পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' B& সভাপতি বদরুদ্দিন তীয়বজি বলিয়াছিলেন, "অনেকে আমাদের এ সন্মিলনীকে জাতীয় মহাসভা বলিতে সম্মত নহেন । কেননা ভারতীয় জাতির এক প্রধানতম অংশ মুসলমানসম্প্রদায় ইহার পূর্ব দুই অধিবেশনে সম্পূর্ণ ভাবে ইহাতে ষোগদান করেন নাই। কিন্তু হে ভদ্রমগুলি এ কথা ঠিকনছে। ক্ষণিক এবং স্থানীয় কোন কারণ বশতঃ সম্ভবত এইরূপ ঘটিয়াছে—ইত্যাদি।’ বস্তুতঃই—সে ক্ষণিক কারণসকল ক্রমশঃ ক্ষয় হইয়া যাইতেছে—শিক্ষ। বিস্তারের সহিত দিন দিন হিন্দু মুসলমানের হৃষ্ঠত যে বাড়িয়া চলিয়াছে তাহ কেহ আর অস্বীকার করিতে পরিবে না । সম্মানীয় আগtখান সাহেবের বক্তৃতায় এই বন্ধুত্বের চরম পরিণতির আনন্দ বাৰ্ত্ত আমরা জানিতে পারিয়াছি । তিনি বলিয়াছেন – হিন্দু মুসলমান প্রীতির বন্ধনে বদ্ধ হইয়া, একাগ্ৰ মনে, একত্রে, উভয়ে উভয়ের সহায়তায় সাহসী এবং উৎসাহী হইয়৷ কাৰ্য্য করিতে । পারিলেই অচিরে ভারতবাসীর উন্নতি সুন্দরক্সপে সাধিত হইবে ; ইহাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস । উভয় সম্প্রদায়ের নেতাগণ মধ্যে মধ্যে একত্র সন্মিলিত হইয়৷ সাধারণের মঙ্গলজনক বিষয়সকল কিরূপে কাৰ্য্যে পরিণত হয় তাহার পরামর্শ করা আবশুক। আমাদের সম্পূর্ণবিশ্বাস দেশভক্ত মাতৃসেবী সন্তানগণ কখনই এ অনুষ্ঠানে পশ্চাৎপদ হইবেন না । এই এক প্রাণতাই জাতীয় জীবনের ভিত্তি। ইহা দিন দিন ঘনীভূত হইয়া মঙ্গলপ্রস্থ হউক ইহাই আমাদের একান্ত প্রার্থনা।’ । রাজনৈতিক অধিকার লাভ করিতে হইলে ক্তিধৰ্ম্ম নিৰ্ব্বিশেষে এক প্রাণ হওয়াই ভারতী মাঘ, ১৩২০ যে তাহার একমাত্র উপায় তাহার আর সন্দেহ কি ?—সহানুভূতি দ্বারা অর্থাৎ নাড়ীর টানেই দূর দুবাস্তর হইতেও আমরা মিলনের প্রতি অনুভব করি । কোন ও বহিঃশত্রু যাহাতে আমাদের মধ্যে ভেদবুদ্ধির স্বই করিতে না পারে সে জন্ত সকলেরই সৰ্ব্বদা সতর্ক থাকিতে হইবে। ক্ষুদ্র স্বাৰ্থ দলিত করিয়া মহৎ উদার সহানুভূতিতে, মাতৃভূমির স্বার্থে অনুপ্রাণিত হইয়া সম্মুখের পথে অগ্রসব হইতে হইবে । আগে যেমন যাইতে হইবে, তেমনি একত্রেও যাইতে হইবে একথা যেন আর আমব না ভুলিয়া যাই।” দক্ষিণ আফ্রিকা ব অত্যাচারের সম্বন্ধে সভাপতি বলিয়াছেন ; “এই নাড়ীর টানেই ব্যথা অনুভব করিয়াছি বলিয়া আমরা আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী ভারতীয় ভ্রাতাভগ্নিদিগের দুঃথে উদাসীন হইয়া থাকিতে পারি নাই –এই জন্তই দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী একশত পঞ্চাশ সহস্র ভারতবাসীব দুঃখ আমাদের হৃদয়কে কাতর ও অস্থির করিয়া তুলিয়াছে— এই জন্তই আমরা বিশ্বাস করিতে পারিতেছিন! যে আমাদের শাসনকৰ্ত্তাগণ কোনরূপেই এ বিষয়ে উদাসীন থাকিতে পাবেন । যে অশেষ বীরত্বের সহিত তাহার বিপুল অসমশক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় সম্মান রক্ষার্থ এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল সাধন চেষ্টায় যুদ্ধ করিয়া চলিয়াছে তাহাতে আমাদের মনে যেমন তাহদের নিমিত্ত গভীর সমবেদনার স্বষ্টি করিতেছে তেমনি তাহাদিগের বিরোধী অত্যাচারীদিগের প্রতি তীব্ৰক্রোধের সঞ্চার করিয়াছে । কিন্তু এ সহানুভূতি বা ক্রোধে অত্যাচারীর পীড়নদণ্ড প্রতিবোধ করিবার