পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"לא לל প্রথমে 'অভয়ম গাছের ডালে একটি বট্‌ বাধিয়া পরে কনের কণ্ঠে ‘ব পরাইয়া দেয়। "পলয়ঙ্করণ’ নামে এক প্রকার ব্যাধ জাতি জম্বু বৃক্ষকে বিশেষ ভক্তি করে । বিবাহের প্রথম দিনে ইহার একটি জম্বু শাখাকে ধূপ ধূনা, দুগ্ধ ও ঘৃত দ্বারা পূজা করে। অবশেষে এই বৃক্ষজড়িত লতা লইয়। বর বিবাহ মঞ্চের প্রত্যেক খুঁটিতে তাহা জড়াইয় দেয়। দ্বিতীয় দিনের প্রাতঃকালে বিবাহিত যুগল গ্রামের বাহিরে কোন পিপড়ার ঢিবির নিকট যাত্রা করে । তাহার উপর দুধ ও ঘি ঢালিয়া ঝুড়ি করিয়া সেই কাদা গৃহে লইয়া আসে। বর সেই কাদায় ১২টি প্রদীপ গড়িয়া ১২টি স্তম্ভের উপর জালিয়া দেয়। তৃতীয় দিনে বর তাহার আত্মীয়গণের সহিত গ্রামের বাহিরে এক মাঠে গিয়া কতকটা ভূমি লাঙ্গল দিয়া কর্ষণ করিয়া সেইস্থানে শস্তের বীজ বপন করে।

  • কাম্মাভারো” নামে এক প্রকার তেলেগু

কৃষকজাতি পুরাকালে শক্ৰগণকর্তৃক তাড়িত . হইয়া ‘ঢল’ বনের ভিতর লুকাইয়া আত্মরক্ষা করিয়াছিল। তাহার। সেই জন্ত এখনও পৰ্য্যস্ত বিবাহ কালে সামিয়ানার উত্তর দিকের খুঁটিতে ঢল গাছের পাতা বাধিয় রাখে। - "মলয়ালি” নামে এক প্রকার পাৰ্ব্বত্য জাতি পশ্চিম ঘাটের ‘জবাদি’ পৰ্ব্বতে বাস করে। ইহাদের মধ্যে বিবাহ প্রথা অতি অদ্ভূত। পুরোহিত কনের কণ্ঠে তলু বাধিয়া দিবার পর বিবাহিত যুগলের কোলের উপর একখানি তরবারি রাখিয়া দেওয়া হয়। কনের পিতার নিকষ্ট কছাদানের সম্মতি গ্রহণের পুৰ্ব্বে বরকে অন্ততঃ এক বৎসর কনের ভারতী মীর্ঘ, ১৩২৪ বাড়ীতে কৰ্ম্ম করিতে হয়। অনেক সময়ে যুবতী পিতার সম্মতি লাভের আশায় অপেক্ষা করিতে অসমর্থ হইয়া যুবকের সহিত পলাইয়৷ যায় বা যুবক যুবতীর রূপে মুগ্ধ হইয় তাহাকে বলপূৰ্ব্বক ধরিয়া লইয়া পলায়ন করে। বর এরূপ করিলে তাহার এই অদ্যায় ব্যবহারের জন্ত শাস্তি ভোগ করিতে হয়, যথা মুখে রঙ মাখিয়া, ভাঙ্গা হাড়ি, জঞ্জাল বোঝাই ঝুড়ি বা ভাঙ্গা জানালা মাথার উপর রাখিয় তাহার পথে চলিতে হয়। ইহাদের মধ্যেও বিবাহবন্ধন অতি শিথিল । ইহারা পৰ্ব্বতের গুহ্যতম প্রদেশে একটি প্রস্তরের কালীমূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া পুজা করে । তথtয় বাহিরের কাহারও ত’ যাইবার সম্ভাবনা নাইই, তাহাদের স্ত্রীলোকগণ পৰ্য্যন্ত তথায় প্রবেশ করিতে পায় না । ‘বয়া’ নামে আর এক প্রকার জাতি আছে। তাহারা পূৰ্ব্বে ব্যাধ ছিল। বিবাহকালে ইহার বর কনের হাতে লোহার বাল। পরাইয়া দিয়া কৃষ্ণ মেষের লোমে দুই জনের হাত বাধিয়া দেয় । কস্তার কণ্ঠে তিলু পরান ত’ আছেই। ইহাদের মধ্যে বিবাহিত স্ত্রীলোকেরাই কাল রঙ্গের বালা পরে । দক্ষিণ ভারতে ‘দেবদাসী’ নামপ্রাপ্ত স্ত্রীলোকগণ আমরণ অবিবাহিত থাকে ও দেবালয়ে নর্তকীর কার্য্য করে। ইহাদের একটি তরবারির সহিত বিবাহ হইয়া থাকে। যে দেবতাকে ইহার দাসীরূপে সেবা করে তাহারই পত্নীরূপে ইহারা গণ্য হয়। বিবাহিতার চিহ্রস্বরূপ ইহার কণ্ঠে বিট্ট’ ব্যবহার করে। .