পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ নবম সংখ্যা

  1. .

মুক্ত, সরল, আবার পরক্ষণেই গম্ভীর, জটিল । তবে তাহার মধ্য দিয়া তপোবনের প্রাচীন চিত্রের যেটুকু আভাষ পাওয়া যায়, তাহ স্কিন্ধ ও মনোরম। বহিখানির ছাপা-কাগজ আরও উচু দরের হওয়া উচিত ছিল। অধুনিক সভ্যতা।—শ্ৰীযুক্ত শিবেন্ত্রকিশোর রায় চৌধুরী প্রণীত। লক্ষ্মী প্রিণ্টিং ওয়ার্কসে মুদ্রিত। মূল্য আট আনা । গ্রন্থখানি পাঠ করিয়া আমরা সুখী হইয়tiছ। বাহিরের আদবকায়দা, বেশভূষা প্রভৃতি সম্বন্ধে এই গ্রন্থে আলোচন৷ করা হইয়াছে। মুসলমান খ্ৰীষ্টান প্রভূতি জাতির সহিত আলাপ-পরিচয়ে কিরূপ ‘আদব-কায়দা মানিতে হইবে, লিজেদের মধ্যে বা মুসলমান-ইংরাজকে চিঠি-পত্ৰ লিখিতে কিরূপ পাঠ লেখা শোভন ও অবগুক, তাহারও আলোচনী গ্রন্থকার বাদ দেন নাই । ফলতঃ বাঙ্গালা ভাষায় এরূপ একখানি গ্রন্থের বিশেষ অভাব ছিল ; গ্রন্থকার তাহ দূর করায় আমাদিগের একান্ত কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন। রাঢ়ীয় কুল্পদ্রুমঃ —প্রথম খণ্ড । মুখবংশঃ । ঢাকা, বিক্রমপুর, পুরাপাড় নিবাসিন শ্ৰীচন্দ্রকান্ত ঘটক বিদ্যানিধিনী সংগৃহীত: প্রকাশিতশ্চ । মূল্য দুই টাক। এই প্রকাণ্ড গ্রন্থের ভূমিকায় সংগ্ৰহকার বিদ্যানিধি মহাশয় বলিয়াছেন, “বিধাতার স্বঃ জগতে যাহার। যে জাতি বলিয়া সমাজে পরিচিত হইয়৷ থাকেন; তাহদের সেই জাতির আদিম বিবরণ ও পূৰ্ব্বপুরুষানুক্রমিক বংশ পরিজ্ঞাত হওয়া আবশ্বক ! * * পুৰ্ব্বকালে পরিবারস্থ প্রাচীন কৰ্ত্তার তাহদের পুত্রপৌত্র প্রভৃতিকে বাল্যকালে নাম-শ্লোক শিক্ষাব সঙ্গে সঙ্গে আপন আপন পিতা হইতে উৰ্দ্ধতম পঞ্চম পুরুষের ও মাতামহ-কুলেন চারি পুরুষের নাম, গোত্র গাই এবং বংশ-কুল শিক্ষা করাইতেন ।" কিন্তু এক্ষণে এ প্রথ উঠিয়া গিয়াছে ; তাহার ফলে আমরা বিলাতের টিউডর ংশ, ষ্ট য়াট/ বংশের ধারাবাহিক তালিক অনায়াসে তৈয়ার করিতে পারলেও নিজেদের পিতামহ বা মাতমহের উর্দ্ধতম পুরুষগণের নাম জানি না—ইহা যে আমাদের পক্ষে বিষম লজ্জার কথা, তাহ আর বলিয়া দিত্তে হইবে না। পুৰ্ব্বে ঘটকগণের নিকট বংশ-তালিক। সমালোচনা لاخاه لا থাকি ত; বিবাহদি সময়ে উভয় পক্ষের বংশাবলীর আবৃত্তির প্রথাও প্রচলিত ছিল, এবং এই সকল কারণে উচ্চ নীচ বর্ণ সমূহের পুর্বপুরুষগণের তালিকাও ঠিক থাকিত । এখন ঘটকগণের মধ্যেও বংশ-তালিকাবুক্ষণের বিধি নাই, সেরূপ ঘটকও বিরল--অন্নদায়ে উদূত্রাপ্ত কয়েকটি বেচার জীবই অধিকাংশ স্থলে বিবাহের ঘটকালি করিয়া বেড়ায়। আমাদেরও এদিকে লক্ষ্য নাই, কাজেই পুৰ্ব্বপুরুষগণের নামের তালিকা সংগ্ৰহ, বা সংরক্ষণে আমর একান্তই উদাসীন । ইহা দুর্ভাগ্যের বিষয়, সন্দেহ নাই। বিদ্যানিধি মহাশয় বিস্তর শ্রম ও অধ্যবসায় স্বীকার করিয়া প্রাচীন ঘটকগণের সংগৃহীত ‘কুলপঞ্জিকা "কুল-কল্পলতিকা" প্রভৃতি গ্রন্থ, রাজা লক্ষ্মণসেনের সমসাময়িক সমীকরণ বা সুত্রাদি ও আরও বিস্তর প্রাচীন পুথি অবলম্বনে বঙ্গীয় কুলবংশ প্রচারের ভার গ্রহণ করিয়াছেন। বর্তমান খণ্ডে ভরদ্বাজ গোত্রজ মুখোপাধ্যায় দিগের কুশীনাম সংগৃহীত হইয়াছে। মুখোপাধ্যায়-বংশীয়গণ, উৰ্দ্ধতন চারি-পাচ পুরুষের নাম জtণ থাকিলে,—এই গ্রন্থ অবলম্বনে অনায়াসে শ্ৰীহৰ্ষ হইতে আপনাদিনের কুল-ধারানির্ণয়ে সক্ষম হইবেন । এ কার্য) বহু ব্যয় ও শ্রমসাধ্য তথাপি বিদ্যানিধি মহাশয় যে এ কার্ঘ্যে অগ্রসর হইতে পরামুখ হন নাই,সেজন্য তিনি বঙ্গবাণী মাত্রেরই কৃতজ্ঞতাভাজন। উৎসাহ ও সহানুভুতি পাইলে তিনি অপরাপর বংশাবলীও প্রকাশিত করিবেন । আশা করি, বাঙ্গালী দেউৎসাহ ও সহানুভূতি-প্রদানে কার্পণ্য করবেন ন। ইহার অবশিষ্ট খণ্ডগুলি প্রকাশিত হইলে শুধু যে ব্রাহ্মণ বংশের বংশ-তালিকাই সম্পূর্ণ হইবে তাহী নহে, বাঙ্গালীর ইতিহাসও সমধিক সমৃদ্ধি লাভ করিবে, সে বিষয়ে এতটুকু সংশয় নাই। গ্রন্থখানি বেশ স্বগৃস্থল ধারায় সজ্জিত। ছাপ বেশ ঝরঝরে ও বড় অক্ষরে হওয়ার দরুণ কোন নাম দৃষ্ট এড়াইয়া যায় না। কাগজও ভাল । ঐসত্যব্ৰত শৰ্ম্ম । ত্রিস্রোত—কবিতা-রেণু ব্লচরিত্র দিনাজপুর, গণেশতল হইতে প্রকাশিত। মুল্য একটাক । এখনি গ্রন্থকৰ্ত্তীর দ্বিতীয় কবিতা পুস্তক।