পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা পেলুম,—কৰ্ত্তাব ঘবের দরজা খুলে গেল । ঘরের ভিতব আলে জল্‌ছিল--দেখতে পেলুম,—সারি সারি লাইন-বন্দী তরোয়াল ঝুলচে। ভাগ্যে আমি সৈনিক হয়ে জন্মাইনি ! কৰ্ত্ত একটা ঢিলে লম্বা জমা—একটা লাল রংয়ের টুপী, আর একটা গোড়ালি কাটা, মাথার উপব শিং-উণ্টেনে অদ্ভুত রকম চটি জুতো পরে, আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। একবার আমার মনে হল, কৰ্ত্ত হয়ত ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই চলচেন, কিন্তু যখন ঘরের আলোটা তীব মুখের উপর পড়ল, তখন আমি দেখলুম, কোন রকম ভয়ানক দুঃখ হলে মানুষেব মুখ যেমন হয়ে যায়, তার মুখও ঠিক তেমনি হয়ে গেছে। র্তাব সেই চেহারা—আর পাঙাশ মুখ, সেই গম্ভীব ভাবের চলুনি, এখনও যখন আমার মনে পড়ে, বুকের ভিতবট ধড়ফড় করে ওঠে, রক্ত জমাট বেধে যায়। সে যেন গোর থেকে উঠে মর মানুষ চলে বেড়াচ্ছে ! তিনি যখন আমার খুব কাছ দিয়ে চলছিলেন, আমি জোর কবে নিশ্বাস বন্ধ করছিলুম। আর যখন একেবারে আমার পাশে এসেছিলেন, ওঃ, —আমার দম বন্ধ হয়ে গেছল । ংি—?--জোরে বেশ পবিস্কার স্ববে মনে হচ্চে –যেন এক গজ তফাতে--সেই আওয়াজ ! কোথা থেকে যে এল, আর কেনই যে এল, এইটিই হল বিষম সমিস্তে ! হতে পারে কৰ্ত্তাই এটা কচ্চেন, না, তাও ত নয়, কৰ্ত্তার হাত-দুখান অসাড় হয়ে দুদিকে বুলিছিল, থালি হাত ! তার কাছ থেকেই সোধ-বহন্ত

  • Q 2

আসছিল বটে, সক-চাচ। তবে মাথাব উপব । থেকে বাতাসে ভেসে আস্ছিল। কি এ ? কেউ বলতে পারবে না । কৰ্ত্তা কিন্তু কোন খববই নিলেন না । যেমন আসছিলেন, অমনি চলে গেলেন। এর পব আমি কি করলুম – তাও কি আর বলে দিতে হবে । একেবারে এক দৌড়ে গিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দোর বন্ধ কবে দিলুম। রক্ত সমুদ্রেব ভূতেব দল যদি আজ এখানে নিমন্ত্রণ খেতে আসে, তবুও আমি আর দবাজার বাইরে মাথা বার কচি না । মাসে চার পাউণ্ড মাইনে - মাইনে মোটা, অস্বীকার করব না কিন্তু প্রাণটার দাম চাব পাউণ্ডেব চেয়ে অ-নেক বেশী। আমার আর ক্ল,মবারে চাকরি করা পোষাবে না। চাকবিকে জবাব দেওয়াই স্থির । তারপর, আত্মা ? চিরকালেব জন্ত সে-ও যে উচ্ছন্ন যাবে । শয়তান যখন একবার দেখা দিয়েচে, তখন সে যে কোথা দিয়ে ফের জtল ফেলবে, সে কথা কে-ই বা বলতে পারে ! তোমরা বলবে, ভগবানেব ক্ষমতা শয়তানেব চেয়ে বেশ কিন্তু আমি বলি,—আমি গরিব মানুষ বাড়ীতে পাঁচটপুষ্য নিয়ে ঘর করি, কখনও কারে মন্দ কবিনি,—কে বড়, সে পরীক্ষায় আমার দরকারই বা কি ! আমি বেশ বুঝতে পেরেছিলুম যে জেনাবেল আর তার এই কোঠাটি অভিশপ্ত । যারা অন্তায় করেচে, তারা তার ফল ভোগ ককক—কিন্তু আমরা নিষ্ঠাবান প্রেস্বিটারিয়ান, আমরা কেন তার ভাগ নিতে যাই ! সময় সময় কুমারী বেণের জন্তে আমার মনটা বড় কাতর হত । আমার মনটা ভারী