পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ş ə^br ষষ্ঠ পেশওয়া রঘুনাথরা ও ( রাঘো বা ) রঘুনাথরাও পেশওয়াপদে আরূঢ় হইলেন কিন্তু বিস্তর দিন টিকিতে পারেন নাই । তিনিও যেমন যুদ্ধ যাত্রায় পুণর বাহির হইলেন, তাহার বিপক্ষদলও মাথা তুলিল । छत्रछौ ( পেশওয়া রঘুনাথ রাও বা রাখোবা ) মন্ত্রী প্রধান খ্যাতনামা নানা ফর্ণবীস সে দলের নেতা । রাঘোবার সহচর অনুচরগণ একে একে ৰ্তাহার পক্ষ পরিত্যাগ করিল। রাৰোব বেগতিক দেখিয়া সিন্দে হোলকার ও ইংs}ঞ্চদের শরণভিক্ষণয় কৃতসঙ্কল্প হইলেন । পেশওয়া বংশের অবনতি এই সময় হইতে পেশওয়া বংশের অবনতি । প্রথমে যখন রাজিরাও রাজ্যের সৰ্ব্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেন, তখন সেনাপতি মাঘ, ১৩২৯ রঘোঙ্গী ভোসলা বহুড়ে প্রান্তের জায়গীরদাৰ ছিলেন। তিনিও পেশওয়ার দৃষ্টান্তে স্বাধীন রাজ্য স্থাপনে প্রবৃত্ত হইলেন। পেশওয়ার অধীনস্থ অপরাপর কৰ্ম্মচারীরাও প্রভুর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিতে তৎপর হইল। ক্রমে মহারাষ্ট্র রাজ্যে পঞ্চ শাখা বিস্তৃত হইল । পঞ্চ শাখা পেশওয়া তাহার মধ্যস্থিত, তাহার রাজধানী পুণ। ভোসলার রাজধানী নাগপুর । সিন্দে গোওয়ালিয়রের আধিপত্য পাইলেন । হোলকর ইন্দোরে, বরদায় গাইকওয়াড় স্ব স্ব আধিপত্য স্থাপন করিলেন । পেশওয়া চিত্তপাবন ব্রাহ্মণ, অন্তান্ত সর্দারগণ শূদ্রজাতীয় মারাঠা । মহলাররাও হোলকর হীনবর্ণ সৈনিক ছিলেন ; রাণোজী সিন্দে পেশওয়ার পাদুকাধারী ; প্লিলোজী গাইকওয়াড় গোরক্ষক রাখালরাজ । ইহারা সকলেই দীনহীন সামান্ত শ্রমজীবির জীবিকা হইতে স্বভূজবলে রাজসিংহাসন উপার্জন করেন, নীচকুলে জন্মগ্রহণ করিয়া: রাজবংশ পত্তন করিয়া ধান । পেশওয়া প্রথমত এই সকল বীরদিগকে দেশ বিজয়ে নিযুক্ত করেন, তাহাদের উপর সৈন্ত যোগাইবার ভার। র্তাহারা দূরে দূরে থাকিয়া কাৰ্য্য করিতেছেন, পেশওয়া তাহার উপর কর্তৃত্ব খাটাইবার সুবিধা পাইলেন না। পেশওয়াব অজ্ঞাতসারে স্বেচ্ছানুসারে তাহারা সন্ধি বিগ্ৰহ করিতে লাগিলেন ও রাজ্য রক্ষার্থে সেনা নিয়োগ না করিয়া স্বার্থ সিদ্ধিতেই নিযুক্ত করিতেন। কালক্রমে র্তাহারা নিজে নিজেই সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হইয়া উঠিলেন, —পেশওয়ার অধিকার নাম মাত্র । সাতারার