পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У обу দিগকে গুলি করিয়া মারিতে কিংবা বেত্ৰাঘত করিতে পারেন। অনেক স্থলে খনির কুলিগণ ধৰ্ম্মঘট করিয়াছে তাহাদিগকে কাজে আনিবার জন্য খনির মালিকগণ তাহাদিগকে বেত্রাঘাতে মৃতপ্রায় করিতেছেন। ব্যবসা করিবার জন্ম ভারতবাসীকে অনেকস্থলে লাইসেন্স দেওয়৷ কয় না। কতবার এইরূপ ঘটিয়াছে যে এই আইনের প্রতিবাদ কল্পে ভারতবাসিগণ বিনা লাইসেন্সেই রাস্তায় জিনিষ ফেরী করিয়াছেন । পুলিস আসিয়া যেই তাহদের ধরিয়া কারাগারে লইয়া গেল, অমনি একদল নারী আসিয়া জিনিষ ফেরী করিতে আরস্ত করিলেন, পুলিস ইহাদিগকেও ধরিয়া লইয়া গেল, আবার অীর একদল আসিলেন । এইরূপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, একাগ্র নিষ্ঠা, ও আত্মবিসর্জনের উজ্জ্বল দীপ্তিতে তাহারা তাজ ভারতবর্ষের নরনারীর বীরত্ব জগৎসমক্ষে ঘোষিত করিতেছেন । এখন এই সংগ্রাম ত্যাগ করিয। অপমান ও লাঞ্ছনার বোঝা বহন করিয়া অবনত মস্তকে যদি স্বদেশে ফিরিয়া আসেন তবে তাহারা অত্যাচারের হস্ত হইতে নিষ্ক তি লাভ করিতে পারেন বটে কিন্তু বিদেশে ভারতবাসীর গৌরব ও মর্য্যাদা রক্ষা করিবার জন্য উহাদের এই যে প্রাণপণ সংগ্রাম ইহার অক্ষয় ফল হইতে তাহ হইলে ভারতবর্ষ বঞ্চিত হয়। র্তাহব। ভারতবাসীর অপমান সুচক এই সকল আইন রহিত করিয়াই ভাবতবাসীর মৰ্য্যাদা কুপ্রতিষ্ঠিত করিয়া, ইউরোপীয় সুসভ্য জাতিদের সহিত ভারতবাসীকে সমান আসনে বসাইয়। ভারতবর্যের মহিমা ও গৌরব জগতের সম্মুখে তুলিয়া ধরিতে দৃঢ় প্রতিজ। এই সংগ্রাম আরে৷ পাচমাস কাল অব্যাহত রাখিতে পারিলে তবে স্ববিচারের আশা আছে। এই ভারতী cशोष, ०७२० পাচ মাস র্তাহাদিগকে জীবিত রাখিতে হইলে সমগ্র ভারতবর্ষ হইতে প্রতিমাসে অন্ততঃ ৭১ হাজার টাকা পাঠাইতে হইবে। আজিকার এই সহানুভূতি জ্ঞাপন কেবল কাগজে কলমে না থাকিয়, কেবল প্রস্তাবের মধ্যে আবদ্ধ ন৷ রহিয়া প্রকৃত কার্য্যে পরিণত হউক। আমাদের অত্যাচার পীড়িত লাঞ্ছিত ভাইভগিনীদিগের দুঃখে অন্তরের দুঃখ ঢালিয়া দিয়া, তাহদের অশ্রতে অশ্রু মিশাইয় তাহদের কণ্টকাকীর্ণ পথের যাতন প্রাণে বিন্দুমাত্রও অনুভব করিবার জন্য আজ আমরা প্রস্তাব করি যে সমগ্র বঙ্গনারীসমাজ এক প্রাণে মিলিত হইয় একটি দিন নিৰ্দ্ধারণ করিয়া উপবাস করুন। সে দিনের অtহার্য্যের ব্যয় প্রত্যেক নারী, লাঞ্ছিত ভীষ্ট ভগিনীদিগের জন্য প্রেরণ করুন। সমগ্র বঙ্গের প্রত্যেক প্রসিদ্ধ স্থানের রমণীসমাজকে পত্র লিখিয় ঐ দিনে উপবাস করিতে অনুরোধ করুন। একটি দিনের এই সামান্য ত্যাগ সমগ্র দেশের নারীসমাজের অস্তরে যে শক্তির তরঙ্গ উত্থিত করিবে তাহ হয়ত আমাদিগকে আমাদের স্বাভাবিক জড়ত, আরামপ্রিয়তা, ও নিশ্চেষ্টত হইতে তুলিয়া ধরিয়া মনুষ্যত্বের ভাবে জাগরিত করিতে সক্ষম করিবে । শ্ৰীকুমুদিনী মিত্র। বিশেয আনন্দের বিষয় যে বড়লাট বাহাদুর লর্ড হাডিং দক্ষিণ আফ্রিকায় নিপীড়িত ভারতবাসীর পক্ষ গ্রহণ করিয়া তাহীদের দুঃখ নিবারণে সচেষ্ট হইয়াছেন। তাহার এই সহৃদয়তার জন্য আমরা ভারতবাসী মাত্রেই তাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করিতেছি । কবিবর রবীন্দ্রনাথ সকলেই জানেন কবিবর শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিলাতের শ্রেষ্ঠ সন্মান—নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত হইয়াছেন। এই সম্মানকে আমরা ব্যক্তিবিশেষের সম্মান বলিয়া মনে করিতে পারি না—আমাদের দেশের শ্ৰেষ্ঠ কবি যে জগতের সমক্ষে শ্রেষ্ঠ কবি বলিয়া স্বীকৃত হইয়াছেন ইহা আমাদের দেশেরই গৌরব। এই গৌরবআননে পুর্ণ হইয়া কবিবরকে অভিনন্দন করিবার মানসে গত ২৩ শে নভেম্বর প্রায় পাঁচশত লোক কলিকাতা হইতে স্পেশল ট্রেণে বোলপুর শান্তিনিকেতনে গিয়াছিলেন। তাহার বিশদ বিবরণ এখানে প্রকাশ করিবার প্রয়োজন নাই—কারণ সে সংবাদ প্রায় সমস্ত সাময়িক পত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল । আমরা কেবল সেই দিনের সংগৃহীত কয়েকখানি ছবি এইস্থানে প্রকাশিত করিলাম ।