পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা লাইব্রেরীতে আছে,—সেটা হচ্ছে, তিন শো পচিশ খণ্ডে বিভক্ত—আর তার প্রত্যেক থণ্ডের ওজন প্রায় প{চ পাউণ্ড । আমি ভাবচি–তার ভূমিকাতে সাম, ঋক্, যজু অথৰ্ব্ববেদ—এবং ব্রাহ্মণ এইগুলির বিষয় যদি ব্যাখ্যার সঙ্গে দেওয়া যায়, তাহলে ভূমিকাটি মোট দশ খণ্ডে বিভক্ত হবে। এখন যদি ধরা যায়, আমরা প্রত্যেক খণ্ডের জন্ত এক বৎসর করে সময় দিই ২২৫০ খৃষ্টাব্দে আমাদের বংশে প্রায় বারে পুরুষ পরে এই কাজটি শেষ হবার সস্তাবনা। আর তেব পুরুষ বোধ হয় মুচীটা শেষ করতে পারবে।” আমি হাসিয়া বলিলাম, "আমাদের নিম্নতম পুরুষের যদি সারা জীবন এই কাজ নিয়েই ব্যস্ত ; থাকে—তাহলে তার খাবে কি ? আমাদের ত জমিদারীটারি কিছু নেই।” বাবা ঈষৎ বিরক্তভাবে কহিলেন, “ঐ তোমার মহৎ দোষ। কাজের কথায় তোমার কখনই মনোযোগ নেই। আমার এই মহৎ উদ্দেশু কিরূপে সিদ্ধ হবে, তা না ভেবে— কোথা দিয়ে কি রকম করে কি কি বাধাবিপত্তি আসতে পারে, সেই ভাবনাই আগে ভাবতে বস্লে। যতদিন আমার বংশের উত্তর পুরুষের এই ধৰ্ম্মশাস্ত্রের ব্যাখ্যা নিয়ে কাটালে,—বেঁচে তারা থাকবে নিশ্চয়ই । থাবে কি ? সে তখন দেখা যাবে। ভগবান র্তার স্বল্প কোন জীবকেই অনাহারে রাখেন Fil 1" এ সম্বন্ধে ভগবানের প্রতি র্তাহার যে কতখানি নির্ভরতা, তাহ, এই উইগটাউনের ব্যাঙ্কসামারে আসিবার পূৰ্ব্বে পর্য্যস্ত আমরা সৌধ-রহস্ত ఫిఫి অস্থিমজ্জায় যথেষ্ট অনুভব করিয়াছি। অভাব, অনাহার, দরিদ্রতায় তাহাব স্বভাব-প্রফুল্ল চিত্তে এতটুকু উদ্বিগ্নতা আনিতে পারে নাই। সাহিত্যের আনন্দময় সিংহাসন হইতে, জ্ঞানের রাজ্য হইতে এতটুকুও টলষ্টতে পারে নাই। আমি চুপ করিয়া রহিলাম। আমায় নিবন্তব দেখিয়া বাবা কহিলেন, *আচ্ছা ! তুমি এখন যাও—ফাবগাস ম্যাক্‌ ডোনাণ্ডেব ঘরটা ছাওয়া হয়েচে কি না দেখ । ঝড়-জল হলে বেচারা কষ্ট পাবে, আর উইলি ফুলারটন লিখেচে, তার দুধ-ওয়ালী গাইটার কি অসুখ হয়েচে, সেই সব খোজ নাওগে,—এই সবই ত তুমি বোঝ ভাল। ইতিহাসের উপর তোমার কখনও শ্রদ্ধা নেই, যাও।” তিনি চশমা তুলিয়া লইয়া অধীত পুস্তকে মনোযোগ দিলেন। জানালার মধ্য দিয়া সুৰ্য্যাস্তের স্নান আলো ঘরের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছিল। বাবার ঈষৎ হতাশাব্যঞ্জক সকরুণ মুখের প্রতি চাহিয়া আমার ভাষা তত্ত্বে অনভিজ্ঞতার জন্ত মনে মনে আত্মগ্লানি জন্মিয়ছিল, স্থির করিলাম--আর আলস্ত না করিয়া এ বিষয়ে এইবার হইতে মনোযোগ দিব । সংকল্প যে আজ এই প্রথমই করিলাম, তাহা নয়—এ ইচ্ছা ইতি পূৰ্ব্বে আরো অনেকবার করিয়াছি—কিন্তু সাধু ইচ্ছ মামুষের বড় দুৰ্ব্বল, ইহার দৃঢ়তাও বড় ক্ষণস্থায়ী, দুই-চারি দিন সেই জটিল পথে পদ-চারণ না করিতেই ক্লাস্তিতে মন কেমন ভাঙ্গিয় পড়ে, কাজ কিছুই অগ্রসর হয় না ! বাবার আদেশ-পালনের জন্ত আমি যখন কক্ষ হইতে বাহির হইয়া আসিলাম, তখন কক্ষগাত্র বিলম্বিত ব্যারোমিটারটার প্রতি