাদন কঞ্জিতেছিলেন। তিনি ভাবিলেন এই জঙ্গই শচী বাপ ভাইকে জানাতে দেয়নি-বুঝেছি, একে জেমের । চুপড়ি’ ধুয়ে ভোগ –তায় অমন ধেক্ষে মেয়ে । ওঁঙ্ক কি এ অনাচার ঘটতে দিতে পারেন! ত য়ং হোক যা হবার হয়েই গেছে তা ক্ষত্রে ক্ষামি কেন ওদের একটা খবর অবধি না দিই "মনেই বা করবে কি ?