পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У o e 8 ন যে বাঙ্গালাদেশে যখন পঞ্চ ব্রাহ্মণের অtগমন হয় নাই তখন গ্রহাচাৰ্য্যগণই প্রাণপাত করিয়া এদেশে বেদোক্ত ধৰ্ম্মের প্রচার ও রক্ষা করিয়াছিলেন । র্তাহীরাই এদেশের গুরু ও পুরোহিত ছিলেন। কালক্রমে গ্রহাচাৰ্য্যগণের পৃষ্ঠপোষক শশাঙ্কবাণীয় রাজগণের শাসন বিলুপ্ত হইল, ইহারাও হীনপ্রভ হইয়া পড়িলেন। নবাগত রাজার রাজ্যে কান্তকুজ হইতে পঞ্চব্রাহ্মণ আসিয়া যজ্ঞানুষ্ঠান করিলেন। তাহার দেশে প্রতিগমন করিলে বাঙ্গালীর দীনগ্রহণে প্রত্যবায়গ্ৰস্ত বলিয়া স্বদেশে স্বজাতীয়দের মধ্যে স্থান পাইলেন না। ফিরিয়াআসিয়া বাঙ্গালাদেশে বাস করিলেন। রাজার সমাদরে ঠাহীর বাঙ্গালীর সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হইয়া উঠিলেন। সেই ক্ষমতাপন্ন ব্রাহ্মণদিগকেও এই হীনপ্রভ সম্প্রদায়ের গৃহ হইতে কস্ত গ্রহণ করিতে হইয়াছিল এবং ইহাদ্বিগেরই অধিকাংশকে কুক্ষিগত করিয়া সমাজ বিস্তৃত করিতে হইয়াছিল। উহার রাজার নিকট নিজের মাহাত্ম্য অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্ত এদেশের হীনপ্রভ ব্রাহ্মণদিগকে অত্যন্ত দূরে রাথিলেন। স্বতরাং “যাহারে দেবতীয় করে হেল| তাহারে রাখালে মারে ডেল|” এই নীতি-বলে ইহাদিগের শিষ্য, যজমান সমস্তই হস্তচু্যত হইল। সুতরাং ইহার ক্রমে নিস্তেজ ও নিঃসম্বল হইয়া পড়িলেন। কাজেই এ সম্প্রদায়ের অধিকাংশই এখন ভারতী পৌষ, ১৩২৭ দীনদশাপন্ন। গ্রহাচার্যাগণ অর্থহীন হইয়াছেন তজ্জন্য বড় কাজ করিতে পারেন না । ধtহারা পারেন, তাহদিগকে কেহ উপেক্ষা করেন না। ভারত গবৰ্ণমেণ্টের তোষাখানার প্রথম দেওয়ান বেলুড়নিবাসী ৮ রামচন্দ্র আচাৰ্য্য মহাশয় তাহার মাতৃশ্ৰাদ্ধে ৫ • • • • ( পঞ্চাশ হাজার টাকা ) ব্যয় করিয়াছিলেন । তাহার গৃহে প্রায় ৫• • শত (পাচ শত ) ব্রাহ্মণ পণ্ডিত সমবেত হন এবং তিনি সমাজ শুদ্ধ সমস্ত ব্রাহ্মণকে ফলাহার ও ভোজন দ্বারা পরিতৃপ্ত করিয়াছিলেন। এতদ্ভিন্ন তাহার পরও অনেক ক্রিয় কৰ্ম্মাদিতে অধ্যাপকগণ ও সামাজিক ব্রাহ্মণগণ বোগদান করিয়া আসিতেছেন। অনেক ব্রাহ্মণ র্তাহীদের সহিত আমাদের যে কোনও পার্থক্য আছে, তাহা ব্যবহার দ্বারা বুঝিতে দেন না। তবে সমাজে ঈর্ষাপরায়ণ নষ্টদুষ্ট লোকেরও অভাব নাই। তাহারা শুধু আমাদের সহিত কেন অনেকের প্রতিই কোনও না কোন প্রসঙ্গে অসদ্ব্যবহার করিয়া থাকে । উপসংহারে বক্তব্য এই যে শ্ৰীযুক্ত সেনমহাশয় গ্রহাচাৰ্য্যগণের বিরুদ্ধে যেন অকারণ লেখনী পরিচালনা না করেন। আমরা অযথা কলহের পক্ষপাতী নহি, তজ্জস্য সরলভাবে সত্যঘটনাগুলি উল্লেখ করিয়া আমাদের বক্তব্য শেষ করিলাম । শ্ৰীযোগেশচন্দ্র উপাধ্যায় । রত্নাবলী নাটিকা (সিলভ্য লেভির ফরাসী হইতে ) ১ । বৎস-রাজার মন্ত্রী যৌগন্ধরায়ণ, একটা ভবিষ্যদবাণীর কথা অবগত হইলেন যে, সিংহলরাজ-দুহিত রত্নাবলী যাহার পাণিগ্রহণ করিবেন তিনি সাৰ্ব্বভৌম নৃপতি হইবেন ; কিন্তু বৎস-রাজার সহিত র্তাহার বিবাহ হইবার পক্ষে একটা বিষম বাধ৷ আছে। বৎস-রাজা স্বীয় মহিষী বাসবদত্তার প্রতি একান্ত অনুরক্ত ; তাই মন্ত্রীর ভয় হইল পাছে এই বাঞ্ছনীয় বিবাহে মহিষী বিরোধী হন। মন্ত্রী একটা ফিকির ঠাওরাইলেন। ফিকিরটিতে যেমন বেশ একটু নিপুণতা আছে, তেমনি একটু জটিল ধরণের । তিনি বৎস-রাজার জন্ত রত্নাবলীর পিতার নিকট, রত্নাবলীর হস্ত প্রার্থন করিলেন। যৌগন্ধরায়ণের সনিৰ্ব্বন্ধ অমুনয়ে সিংহল-রাজ এই বিবাহে সন্মতি দিলেন এবং