পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-> ०१२ প্রকোকিলেশ্বর ভট্টাচাৰ্য মহাশয় বইখানির ভূমিকা লিথিয়া না দিলে লেখিকাকে হয়ত কোন কঠিন সমলোচকের তীব্র আঘাত সহ করিতে হইত, কেন না আধুনিক সমালোচকের নাকি “কষ্টিপাথরের” উপর সাহিত্যকে পরীক্ষা করিয় লন । কোকিলেশ্বর বাবু লিথিয়াছেন "নারীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদে বঞ্চিত হইয়৷ এই পবিত্র বিধবা রমণ কঠোর ব্রহ্মচৰ্য্য-ব্রত অবলম্বন করিয়া স্বর্গগত ইহার হৃদয় দেবতার সতত অনুধ্যালে নিমগ্ন রহিয়াছেন।” বাংল-দেশের একজন বিধবা নারীর করুণরাগরচিত এই কবিতাগুলি স্ত্রীশিক্ষার পৃষ্ঠপোষক কোন শিক্ষিত বঙ্গীয় পাঠক অনাদর করিবেন না । বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাঙ্গুর সভার একবিংশ বার্ষিক কাৰ্য্য বিবরণী—বৌদ্ধধৰ্ম্মালোচনা প্রচার এই সভার উদ্দেষ্ঠ । পালিগ্রন্থেব মূল বঙ্গানুবাদ প্রকাশ করিবার জন্তু এই সভা উদ্যোগী হইয়াছেন জানিয়া আমরা আশ্বস্ত হইলাম। “পরের মুখের ঝাল খাওয়ার মতন" এতদিন পালিভাষাবিদ্‌ য়ুরোপীয় পণ্ডিতগণের নিকট আমরা বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিষয়ে কিছু কিছু জানিতে পারিয়াছি। এই সভার বিবরণীতে ৰেলপুর ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমের ভুতপুৰ্ব্ব সংস্কৃত অধ্যাপক পণ্ডিত বিধুশেখর শাস্ত্রী, এবং ত্রযুক্ত চারুচন্দ্র বস্ব প্রভৃতি পালিভাষাবিদের নাম দেখিলাম। আশা করি সভা ইহাদের সাহায্যে পলিগ্রন্থের মুলবঙ্গানুবাদ প্রকাশ করিয়| বঙ্গীয় শিক্ষিত মণ্ডলীর কৃতজ্ঞতাভtঞ্জন হইবেন। ঐনঃ– স্বরলুিপি-গীতি-মাল প্রথম ভাগ— এই সঙ্গীতপুস্তকখানি শ্ৰীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্ৰ নাথ ঠাকুর কর্তৃক সঙ্কলিত,এবং ডোয়ার্কিন এও সন কর্তৃক ৮২ নং ডালহাউসি স্কোয়ার হইতে প্রকাশিত। মুল্য ১॥• । পুঞ্জনীয় ঐযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় সঙ্গীতের উন্নতিসাধনাৰ্থে আজীবন যে পরিশ্রম ও যত্ব করিয়াছেন, এই গ্রন্থ খানি তাহীরই অন্ততম পরিচয়। ইহার এই নূতন সংস্করণ দেখিয়া আমার অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়াছি। ইহাতে পূজনীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৬৮টি ভারতী পৌষ, ১৩২০ গানের স্বরলিপি আছে, সুতরাং সাধারণের নিকট ইহার আদর অবগুম্ভাবী। পূজনীয় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের প্রবর্ভূিত আকার মাত্রিক স্বরলিপির বিশদ ব্যাখ্যা প্রথমেই দেওয়াতে শিক্ষার্থীর পক্ষে গানগুলি আয়ত্ত করা সহজ । এতদ্ভিন্ন ত{ল লয় প্রভৃতি দুরূহ অথচ অবস্তজ্ঞাতব্য বিষয়গুলি যেরূপ পরিস্কারভাবে বুঝানো হইয়াছে, তাহতে পাঠকমাত্রেরই সঙ্গীতশাস্ত্র সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ জ্ঞানলাভ নিশ্চয়ই হইবে। তালের বেলের সঙ্গে সঙ্গে যে সঙ্কেতিক ছড়া বসানো হইয়াছে, তাহা ছেলেবুড়ে। সকলেরই পক্ষে অতীব কৌতুকাবহ এবং সেই জন্যই স্মরণযোগ্য । আজকালকার দিনে যখন পুরাতন ওস্তাদ-সক্রেদ সম্বন্ধ অনেক পরিমাণে ঘুচিয়া গিয়াছে;এবং গ্রামোফোণ ঘরে ঘরে গুরুর স্থান অধিকার করিয়াছে তখন বিশুদ্ধ হিন্দুসঙ্গীতের এই প্রকার সরল সংক্ষেপ ব্যাখ্য| বালকদের শিক্ষার পক্ষে অত্যন্ত আবশ্বক হইয় পড়িয়াছে। হারমোনিয়মে গানের সঙ্গত শিখানে বইখানির মুখ্য উদেষ্ঠ হইলেও, স্বরলিপি দৃষ্টে গানগুলি এস্রাজ বেহাল প্রভূতি যন্ত্রেও বাজাইতে পার যায় এবং বাজাইলেই ভাল হয় । এই যন্ত্রগুলির সুবিধ। এই যে সহজেই সব জায়গায় বহা যায়, এবং গায়কের কণ্ঠস্বর ছাপাইয়া তাহারা নিজের প্রভুত্ব জ্ঞাপন করেন। সঙ্গীত সম্মিলনীতে, সঙ্গীত বিদ্যালয়ে, ও সঙ্গীতানুরাগী ব্যক্তিদের ঘরে ঘরে এই পুস্তকের বহুল প্রচার বাঞ্ছনীয়। এবং ডোয়াকিন কোং সেই প্রচারের এরূপ সুলভ ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন বলিয় সঙ্গীতজ্ঞ মাত্রেরই ধন্যবাদের 列国世 পরিশেষে বক্তব্য এই যে ভূমিকায় সামান্ত দুই একটা ছাপার ভুল লক্ষ্য করিয়াছি, এবং শুদ্ধিপত্রও কিছু বেশি দীর্ঘ বলিয়া বোধ হইল। মস্ত্রের স্তায় স্বরলিপিতেও একটি অক্ষর বা চিহ্নের ভুলে সৰ্ব্বনাশ ঘটতে পারে; পাঠ্য পুস্তকের মত ইহাতে সাত খুন মাফ করা যাইতে পারে না, সুতরাং আশা করি আগামী সংস্করণ যাহাতে নিভুল হয় প্রকাশকগণ সে বিষরে বিশেষ যত্নবান হইবেন। 够 জী............দেবী ।