পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3&8 cशहे छछ शिक्षांशैन छिद्रद्ध &झ* कब्रिटङ না পারিয়া গোপনে তাহার সহিত রফ করিতে চাহিয়াছিলেন । কিন্তু মেয়েমানুষের কথা বলিয় তাহার প্রস্তাব সে কানেও তুলিল না কমলাকে তাহার কক্ষচ্যুত করিয়া লইয়া গেল। রমণীর আর সাধ্য কি ক্ৰন্দনের বস্তায় বুক ভাসিল মাত্র। শিবনারায়ণ নিজেও বিশেষ অনুতপ্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। হীনচিত্ততার সংস্রব মহৎ হৃদয় সহিতে পারে না, তাই এতবড় একটা ঘৃণিত অভিনয়ের অভিঘাতে র্তাহাকে উত্তপ্ত কয়িয়া তুলিয়াছিল, কিন্তু সাধু লোকের ক্রোধ কাগজে লাগ আগুনের মত যেমনই জলে তেমনই শীঘ্ৰ নিবিয়া যায়, তাহার অঁাচে একটা ফোস্ক লাগিতে পারে, কিন্তু দগ্ধ করে না ! ঘণ্টা দুই চার পূরেই ঠাগু হইয়া বলিলেন “মেয়েটাকে যথার্থই নিয়ে যেতে দিলেম এতো ভাল হ’লনা একবার বাৰ নাকি ? করুণাময়ীর প্রাণ ত ইহাই চাহিতেছিল, তিনি সহৰ্ষে কহিয়া উঠিলেন “গেলে হতোন, কি জানি যে রকম লোক হয় ত টাকা পেলে আর কোথাও মেয়েটার বিয়ে দিয়ে দেবে।” “সে ভয় আমি করিনে, তাতে তুমি মিশ্চিন্ত থাক, বংশজের ঘরে কৈ অত বড় খাই মেটাতে পারবে ? অবস্থাপন্ন ঘবে কেউ আর টাকা দিয়ে ছেলের বিয়ে দেয় না, যত সুন্দরী মেয়ে হোক, টাকাই খোজে। তা ছাড়া মেয়েও ত ছোট নয় আর বোধ হয় খুব সেয়ানাও আছে সে কি সে রকম দেখলে তোমায় খবর না দেবে ভেবেচ ?” পরদিন শিবনারায়ণ ত্রিবেণী গিয়া করালী छांब्रठौ পৌষ, ১৩২০ চরণের সহিত সাক্ষাং করিলেন, বলিলেন, “যাহা চাহিয়াছিলে দিব কমলাকে পাঠাইল্প लों७ ।” করালীচরণের ক্রমেই চোখ ফুটিতেছিল লোভেই লোভ বাড়াইয়া চলে সে তৎক্ষণাৎ কহিল “তিনটি হাজার টাকা চাই, তাছাড়া আমার বাড়ীতেই বিয়ে হবে খরচাটাও আগাম দেবেন, এর এককড়া কমে চলবে না ।” অতি ক্রোধে আবার শিবনারায়ণ ফিরিয়া আসিলেন, তিনি বুঝিলেন দর ক্রমে বাড়িতেই থাকিবে, মনে মনে বলিলেন “তবে দেখ আমিও তোমায় জব্দ করব, দিন কত চুপচাপ থাকবো—গরজ না দেখলে তখন সেধে এসে যা বলবো তাই নিয়েই মেয়ে ফিরিয়ে দিতে হবে।” শ্বশুর বাড়ীর লোকেদের বলিয়া আসিলেন সেখান হইতে সৰ্ব্বদাই কমলার তত্ত্ব লইয় ংবাদ পাঠাইবে । কিন্তু একদিন যখন খবর আসিল করালীচরণ সপরিবারে হঠাৎ কোথায় চলিয়া গিয়াছে ভাগই তাহার মস্তকে বজ্রাঘাত হইল, প্রথৰ কয়দিন করুণাময়ীকে খবরটা জানাইভে পারিলেন না, নিজেই চারিদিকে সংবাদ লইতে লাগিলেন, শেষে ভক্তিনাথের সহিত পরামর্শ করিয়া কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হুইল,—কিন্তু কোন ফলই ফলিল না, করালী আসিল না শিবনারায়ণ অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হইয়া উঠিলেন। পরিশেষে সহসা একেবারে সকল সংবাদই রাষ্ট্র হইয়া পড়িল। ভক্তিনাথ মৰ্ম্মাহত চিত্তে রত্নপুকুর হইতে ফিরিয়৷ .চওঁীমণ্ডপের ভাঙ্গ তঙ্কোপোষে অধোমুখে বসিয়া পড়িলেন।