পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে অনাৰ্য্যদিগের মধ্যে বিবাহ পদ্ধতি দক্ষিণ ভারতে অনার্য্য জাতিগণের মধ্যে অনেক প্রকার অদ্ভুত বিবাহ পদ্ধতি প্রচলিত দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাহীদের সকল শ্রেণীর মধ্যেই ‘তবু বটু ( এক প্রকার হামুলি বা গলার হার ) জিনিষটি বিবাহ কৰ্ম্মের অপরিহার্য্য উপাদান বলিয়া গণ্য। অনেক ইয়ুরোপবাসী হয় ত শুনিয়া আশ্চৰ্য্য হইবেন যে র্তাহাদের দ্যায় ইহাদের মধ্যেও নববিবাহিত যুগলের পশ্চাতে চাউল ছড়াইবার রীতি প্রচলিত। কুরুম্বা (kurunba) বা রাখাল জাতির মধ্যে বিবাহ কালে কষ্ঠ অবগুণ্ঠনে মুখ ঢাকিয়া রাখে। চাষীরা যেরূপ শারীরিক সুচিহ্ন দেখিয়া পশু ক্রয় করে ইহারাও সেইরূপ কন্যার অঙ্গের কোন সৌভাগ্য চিহ্ন দেখিলে তাহাকে পত্নীরূপে মনোনীত করে । যানদীস (yanadis) নামে নেলোরের এক বহু জাতির মধ্যে পুরুষ বা নারী পূর্ণ যৌবন প্রাপ্ত হইবার পূৰ্ব্বে বিবাহ করিতে পায় না। বর ক’নের ডান পা’র উপর তাহার ডান পা রাখিয় তাহাকে পত্নীরূপে গ্রহণ করিবার অঙ্গীকার করে এবং ক’নের কণ্ঠে তিলু বাধিয়া দেয়। তাহারা দুইজনে পরস্পরের মাথার উপর চাউল নিক্ষেপ করে । ইহার পর দেবতার পূজা সমাপ্ত হইলেই বিবাহ কৰ্ম্ম সমাধা হইল। ‘কোরাবার নামে আর এক অৰ্দ্ধসভ্য চোর জাতি আছে, তাহাদের মধ্যে বহুবিবাহ প্রচলিত। কাহারও পত্নী ইচ্ছামাত্রেই তাহাকে ত্যাগ করিয়া অপর পুরুষকে পতিত্বে বরণ করিতে পারে। ইহাতে তাহাদের মধ্যে কোন নিন্দ নাই। বর কস্তার পিতার নিকট এক ভাড় ‘তাড়ি’ উপঢৌকন দিতে পারিলেই কস্তার পাণিগ্রহণ সিদ্ধ হইয়া যায়। বিবাহ বন্ধন ইহাদের মধ্যে বড়ই শিথিল। "সাগালি’ নামে আর এক জাতি আছে তাহারা পার্থী ধরিয়া খায়। ইহাদের মধ্যে বর তাহার ভাবী শ্বশুরকে দুই একটি গে মেষ ও কিছু টাকা দিতে পারিলেই তাহার কস্তার কণ্ঠে তিলু বাধিয়া দিতে পারে অর্থাৎ তাহাকে পত্নীরূপে গ্রহণ করিতে পারে। বিবাহেব পর তৃতীয় দিনে ক’নে তাহার স্বামীর বাটতে গমন করে। যাইবার সময়ে সম্মুখে একটি ষাড় রাখিয়া চলে। যোগী নামে আর এক বন্তজাতি বিবাহ কালে ১২টি খুটি পুতিয়া একটি খোয়াড় প্রস্তুত করে। বর কনে উভয় পক্ষের নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণকে একটি করিয়া মেষ ও মাটির ভাড় উপহার দেয়। যে এরূপ উপহার দিতে অক্ষম হয় তাহার হাতের চেটোয় তিন ঘ করিয়া বেত্ৰাঘাত করা হয়। পরে তাহার কিছু অর্থ দগু করিয়া তাহার মাথার উপর ময়লা জল ঢালিয়া দেওয়া হয়। ইহাদের মধ্যে কনের কণ্ঠে'ব বাধিবার পূর্বে বর একটা বিড়ালীর কণ্ঠে বই বাধিয়া দেয়। এরূটা করার যে উদ্দেগু কি তাহা তাহারা নিজেই জানে না। তামিল চামারের ‘অভরম্ গাছকে বিশেষ ভক্তি করে। এই গাছের ছালে তাহারা চামড়া পরিষ্কার করে। ইহার