পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬৬ যে সকলরকম করেই ভরেছেন। মাকে যখন ম! বলেছি তখন পরম মাতাকে ডাকবার ভাষাই যে অভ্যাস করেছি—মানুষের সকল সম্বন্ধের ভিতর দিয়েই যে তার সঙ্গে অনাগোনার দরজা একটি একটি করে পোল হয়েছে -- মানুষের সকল সম্বন্ধের ভিতর দিয়েই যে আমরা এক এক ভাবে অসীমের স্পর্শ নিয়েছি। আমার সেই ঘরভরা অসীমকে, আমার সেই জীবনভর অসীমকে আমার ঘরের ডাক দিয়েই ডাকতে হবে, আমার জীবনের ডাক দিয়েই ডাকতে হলে, সেইটেই আমার চরম ডাক, সেই জন্তেই আমার ঘর, সেই জন্তেই আমি মানুষ হয়ে জন্মেছি, সেই জন্তেই আমার জীবনের যত কিছু জানা, যত কিছু পাওয়া । তাই ত মানুষ এমন সাহসে সেই অনন্ত জগতের বিধাতাকে ডেকেছে “পিতা নেইসি” তুমি আমারই পিতা, তুমি আমারই ঘরের। এ ডাক সত্য ডাক-কিন্তু এই ডাকই মানুষ একেবারেই মিথ্যা করে তোলে, যখন এই ছোট অনস্তের সঙ্গে সঙ্গেই বড় অনন্তকে ডাক না দেয়। তখন তাকে আমরা মা বলে পিতা বলে কেবলমাত্র আবদার করি, আর সাধন করবার কিছু থাকে ন— যেটুকু সাধনা সেও কৃত্রিম সাধন হয় । তখন তাকে পিতা বলে আমরা যুদ্ধে জয়লাভ করতে চাই, মকদ্দময় ফল লাভ করতে চাষ্ট, অন্তয় করে তার শাস্তি থেকে নিস্কৃতি পেতে চাই। কিন্তু এ ত কেবলমাত্র নিজের সাধনাকে সহজ করবার জন্ত ফাকি দিয়ে আপন ফুৰ্ব্বলতাকে লালন করবার জন্তে তাকে পিতা বল নয়। সেই জন্তেই বলা হয়েছে পিতা নেইসি, পিতা নে বোধি—তুমি যে পিত্তা ভারতী ফাঙ্কন, ১৩২• এই বোধকে আমার মধ্যে উদ্বোধিত করতে থাক । এ বোধ ত সহজ বোধ নয়, ঘরের কোণে এ বোধকে বেঁধে রেখে ত চুপ করে পড়ে থাকবার নয়। আমাদের বোধের বন্ধন মোচন করতে করতে এই পিতার বোধটিকে ঘর থেকে ঘরে দেশ থেকে দেশে সমস্ত মানুষের মধ্যে নিত্যই প্রসারিত করে দিতে হবে । আমাদের জ্ঞান প্রেম কৰ্ম্মকে বিস্তীর্ণ করে দিয়ে ডাকতে হবে, পিতা । সে ডাক সমস্ত অন্তায়ের উপরে নেজে উঠবে, সমস্ত লুব্ধ স্বার্থকে লজ্জিত করে ডেকে উঠবে, সে ডাক মঙ্গলের দুর্গম পথে বিপদের মুখে আমাদের আহবান করে ধ্বনিত হবে । পিতা নে বোধি নমস্তেহস্তু, পিতার বোধকে উদ্বোধিত কর যেন আমাদের নমস্কারকে সত্য করতে পারি, যেন আমাদের প্রতিদিনের পুজায়, আমাদের ব্যবসায়ে, সমাজের কাজে, - দেশের কাজে আমাদের পিতার বোধ জাগ্রত হয়ে পিতাকে নমস্কার সত্য হয়ে উঠে। মানুষের যে পরম নমস্কারটি তার যাত্রাপথের দুই ধরে তার নানা কল্যাণ-কীৰ্ত্তির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে চলেছে সেই সমগ্ৰ-মানবের সমস্তকালের চিরসাধনার নমস্কারটিকে আঞ্জ আমাদের উৎসব-দেবতার চরণে নিবেদন করতে এসেছি । সে নমস্কার পরমানন্দের নমস্কার, সে নমস্কার পরম দুঃখের নমস্কার । নমঃ সম্ভবায়চ ময়োভবায় চ, নমঃ শিবায় চ শিবতরায় চ, তুমি স্বথরূপে আনন্দকর তোমাকে নমস্কার তুমি দুঃখরূপে কল্যাণকর তোমাকে নমস্কার । তুমি কল্যাণ তোমাকে সমস্কার, তুমি নব নবতর-কল্যাণ তোমাকে সমস্কার । ज्ञैङ्गशैञ्जनiधं *हूनि ।