পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দশম সংখ্যা বিদ্রোহী দলেব নেতা সমরসিংহ, তুলাজী পেশওয়ার নামক রাঘেtবার অনুচর সমরসিংহের সহযোগী। বিদ্রোহীগণ সন্মুখের দ্বার ছাড়িয়া অভ্যন্ত দ্বার দিয়া প্রাসাদে প্রবেশ করত পেশওয়াব শয়ন গৃহের দিকে ধাবিত হইল । নারায়ণরাও তাহীদের গোলমাল শ্রবণে ভীত হইয়া কাকবি প্রকেণ্ঠে প্রবেশ করিলেন —সমরসিংহ তাহাব পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল। যুবক কাকাব পায়ে কাদিয়া পড়িয়া কাতর স্বরে প্রাণ ভিক্ষ চাহিল। রাঘোব। সমবসিংহকে ক্ষান্ত হও বলিয়া অনুরোধ করিলেন কিন্তু দে অনুবোধ শোনে কে ? ভূতকে বোতল হইতে ছাড়িয়া দিয়া এখন কি তাকে শান্ত বাখা যায় ; সমরসিং উত্তর করিল “এতদূব আসিয়া কি আমি নিজেই মরিতে যাইব ? ছাড়িয়া দেও নতুবা তুমিও মারা পড়িবে।” . রাঘোলা ছাড়াইয়া ছাতে গিয়া লুকাইয়া রহিলেন । নারায়ণবtও পলায়নোদ্যত কিন্তু পাষণ্ড তুলাজী তাহার পী টানিয় তাহাকে ধরাশায়ী করিল। এমন সময় চাপ{জী নামক একজন বিশ্বাসী রাজভূত্যের প্রবেশ । তাহার হাতে যদিও কোন অস্ত্রশস্ত্র নাই – সে দৌড়িয়া গিয়া তাহাব প্ৰভু ও অস্ত্রধারীদেব মধ্যে ব্যবধান হইল । তাহাকে দেখিয়া নারায়ণরাও তাহাব গলা জড়াইয়া ধরিলেন—চাকর মুনিব দুজনেই নরাধম নিষ্ঠুর হস্তারকদ্বয় কর্তৃক নিহত হইল । রঘোব৷ এই হত্যাকাণ্ডে সংলিপ্ত কিনা —তাহার কোন প্রমাণ ছিল ন!—রামশাস্ত্রীর আমার বোম্বাই প্রবাস › ● ፃፃ উপর অনুসন্ধানের ভার দেওয়া হইল । রামশাস্ত্রী হায়বান্‌ সত্যনিষ্ঠ স্থবিজ্ঞ বিচারপতি – পুণদেরবারে বশিষ্ঠ স্বরূপ ছিলেন। অনুসন্ধানে তিনি শেষে জানিতে পারিলেন যে রাঘোব| নারায়ণরায়ের বধের আদেশ দেন নাই –ৰ্তাহাকে ধরিবার অনুমতি দিয়াছিলেন মাত্র । তাহাব আজ্ঞাপত্রে “ধরিবে” এই কথা বদলাইয়া “মারিবে” কথা কে একজন বসাইয়া দিয়াছে। রাঘেtলাপত্নী (Lady Macbeth) Afarăiatio go ofts; মূল কারণ বলিয়া লোকের বিশ্বাস। এই ঘটনার কতকদিন পরে রঘোব রামশাস্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিলেন “এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত কি ?” শাস্ত্রী মহাশয় উত্তর করিলেন “তোমার নিজের প্রাণ উৎসর্গ ভিন্ন ইহার প্রায়শ্চিত্ত নাই । তোমার জীবনে আর মুখ নাই –তোমার এ রাজ্যের কল্যাণ নাই। তুমি যতদিন কৰ্ত্ত থাকিবে ততদিন আমি এ সরকারে চাকুরী করিব না—আর এমুখে হইব না।” শাস্ত্রী র্ত:হার বচন রক্ষা করিলেন । সেই অবধি তিনি রাজকাৰ্য্য পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক পুণ ছাড়িয়া বিজন গ্রামে একাস্তে অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করেন । “ছাড়ি দিয়া গেলা গৌরবপদ, দূরে ফেলি দিলা সব সম্পদ, গ্রামের কুটীরে, চলি গেলা ধীরে দীন দরিদ্র বিপ্র ” *

  • কথা—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।

8