পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দপ্তম সংখ্যা একট লোক অনেকক্ষণ ধরিয়া তাহার দিতে চাহিয়া চাহিয়! দেখিতেছিল সে অব কৌতুহল দমন কবিতে পারিল না কাছে আসিয়া ডাকিল “বাবু!” শচীকান্ত অকস্মাৎ চমকিয়া উঠিল, এ পৃথিবীতে যে, সে ভিন্ন অপর কোন মানপ বাস করিতেছে কাল হইতে সে একথা বিস্কৃত হইয়াছিল । “আপনি সন্ধ্যে থেকে বসে আছেন কোথায় যাবেন!” উত্তর না পাইয়৷ পুনশ্চ কছিল “এখনি একটা গাড়ি আসবে যান তো তৈরি হয়ে নেন।” শচীকান্ত এতক্ষণে কথা কঠিল, প্রথমট নিজের কণ্ঠস্ববে সে নিজেই যেন বিস্ময় বোধ কবিল,—এ যেন অব কাহাব সম্পূর্ণ অপরিচিত স্বব ! “কোন দিকের গাড়ি ?” “রাণাঘাটের দিকের” । পদতল হইতে মস্তক অবধি সঘনে কঁাপিয়া উঠিল, “রাণাঘাটের দিকের গাড়ি, তা আমার কি ?” আপনি তাহলে কোনদিকে যাবেন ?” “আমি, আমি কোনদিকে যাপো !” কুলী অবাকৃ হইয়া বাবুর বিবর্ণ মুখের দিকে চাহিয়া রহিল, মনে মনে বলিল “বাউরা !” ঘণ্টা বাজিল, টিকিট ঘরের সম্মুখে কয়েকটা লোক টিকিট কিনিতেছে, শচীকান্ত কলের পুতুলের মত সেইখানে গিয়া হাত পাতিল, মণিব্যাগ খুলিয়া কোন সময় যে টাকাটা বাহির করিয়া ছিল কিছুমাত্র স্মরণ হয় না। অর্থ গ্রহণ করিয়া টিকিটমাষ্টার জিজ্ঞাসা করিলেন “কোথাকার টিকিট !” শচীকান্তের বক্ষে আবার শোণিত তরঙ্গ ফুটিয়া উঠিল, সে কিছুক্ষণ নিঃসাড়া থাকিয় অশ্বট স্বরে উচ্চারণ করিল “চাকদা”। বাগদত্ত “কোথা বল্লেন ? চাদপাড়া” ? “হ্যা, না চাদপাড় নয় ।” “তবে ।” “চাক দা” । “ওঃ চাকদা এই নেন।” সে তেমনি কলেব পুতুলেব মতই পূৰ্ব্বস্থানে ফিবিয়া আসিল, এক বাব মনে হইল টিকিট খান হাত হইতে ফেলিয় দেয়, কিন্তু পাবিল না, সেখানা যেন মন্ত্রবলে হাত আঁটিয়া ধবিয়াছে । দেখিতে দেখিতে কোয়াসাব আবরণ ভেদ কবিয়া উষালোক জগতে নামিয়া আসিতে অবস্ত কবিল ; ঝব ঝর করিয়া জল ঝবিয়া পথ ঘাট গাছের তলা ভিজাইয়া দিল । অকস্মাৎ শিহবিয়া শচীকান্ত দেখিল দুইটা জলন্ত রক্তনেত্র বিস্তৃত করিয়া একটা বিরাটকায় দানব তাহারি দিকে ছুটিঃ আসিতেছে, সে আতঙ্কে পিছু হটিয়া গিয়া, দেওয়ালে পৃষ্ঠ রক্ষা করিল। দৈত্যটা সহস একখানা ট্রেনের মুৰ্বি পরিগ্রহ কবিয়া নম্র মূৰ্ত্তিতে প্ল্যাট ফরমে প্রবেশ করিতেছিল, অম্বর মূৰ্ত্তির চেয়েও এ ভয়ানক । ○。 সোনার রংয়ের পাকাধানে ক্ষেতগুলি ঝলমল করিতেছে। তাহাব এক ধার দিয়া শীতের নদী বহিয়া চলিয়াছে । আকাশের অঙ্গে বিবিধ আকারে মেঘ ভাসিয়া যাইতেছে প্রখর বৌদ্র কিছু পূৰ্ব্বে তাহদের অঙ্গে শোণিত ফুটাইয়া তুলিয়াছিল এখন সে রৌদ্রতাপ নাই, কিন্তু এখনও স্বৰ্য্যদেব জলতলে লোহিত রাগে ভক্ত হৃদয়ধারা ঢালিয়া রাখিয়াছেন। 'জবাকুসুম সঙ্কাশ যেন জবার