পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? •ίνιν কাছে অনন্তকাল মিলিত থাকতে প্রতিজ্ঞ বদ্ধ হয়ে বিদায় গ্রহণ করলে ৷ বিশুদ্ধ ভালবাসার পথে অনেক কাটা খোচা, অনেক বাধা বিঘ্ন । হিমেমোয় রাজার কাছে নিজের মনের অবস্থা জানালে রাজা তে চটেই আগুন । যা মুখে এল তাই ব’লে গাল দিলেন “অকৃতজ্ঞ, নীচমন, আমার পবিত্র ংশের কলঙ্ক! এত উচ্চবংশীয় রাজকুমার থাকতে কোথাকার একজন হীনজনকে নিজের প্রণয়ী ব’লতে ঘৃণা হ’ল না । আচ্ছা, দেখব কি করে সে আমার রাজ্যে অবাব আসতে সাহস করে ” হিনেমেীয়া ভয় পেলেন না। তার প্রতিজ্ঞা স্থিব রইল । রাজা হুকুম দিলেন, হ্রদের মধ্য হতে সব ডিঙ্গি টেনে ডাঙ্গার উপর তুলে রাখ, আর সাবধান কেহ যেন দ্বীপ থেকে কিনারায় আসতে না পারে। ভালবাসা বাধাবিপত্তিকে তুচ্ছ জ্ঞান করে, তিন মাইল জলের ব্যবধানও হিনেমোয়াকে টুটেনিকাইয়ের নিকট থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হোল না । (8) সন্ধ্যাবেল আকাশে দু’একখানি পাতল৷ মেঘ কাস্তের মত চাদকে একবার ঢাকৃছে আবার একটু পরেই খুলে দিচ্ছে। হিনেমোয়া রোজ যেমন জলের ধারে বসে টুটেনিকাইএর বাণীব করুণ গান শোনেন আজও সেইরূপ শুনছেন। আজ সেই স্বর ঢেউয়ে ঢেউয়ে যেন বড় বেশী করুণ হয়ে তার কাণে পৌছচ্ছে । আজ বাণীর স্বরে তাকে পাগল করে তুলেছে। নারী সুলভ লজ্জা আর তাকে আটকে রাখতে পারছে না, বিপদসঙ্কুল জলরাশি পার হয়ে প্রিয়তমের ভারতী মাঘ, ১৩২০ নিকট যাবার জন্ত তিনি একান্ত উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠেছেন। সব ভুলে গিয়ে তুষার শীতল জলে তিনি গা ঢেলে দিলেন । এদিকে মেঘের মধ্যে লুকোচুরি খেলতে খেলতে চাদ অস্ত গেল । একটী গভীর অন্ধকারের ছায়া হ্রদের জলের উপর আপনার আধিপত্য বিস্তৃত করে ফেল্লে। বাইরের কোন নির্দেশ আর চক্ষে পড়ে না, অন্ধকারে বঁাশীর স্বর অমুসরণ করে তিনি সণতার দিতে লাগলেন । একবার ক্ষীণ কণ্ঠে বলে উঠলেন “হায়, প্রিয়তম তুমি কোথায় ! যদি নিকটে থাক ত এসে আমাকে তুলে নাও।” তখনও বঁাশীর আওয়াজ অনেক দুরে । একটা নিশাচর পার্থী মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেল ; তিনি বলে উঠলেন “বিহঙ্গবর একবার তোমার পাখী দুখানি ধার দাও, আমি নিমেষের মধ্যে টুটেনিকাইয়ের কাছ থেকে ফিরে এসে তোমার পাখা তোমায় ফেরত দেব।” ক্রমেই সঁতারের বেগ কমে আসতে লাগল, তবুও দেহের সমস্ত সামর্থ্যটুকু একত্র করে প্রাণ পণে জল কাটতে লাগলেন । বার বার ভূমি অন্বেষণ করলেন, কিন্তু কোথায় ভূমি! সবই গভীর জল । অবশেষে নিতান্ত শ্রাস্ত ক্লান্ত অবস্থায় তার পা মাটিতে ঠেকল’। তিনি উঠে দাড়ালেন, শরীর ঠাণ্ডায় অসাড় হয়ে পড়েছিল, দুই তিন বার পড়ে যাবার পর হঠাৎ একস্থানে গরম জলের মাঝখানে এসে পড়লেন। তখন সহসা তিনি লুপ্ত শক্তি ফিরে পেলেন। ( & ) . মেয়োরীদের মধ্যে একটা নিয়ম আছে সন্ধ্যাবেলা কোন স্ত্রীলোক কারও বাড়ী