পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె ఆ ভুল হয়েছে, আজ আর ঝড়-টড় কিছু উঠবে না ?” বৃদ্ধ নাবিক তাহার ভূয়োদৰ্শন-জ্ঞানের অভিজ্ঞতাস্বচক একটুখানি তাচ্ছল্যপূর্ণ মৃদু হাসি হাসিয়া জালের বোঝা বহিয়া অভীষ্ট কার্য্যে চলিয়া গেলে আমিও এস্থারকে লইয়া বাড়া ফিরিয়া আসিলাম । প্রথমেই আমি বাবার লাইব্রেরি ঘরে প্রবেশ করিলাম, কাকাব জমিদাবী-সংক্রান্ত একটা গোলগ্নৌগৈ কয়দিন হইতে মাথা ঘমাইয়াও কোন উপায় স্থির করিতে পারি নাই । বাবা বলিয়াছিলেন, এ বিষয়ে তিনি আমায় কতকগুলি লিখিত উপদেশ দিলেন এবং কিছু বুঝাইয়াও দিবেন। জমিদাবী পরিদর্শনের ভাব প্রধানত: বাবার উপরে স্তস্ত থাকিলেও ক্রমশ এখন তাহাব হস্তস্থলিত হষ্টয়া আমারই স্কন্ধদেশে সম্পূর্ণরূপে চাপিয়া বসিয়াছে । কাবণ সাহিত্য-চৰ্চায় বাবা আজকাল—এমনি মগ্ন হইয়া গিয়াছিলেন— , যে সংসাবের এই সকল ছোটখাট খুঁটিনাটি কাযের সেখানে আর স্থান ছিল না । আমি যখন বাবাব নিকট উপস্থিত হইলাম—তিনি তখন এসিয়ার কোন অদ্ভুত সাহিত্যরসে একেবারে তন্ময় ইইয়। গিয়াছেন। চৌকা টেবিলটার নিকট চেয়াবের উপর তিনি বসিয়াছিলেন । টেবিলেব উপর পুস্তক ও কাগজের স্ত,প এমন উচু হইয়া উঠিয়াছে, যে দরজার নিকট হইতে আমি তাহার কোমল কেশের উপরিভাগ ছাড়া আর কিছুই দেখিতে পাইতেছিলাম না। আমাকে ঘরে প্রবেশ করিতে দেখিয়া, ভারতী পৌষ, ১৩২ বাবা,পুস্তক হইতে চক্ষু তুলিয়া চশমাটি খুলিয়া টেবিলের উপর রাখিয়া দিলেন। তাহার পর একটু গম্ভীর ভাবে, ব্যথিতস্বরে কহিলেন, “আমাব ভারী দুঃখ হয় জ্যাক্ যে সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে তুমি একেবারেই অপরিচিত রয়ে গেলে । তোমার বয়সে– আমি সে মহান দেবভাষায় কথা বলতে ত পারতামই, তা ছাড়া লোহিতী গঞ্জেলী মালব তামিল তৈ এ গুলকেও দখল করে নিয়েছিলাম,—এ সবই টুরেণীয় শাখার উপশাখা।” বাবার মুখের ভাব দেখিয়া আমি দুঃখিতভাবে কুষ্ঠিত স্ববে কহিলাম, “সে আমার দুর্ভাগ্য বাবা—উত্তবাধিকার-স্বত্রে আমি আপনার এই আশ্চৰ্য্য বহুভাষাতত্ত্বের এতটুকুও পেলেম না ।” বাবা কহিলেন, তিনি এখন এমন একটি কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছেন, যদি বংশপরম্পর। ক্রমে সেই কাৰ্য্যটি শুধু নিজেদের মধ্যেই রাখিয়া দেওয়া যায়, তাহা হইলে ওয়েষ্টের নাম জগতে চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে। কথাটা তিনি খুলিয়াই বলিলেন । বাবা কহিলেন, “আমি বৌদ্ধধৰ্ম্মের সার সংগ্রহ করে একখানি ইংরাজী পুস্তক সঙ্কলন করব, এবং তার ভূমিকায় শাক্যমুনির আবির্ভাবের পূৰ্ব্বে— ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের কি অবস্থা ছিল, তারই বিশদ ব্যাখ্যা বুঝিয়ে দেব । আমার বিশ্বাস যদি রীতিমত পরিশ্রম করি—আমার মৃত্যুর পুৰ্ব্বে এই ভূমিকার কতক অংশ আমি শেষ করে যেতে পারব।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “কত দিনে এর শেষ হওয়া সম্ভব ?” বাবা কহিলেন, “এর একটা ক্ষুদ্র সংস্করণ পিকিনের রাজকীয়