পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هوي لا لا গড়ে নিতে হবে তার পরে তার সঙ্গে আমাদের ব্যবহার চলতে পারে এমন কথা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু আমার বন্ধুকে যেমন আমার নিজের হাতে গড়তে হয় নি এবং যদি গড়তে হত তাহলে কখনই তার গু সঙ্গে আমার সত্য বন্ধুত্ব হত না, বন্ধুর বাহিরের প্রকাশটি আমার চেষ্টা আমার কল্পনার নিরপেক্ষ,—তেমনি অনন্ত স্বরূপের প্রকাশও ত আমার সংগ্ৰহ-করা উপকরণের অপেক্ষ করেনি, তিনি অনস্ত বলেই আপনার স্বাভাবিক শক্তিতেই আপনাকে প্রকাশ করচেন। যখনি তিনি আমাদের মানুষ করে হষ্টি করচেম তখনি তিনি আপনাকে আমাদের অস্তরে বাহিরে মানুষের ধন কবে ধরা দিয়েছেন, তাকে রচনা করবার বরাৎ তিনি আমাদের উপরে দেন নি। প্রভাতের অরুণ আভা ত আমারই, বনের গুমিল শোভা ত আমারই, ফুল যে ফুটেছে সে কার কাছে ফুটেছে, ধরণীর বীণাধন্ত্রে যে নানা মুরের সঙ্গীত উঠেছে সে সঙ্গীত কার জন্তে ? অার এই ত রয়েছে মায়ের কোলের শিশু, বন্ধুর দক্ষিণহস্ত-ধরা বন্ধু, এইত ঘরে বাহিরে যাদের ভালো বেসেছি সেই আমার প্রিয়জন ; এদের মধ্যে যে অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ প্রসারিত হচ্চে এই আনন্দ যে আমার আনন্দময়ের নিজের হাতে পাতা আসন ; এই আকাশের নীল চাদোয়ার নীচে, এই জননী পৃথিবীর বিচিত্র আলপনা-জাক বরণ বেদীটির উপরে আমার সমস্ত আপন লোকের মাঝখানে সেই সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্ম আনন্দ রূপে অমৃত রূপে বিরাজ করচেন । এই সমস্ত থেকে, এই র্তার আপনার আত্মদান থেকে, অবচ্ছিন্ন ভারতী ফাল্গুন, ১৩২০ করে নিয়ে কোন কল্পনা দিয়ে গড়ে কোন্‌ দেয়ালের মধ্যে র্তাকে স্বতন্ত্র করে ধরে রেখে দেব ? সেই কি হবে আমাদের কাছে সত্য, আর যিনি অন্তর বাহির ভরে দিয়ে নিত্য নবীন শোভায় চিরসুন্দর হয়ে বসে রয়েছেন তিনিই হবেন তত্ত্বকথা ? তারই এই আপন আনন্দ-নিকেতনের প্রাঙ্গণে আমরা তাকে ঘিরে বসে অহোরাত্র খেলা করলুম, তবু এইখানে এই সমস্তর মাঝখানে আমাদের হৃদয় যদি জাগৃলন, আমরা তাকে যদি ভালোবাসতে না পারলুম তবে জগৎজোড় এই আয়োজনের দরকার কি ছিল ? তবে কেন এই আকাশেব নীলিমা, অমারাত্রির অবগুণ্ঠনের উপরে কেন এই সমস্ত তারার চুমকি বসানো, তবে কেন বসন্তের উত্তরীয় উড়ে এসে ফুলের গন্ধে দক্ষিণে হাওয়াকে উতলা করে তোলে ? তবে ত বলতে হয় বিশ্বস্বষ্টি বৃথা হয়েছে, অনন্ত যেখানে নিজে দেখা দিচ্চেন সেখানে তার সঙ্গে মিলন হবার কোনো উপায় নেই। বলতে হয় যেখানে র্তার সদাব্রত সেখানে আমাদের উপবাস ঘোচেনা ; মা যে অন্ন স্বহস্তে প্রস্তুত করে নিয়ে বসে আছেন সন্তানের তাতে তৃপ্তি নেই, আর ধূলোবালি নিয়ে খেলার অন্ন যা সে নিজে রচনা করেচে তাতেই তার পেট ভরবে। না, এ কেবল সেই সকল দুর্বল উদাসীনদের কথা, যারা পথে চলবেন এবং দুরে বসে বসে বলবে পথে চলাই যায় না। একটি ছেলে নিতান্ত একটি সহজ কবিতা আবৃত্তি করে পড়ছিল ; আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলুম তুমি যে কবিতাটি পড়লে তাতে কি বলেছে, তার থেকুে তুমি কি বুঝলে ? সে