পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দশম সংখ্যা তাহাঁদের অবস্থাও প্রায় তদ্রুপ। এই সব দেখিয়া গুনিয় তাহার জনৈক বন্ধু আক্ষেপ করিয়াছিলেন। মৃদু হাসিয়া সম্রাট নাকি বলিয়াছিলেন—“সখা আপ শোষ করিও না, জানইত কীট পুস্তকের পরম শত্রু।” প্রকৃত কৰ্ম্মীর স্বাস্থ্যমুখ অনেক সময় হারাইতে হয়, মুখের বিষয় জাৰ্ম্মানসম্রাট প্রকৃত কৰ্ম্ম হইয়াও এখন পর্য্যন্ত স্বাস্থ্য মুখ হারান নাই । এত কাজের চাপেও এক ঘণ্টা করিয়া বৈকালে ও প্রাতে ব্যায়ামের জন্ত নির্দিষ্ট রহিয়াছে। এতদ্ভিন্ন অশ্বচালনায় তিনি বেশ স্ফৰ্বিবোধ করেন। ংক্ষেপে জৰ্ম্মান সম্রাটের জীবন কাহিনীর অনেক কথাই বিবৃত হইল। এই অল্প সময়ের মধ্যে র্তাহার নাম ও যশ যেরূপ ছড়াইয়া পড়িয়ছে, তাহাতে তিনি বর্তমান শেষের দিনে ১১২৫ যুগের পরাক্রান্ত রাজশক্তি মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন হইতে পারেন, এ কথা বেশ জোর করিয়াই বলা যাইতে পারে । যিনি ঐহিক মুখভোগের আশায় পরাক্রাস্ত সাম্রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করেন নাই, যিনি নিজেকে ক্ষমত্তাপরু ভাবিয়াও সাধারণের অভিলষিত ছাচে আপনাকে গড়িয়া তুলিয়া উচ্চ শিক্ষার জন্য আপন হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া রাখিয়াছেন,যাহার, জীবনবাহী একমাত্র আকাঙ্ক্ষা জাৰ্ম্মানশক্তির পরিপূর্ণ জাগরণ, জাতীয় উত্থানের জন্ত যাহার মূল্যবান জীবন উৎসর্গীকৃত হইয়াছে, তিনি যে সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া ও পিতামহের, পদাঙ্ক অনুসরণে, তাহদের পাশে আপন স্থান করিয়া লইবেন, ইহা নিঃসন্দেহে বলিতে পারা যায়। - শ্ৰীভূপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। শেষের দিনে ( জালালুদ্দীন রুমী হইতে ) অস্তিম শয়নে হেরি’ ক’রো নাক হাহাকার আমার প্রিয়ের সহ মনোরম মিলনের ওগো বন্ধুগণ ! হবে নাট্যলীলা - চিতাগ্নি জলিতে দেখি মিছা মিছি মায়া-ভ্রমে অনধিকারীর লাগি’ বিরচিবে যবনিকা ক’রোন রোদন ! সমাধির শিলা | চন্দ্র সূৰ্য্য অস্ত যায় তাই ব’লে কে কোথায় যখন প্রিয়ের গৃহে বিজয় মঙ্গল গান, করে হাহাকার ? হইবে অামার, - এ কলুষ রাজ্য হ’তে অস্ত গিয়ে পুণ্যরাজ্যে সে কেমন হ’বে বন্ধু, তখন তোমরা যদি উদয় তাহার। }o ক’রে। হাহাকার ? শ্ৰীকালিদাস রায়। ; , ;