পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o সেই আভ্যস্থরিক ঝটিক নিবৃত্তি হয় নাই । সেই মানসিক অণুৎপাতের গৈরিক নিঃস্রব এখনও সারা প্রাণ ভস্ম করিয়া ফেলিতেছে । সে স্বেচ্ছায় এখানে আসে নাই, কে যেন তাঙ্গাকে জোর কবিয়া টানিয়া আনিয়াছে । দুইবাব খবব যখন সে মনীশের অনুপস্থিতি সংবাদ পাইল, তখন মস্ত বড় একটা যুক্তি তাহাব চন্তে আশার বাণী বহন কবিয়া অনিল । তবে সে আব কি করিবে ? অগত্যাই মনীশেব সহিত বিনা সাক্ষাতেই ফিরিয়া যাইতে হয়। সে ত চেষ্টার ক্রটি কবে নাই কিন্তু সেই দিনই ফিরিবার কথায় দাদা এমনই বিস্ময় প্রকাশ করিলেন এবং নিজের মনেই সে এমনই একটা গুরু অপরাধের ভার অনুভব করিল যে যুক্তিটা সম্পূর্ণ অকাট্য হইলেও তাহা নিষ্ফল ব্যর্থ হইয় পড়িল । সন্ধ্যায় আবার সে যখন মনীশের প্রতীক্ষায় তাহার বসিবার ঘরের টেবিলটার সম্মুখে সেই চিবপরিচিত স্থানটি গ্রহণ কবিয়া বসিল, তখন একবাব তাহাব চিত্ত ভিতরকার রুদ্ধ উত্তাপ শীতল হইয়া আসিতে লাগিল । নিজের গুক অপরাধ উপলব্ধি কবিয়া সে যেন কেমন একটা আকুল চঞ্চলত অনুভব করিল। তাছাদের সেই আবাল্য প্রীতিপ্রাহিণীব মনীভূত বেগশীলতা সহসা যেন পূৰ্ব্বগতি ফিরিয়া পাইতেছে এমনি সে অনুভ করিতে লাগিল । মনে হইল সে সেই কলেজেব ছাত্র শচীকান্ত, তাহার অকৃত্রিম বন্ধু মনীশের কাছে সে আসিয়াছে, আব কোন কিছু না । অনেকক্ষণ অবধি মনীশ বাড়ী ফিরিল না লইয়l হইতে ভারতী 射 কীৰ্ত্তিক, ১৩২০ জানালার মধ্য দিয়া শচী পুনঃপুন বাহিরের দিকে চাহিয়া দেখিল, গাঢ় মসীবর্ণের আকাশে অগণ্য নক্ষত্রের জ্যোতি অতিমাত্রায় উজ্জ্বল দেখা তেছিল, তাহারই এক পাশে ক্ষয়প্রাপ্ত চক্ৰাদ্ধবৎ চন্দ্র রত্নভূষণের দ্যায় দীপ্তি পাইতেছে! গাছের পাতায় পাতায় চন্দ্রকরলেখা মাখমাখি হইয়া গিয়াছিল। কে একজন দ্বার ঠেলিয়া ঘরে প্রবেশ করিতেছে, শচীকান্ত উন্মুখ হইয়া ফিরিয়া সেই দিকে চাহিল, মনীশ সম্মুখীন হইলেই সে তখনি উঠিয় তাহাকে বক্ষে আলিঙ্গন করিবে, প্রাণ খুলিয়া ক্ষমা চাহিয়া বলিবে আজ আমি তোমাব বন্ধু, তোমার প্রকৃত বন্ধু হইতে আসিয়াছি খোলস ফেলিয়া আসিয়াছি, আমায় কাছে ডাকিয় লও। কিন্তু তাহার প্রতীক্ষা ব্যর্থ করিয়া আসিল সত্য ! আবার সে শুভ মুহূৰ্ত্তকে বিফল হইতে দেখিয়া মনের মধ্যে কেমন একটা দুৰ্ব্বলতা অনুভব করিল। সাময়িক উত্তেজনার মত্ততাও ক্রমশঃ ফুরাইয়া আসিতে লাগিল । শেষকালে মনীশ আসিল, তাহার পদধবনি কণ্ঠস্বর, হাতের স্পর্শ, শচীকাস্তের সর্বশরীরে এককালে সহস্ৰ তাড়িত ছুটাইয়া দিল, গুঢ় আনন্দের আভায় সাবা মুখ উজ্জ্বল করিয়া সুখ স্পন্দিত হৃদয়ের আবেগে কম্পিত স্ববে সে যখন তাহাকে সঙ্গেtধন করিতে লাগিল তখন তাহার সমস্ত শরীরের স্নায়ু একটা অধীর বেদনার বেগে পীড়িত হইয়া উঠিল, অবরুদ্ধ যন্ত্রণায় বুকখানা ফাটিয়া পড়িবার মত হইতে লাগিল, কি বন্ধুপ্রেমের কি প্রতিদান সে দিতে বসিয়াছে! সে মুখ ফুটিয়া কিছু বলিতে গেল, অনুতপ্ত চিত্তের বেদনশর উৎপাটিত