পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

うゅ>ジ সে কথা অস্বীকার করবার আমারও উপায় নেই ? ঐ যাত্রীগুলি যেদিন প্রথম আসে—সেই দিন থেকে অনেকবার আমাদের জেরা করেছিল – যে কার্ক মেডেন “নামে কোন উপসাগর আছে,—কিনা” ? এই হকিংস্-আর আমি নিজে বলেছিলুম যে আমরা সে সব কিছু জানি না। নূতন উপসাগরটা উপসাগরের মধ্যে ম্যাপেই ধর আছে--কিন্তু এর ভিতর যে কখনও জাহাজ এসে ঢুক্বে— আর ধ্বংস হবে—-একথা কে কল্পনা করতে পেরেছিল ? আমব ত উপসাগরের নামেরই খবর রাখতুম না !” সহকারী চীৎকার করিয়া কহিলেন আমি দেখেচি ক{ল সকাল বেলা যখন বাতাস একদম ঠাণ্ড ছিল, তারা আঙুল বাড়িয়ে ঠিক্‌ জায়গাটাকেই দেখাচ্ছিল ; তারা খুব ভাল রকমই জানত যে কোন জায়গায়টায়— তারা এসে পৌছবে ?” স্পষ্টই বুঝিতে পারা যাইতেছিল যে বিস্ময় কাপ্তেনের ধৈৰ্য্যের সীমা ছাড়াইয়া ক্রমশই র্তাহাকে অসহিষ্ণু করিয়া তুলিতেছে,— অত্যন্ত স্নান উৎকণ্ঠিত স্বরে তিনি প্রশ্ন করিলেন “হকিংস্-এ থেকে তুমি কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েচ ?” - “আমার কি মনে হয়েছে, জিজ্ঞেস্ কচ্চেন ? আমার মনে হয় ঐ টেবিলের উপরকার—গ্লাসপূর্ণ পানীয়টা তুলে ঠোঁটের কাছে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের যতটুকু মেহনৎ, তাদের পক্ষে সমুদ্রে ঝড় তোলাও ততটুকু মেছনতের কাজ ? তাদের নিজেদেরই হস্তুত এই ভগবান বর্জিত দেশে”—সহকারী আমার ও বাবার প্রতি যুগপৎ সন্মিত দৃষ্টিপাত ভারতী মাঘ, ১৩২০ করিলেন, “মাপ করবেন মশায়, এদেশে যে আপনার বাস করেন এই টুকুই দেশের পক্ষে সাফাই—আর আশ্চর্যি" বলিয়া পুনরায় পূৰ্ব্ব কথার অবতারণা কৰিলেন, “এদেশে আসবার তাদের কোন বিশেষ প্রয়োজন ছিল, আর তাই জন্তেই তার জাহাজখানাকে ভেঙে এই “আঘাটা”য় নামবার সহজ পন্থী বার করে নিয়েচে,—এই ত আমার বিশ্বাস,— আর অামাব আন্দাজ আমি বরাবর দেখে আসছি, কক্ষণে প্রায় ভুল হয় না । কিন্তু ঐ তিনটে সাধু বা সন্ন্যাসীর—এই কর্ক মেডেন উপসাগরে কী যে এমন দরকারী কাজ পড়ে গেছে—সেই টুকুই কেবল আমার বুদ্ধিতে আস্চে না ?” উভয় ভদ্রলোকের এই অপ্রীতিকর মতামতের বিরুদ্ধে বাবার মনে অসন্তোষ জাগিয়া উঠিয়াছিল । বাক্যে তাহার আভাষ মাত্র প্রকাশ না করিয়াই, ঈষৎ ভ্রুকুঞ্চিত করিয়া তিনি কহিলেন “এই আকস্মিক দুর্ঘটনাটায় আপনাদের দুজনেরই শরীর মন যে রকম ক্লান্ত হয়ে পড়েচে, তাতে খানিকটা বিশ্রাম নেওয়া খুব দরকার, চলুন আপনাদের–আমি বিশ্রামের জন্তে নির্দিষ্ট ঘরে পৌছে দিয়ে আসি ?” অভ্যাগতদের অভ্যর্থনার জন্ত জমিদারবাটীর যে প্রশস্ত কক্ষটি নিৰ্দ্ধারিত ছিল, বাবা র্তাহার নূতন অতিথিদ্বয়কে সেই গৃহে পৌছাইয়া দিয়া ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন “জ্যাক্‌, চল, আমরা একবার সমুদ্রের ধারটা একটু ঘুরে আসি যদি কোন নুতন ঘটনা আবার ঘটে থাকে ?” সেই ভগ্ন জাহাজখানার দুঃখপূর্ণ স্মৃতিচিহ্ণিত স্থানে আমরা আবার যখন ফিরিয়া