পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দশম সংখ্যা পক্ষ হইতে কৃতজ্ঞ তা জানাইবার জন্ত আগমন করিল। কেবল একটি মাত্র মেঘখণ্ডে তাহার প্রভুর সৌভাগ্যগগন পরিমান । —র্তাহার দুহিতা প্রিয়-দশিকাকে তিনি হারাইয়াছেন। এই সময়ে হঠাৎ মনোরম ভয়বিহবল হইয়া প্রবেশ করিল-আরণ্যক। বিষ খাইয়াছে। মুমূযু আরণ্যিকাকে আন হইল । কন্ধুকী উহাকে দেখিয়া রাজার দুহিতা বলিয়া চিনিল । সকলেরই আতঙ্ক উপস্থিত কিন্তু বৎসরাজ প্রতীকারার্থ ঐন্দ্রজালিক উপায় অবলম্বন করিলেন ( মালবিকা—চতুর্থ অঙ্ক দ্রষ্টব্য ) ; আরণ্যিক ধীরে ধীরে সংজ্ঞা লাভ করিল । বাসবদত্ত প্রিয়দর্শিকাকে ভগিনী বলিয়া চিনিতে পারিলেন এবং রাজার সহিত তাহার বিবাহ দিলেন । রত্নাবলী ও প্রিয়দর্শিকা —এই দুই নাটকারই কার্য্যপরিসর অতীব সংকীর্ণ; ভারতীয় রাজ প্রাসাদে যেরূপ সচরাচর দেখা যায়—এই দুই নাটিকাতে সেই অন্তঃপুরের প্রেম-লীলা ভিন্ন আর কিছুই নাই। ঘটনাসন্নিবেশ না তেমন জটিল ধরণের, না তেমন মৰ্ম্মপশী ; উহ। ঠিক নাট্যশাস্ত্রের স্থ হামুরূপ। পাত্ৰগণ নাট্য-শাস্ত্রাদিষ্ট আদর্শপাত্র, উগতে কিছুমাত্র মৌলিকতা নাই । বৎস, উদারচিত্ত ও আমোদপ্রিয় নায়কের দৃষ্টান্ত, এবং সাগরিক ও আরণ্যিক মুগ্ধ নায়িকার দৃষ্টান্ত। সপত্নী বাসবদত্ত বর্ষীয়সী ও উন্নত চরিত্র রমণী । সুসংগত ও মনোরম উভয়ই মামুলী ধরণের সী। বিদূষক, কষ্ণুকী, সেনাপতি, সকলই ভরতের বর্ণিত স্বত্রানুরূপ। এই জন্তই রত্নাবলীর এত মান। সুত্রাদির ব্যাখ্যাকালে প্রিয়দর্শিক। e33 “দশরূপ” ইহা হইতে অনেকবার দৃষ্টান্ত উদ্ধ ত করিয়াছেন। সাহিত্যদর্পণও ঐরূপ করিয়াছেন। তবে ঐ দুই রচনায় কোন গুণ নাই এরূপ ও বলা যায় না । উহাতে আখ্যানবস্কট বেশ নিপুণভাবে বিন্যস্ত হইয়াছে ; এবং নাটকীয় ঘটনাবিদ্যালে হর্ষের মৌলিকতা সম্বন্ধে সন্দেহ থাকিলেও উহার প্রয়োগে যে র্তাহার নৈপুণ্য প্রকাশ পাইয়াছে তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। বংসের নিকট, সারিকাকর্তৃক সাগরিকার গোপনীয় উক্তিসমূহের আবৃত্তি, দুষ্ট পরিচারিকার ছদ্মবেশ ধারণ, একজনকে অীর একজন বলিয়া ভুল করা ; রত্নাবলীতে, যাদুকর-প্রদর্শিত অস্তঃপুবের গৃহ দাহ ; প্রিয়দশিকার ভ্রমরের দৃগু, দ্বিধারায় নাট্যকার্যের যুগণ-ধারা—এই যে-সকল উদভাবনা, অন্তত এই যে-সকল নাটকীয় কৌশল,—ইহাতে সুরুচির পরিচয় পাওয়া যায়। এই দুই-নাটিকার সৌন্দৰ্য্য, সহকারী ললিতকলা কবিতার দ্বার বেশ বৰ্দ্ধিত হইয়াছে। ভাড়ামি, নৃত্য, গীত, ৰাদ্য-সমস্তই নাটকীয় কার্যের অনুযায়ী। এই আদিরসের কবিতাতে কতকগুলি বাস্তব দৃপ্তের বর্ণনা স্থান পাইয়াছে :-যথা,—বসন্ত ঋতু (রত্নাবলী ১ অঙ্ক), উত্থান (৩ ও প্রিয়দশা ২), প্রাসাদ (৪) যুদ্ধ ( ৪ ও প্রিয়দর্শী ১ )। হুর্ষের কবিতাতে না-আছে কালিদাসের সরসত, নাআছে কালিদাসের সৌন্দৰ্য্য, নাআছে কালিদাসের কল্পনা-সম্পদ। ইতিপূৰ্ব্বে রত্নাবলী হইতে আমরা যে সকল দৃষ্ট গু উদ্ভূত কবিয়াছি তাহা হইতেই আমাদের এই কথা সপ্রমাণ হইবে। বাহাই হউক, ইহার কতক, গুলি নিজস্ব গুণ আছে যাহাতে করিয়৷ এই নাটকাট একটি উচ্চ স্থান অধিকার করিয়া