পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A e Òe অবস্থার উন্নতি হইয়াছিল। কিন্তু শীঘ্রই উহার ভারতবাসীয় এ উপকার বিস্তুত হইলেন । বুয়ারগণ পরাজিত হইবার পর সমগ্র দক্ষিণ আফি কী যখন ইংর জ সামাজ্যভুক্ত হইল, দেশে স্বশাসন প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য যখন পালামেণ্ট গঠিত হইল তখন ভারতবাসীর সকল আশ নিৰ্ম্ম ল হইল। উপকারের প্রত্যুপকার যে ধৰ্ম্মসঙ্গত তাহা কাহারও মনে হইল না। বুখারদের অধীনে বাস ল রিধার সময় ভারতবাসীর প্রতি যত অত্যাচার ইষ্টত, ইংরাজ ও বুয়াবে মিলিত পালমিন্টের অধীনে ততোধিক অত্যাচার অlরস্ত হইল । জানিন ইংরাজদের মত ন্যায়পরায়ণ জাতির ন্যায়নিষ্ঠত, শুভ কামনা কোন দেবতার অভিশাপে শূন্যে বিলীন হইয় গেল । ঠাহীর সকলে মিলিয়া যে সকল অত্যtuারমূলক আইন বিধিবদ্ধ করিলেন, তন্মধ্যে নিম্নলিখিত কয়েকটি আইন প্রধান :– ( ১ ) ইমিগ্রেসন আইন । আসিয়ার কোন অধিবাসীকে দক্ষিণ আফি,কায় নামিতে হইলে এমন কয়েকটি সৰ্বে আবদ্ধ গুইতে হয় যাহ। মনুষ্যত্ব ও দ্যায়ধর্মের বিরোধী। কোন ইউরোপীয়কে এই সৰ্ত্তে আবদ্ধ হইতে হয় না । (২) দক্ষিণ আফ্‌ িকায় যে সকল ভারতবাসী জন্মগ্রহণ করিয়াছেন তাহার স্বাধীন ভাবে কেপ কলেনিতে প্রবেশ করিতে পরিবেন না। পূৰ্ব্বে র্তাহীদের এই অধিকার ছিল । (৩) নেটীলের ভারতবাসী মজুরগণ চুক্তির সময় উত্তীর্ণ হইয়া গেলে তিন বৎসর পর্য্যন্ত বাৎসরিক ৪৫ টাকা ট্যাক্স দিবার পর তথায় স্বাধীন ভাবে বাস কবিতে পারে। কিন্তু অন্যান্ত প্রদেশে তাহদের বাস করিবার অধিকার নাই । ( s ) ভারতবর্য হইতে মজুরদিগকে চুক্তি বদ্ধ করিয়া লইয়া যাওয়া হয়। আইন করা হইল প্রত্যেক চুক্তিমুক্ত ষোল বর্ষের অধিক বয়স্ক পুরুষ এবং তের বৎসরের ও তদুৰ্দ্ধ বয়সের নারী বৎসরে ৪৫ টাক৷ ট্যাক্স দিতে বাধ্য। এই আইনের দুটি উদ্দেশ্ব। প্রথমতঃ, স্বাধীন ভারতবাসীকে দক্ষিণ আফ্রিকা হইতে বহিষ্কৃত কর, কারণ ট্যাক্স দিতে না পারিলে তাহার জেলে যাইবার এই আইন অনুসাবে ভারতী পৌষ, ১৩২৭ ভয়ে দেশ ছাড়িয়া যাইবে । দ্বিতীয়তঃ চুক্তি মুক্ত হইবার পর ট্যাক্স দিত্তে অসমর্থ হইলে তাহারা পুনরায় চুক্তিতে অীবদ্ধ হইয়। দাসত্ব গ্রহণ করিতে বtধ্য হইবে । কেন ম{ স্বাধীন ভাবে বসবাস করিতে গেলেই এই ট্যাক্স দিতে হয়। দক্ষিণ আফিকার প্রধান প্রধান নেতাগণ বলিয়াছেন, “আমরা ভারতবাসীকে এদেশে যে চাই না এমন নহে, কিন্তু তাহাদিগকে কুলিরূপে চাই, তাহার। আমাদের দাস হইয়| আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি করিয়া দিবে। নিজের স্বাধীন ভাবে ব্যবসা বাণিজ্য কfরয় আপনাদের অবস্থার শ্ৰীবৃদ্ধি কfরয় তাহদের দেশকে সম্পদশালী করিবে কেন ? আমাদের দেশে যখন আসিয়াছে তখন চিরকাল আমাদের দাস হইয়। থাকুক। স্বাধীন ভাবে আমাদেরই মত প্রজাস্বত্ব ভোগ করিয়া, কবিগান খনির মালিক হইয়া, জমিদার হইয় স্বচ্ছন্দে জীবন কাটাইয় দিবে, এক তাহীদের স্পৰ্দ্ধা ? কৃষ্ণবর্ণ জাতির এ স্পর্দা কখনও বরদস্তি করা যাইতে পারে না । অতএব স্বাধীন ভারতবাসীর অস্তিত্বের মুলোচ্ছেদের জন্য এই ট্যাক্স নিৰ্দ্ধারিত হইল। এই রক্ত শোষণকারী ট্যাক্স কত পরিবারকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করিয়া দিতেছে, কত পুরুষকে পাপে ডুবাইয়া দিতেছে, কত রমণীকে অধৰ্ম্মের পথে দাড় করাইতেছে তাহার ইয়ত্ত নাই। ভাবিয়া দেখুন, একটি পরিবারে পিতা, মাত, একটি ষোল বয বয়স্ক পুত্র এবং একটি তের বর্ষের কন্যা থাকিলে প্রত্যেককেই বৎসরে ৪৮ টাকা ট্যাক্স দিতে হয়। কোন দরিদ্র ব্যবসায়ীর পক্ষে প্রতি বৎসর এত টাকা ট্যাক্স দেওয়া কি ভয়ানক ক্লেশকর! ( ৫ ) দক্ষিণ আফ্রিকায় কিংবা তাহার বাহিরের কোথাও হিন্দু ও মুসলমান ধৰ্ম্ম অনুসারে যে বিবাহ হইয়াছে তাহ অবৈধ। এই আইন অনুসারে কোন হিন্দু কিংবা মুসলমান স্ত্রী দক্ষিণ আফি কায় আইনতঃ স্ত্রী বলিয়। গণ্য নহেন । সুতরাং কোন বিবাহিত৷ হিন্দু কিংবা মুসলমান রমণী দক্ষিণ আফিকায় আইনতঃ প্রবেশ করিতে পারেন না। কিংবা দেশে থাকিলে স্বামীর নিকট যাইতে অথবা অল্পদিনের জন্য দেশে ফিরিয়া আসিতে আইনতঃ অক্ষম। তাছাদের বিবাহ অবৈধ বলিয়া উহাদের সন্তান সস্তুতিও অসিদ্ধ। এই জঘন্ত,