পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দশম সংখ্যা সামান্ত গুণরাশি শিবাজীর শ্রুতিগোচর হওয়াতে মহারাজ স্বহস্তে র্তাহাকে এক পত্র লিখিয়া রাজসভায় আমন্ত্রণ কবিয়া পাঠান । তুকারামকে রাজবাটীতে আনাইবার জন্য তাহার নিকট লোকজন অশ্ব রথ রাজছত্ৰ প্রভৃতি বহুবিধ সরঞ্জাম প্রেরিত হইল কিন্তু তুকারাম মহারাজের আমন্ত্রণ স্বীকার করিলেন না। তিনি সেই সকল উপকবণ সমগ্রী ফিরাইয়া দিয়া রাজা ও র্তাহাব মন্ত্রীবর্গকে যে উপদেশপূর্ণ ছন্দোময় পত্র লেগেন তাঙ্গব সার মৰ্ম্ম এই ঃ — ভাল নাহি বসি ছত্র ঘোটক মশাল, ইথে কেন জড়াইছ আমাকে ভূপাল ! ধনমান আড়ম্বর বড় ঘৃণা করি, এ বিপদ হতে মোরে রক্ষ কর হরি । ভাল যা না বাসি তাই চাও সঁপিবারে, এ সঙ্কটে কেন বল ফেলিছ আমাবে। সঙ্গী ও সংসার হতে অতি দূরে থাকি, কথা নাহি ক’ব তার রহিব একাকী । মান দস্ত লোকাচার ঘৃণা করি অতি, এ সব তোমারই থাক্, হে পাণ্ডরিপতি। 来源 豪 谍 ব্রহ্ম। এ ব্রহ্মাও-রাজ্য করিয়া প্রকাশ, বিচিত্র শক্তির তার করিল। আবাস । পত্র পড়ে মনে হয় ভক্তি তব দড়— সুচতুর, বুদ্ধিমান, গুরুভক্ত বড়। লোকের ভাগ্যের সুত্র অাছে তব হাতে “শিব” এই পুণ্যনাম সেজেছে তোমাতে । করি ধ্যান আরাধন, যাগ যজ্ঞ আীর, স্ববশে এনেছ তুমি হৃদয় তোমার। সাক্ষাৎ করিতে তুমি চেয়েছ রাজন, উত্তরে মিনতি মম করহ শ্রবণ । হীনত্রী, অরণ্যবাসী, আসক্তি-বিহীন, বস্তুtভাবে স্নানকীয়, অন্নভাবে ক্ষীণ । অামার বোম্বাই প্রবাস Y eq j. জীর্ণ হস্তপদ অতি, দেখিতে কুংলিত, আমারে দেখিয়া তুমি ন হইবে প্রীত। 家 来 紫 আমি হে তোমারে করি এতেক মিনতি, জানিছ হরির কৃপা আছে তোম। প্রতি । পাওরঙ্গ পদে যার মন আছে লীন, নহে সে কৃপার পাত্র নহে দীন হীন । পাণ্ড রঙ্গ রক্ষাকৰ্ত্ত, সহায় আমার, ছাড়ি তারে অন্ত করে নাহি মানি আর । তোমার দর্শনে তবে কি হইবে ফুল, ংসার বাসন যবে ছেড়েছি সকল । বিসর্জন কবি দিয সব বসনীয পেয়েছি নিবৃত্তি-গ্রাম অল্প খাজনায । পতিব্ৰত। যেই প্রেম রাপে পতি পূরে মন মোর সেই মত বিঠোবার তবে । বিঠ ঠলই সমস্ত বিশ্ব অব কিছু নীহ, তোমার মধ্যে ত তবে দেখিবারে পাই । রামদাস রয়েছেন সদগুরু অতি, মনস্থির একমাত্র কর তার প্রতি । তুক কহে “শুন ওগে বুদ্ধির আগার, ভক্তি একমাত্র হয় ভক্তের উদ্ধtর ।” 安 冢 × যাইয় তোমার কাছে কি হবে আমার, মিছামিছি কষ্ট শুধু হইবেক সার। খাবার অভাব হয় খাব ভিক্ষণ ক’রে, বস্ত্র চাই, ছিন্ন বস্থ আছে পথে পড়ে। শয্যা মোর পড়ে অাছে পথের পাষণ, আকাশেরে বস্ত্র করি, করি পরিধান । বল তবে আর করি কিসের প্রত্যাশ, বাসন সে জীবনেরে করে শুধু হ্ৰাস । রাজার প্রাসাদে যায় মানের অtশায়, কহ দেখি মোরে, সেথ শান্তি পাওয়া যায় ? মহতেরই তরে শুধু রাজার আলয়, ক্ষুদ্র যে তাহার সেখী মান্ত নাহি হয় । বসন ভূষণ আদি আড়ম্বর যত দেখ সে আমার পক্ষে মরণের মক্ত ।