পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৭৬ এই সৈন্তের উপরই তাহার দেহ রক্ষার ভার সম্পূর্ণরূপে অপিত হইল। এই সময় ইসলাম বেগ বলিষ্ঠ মারাঠা রক্ষী সেনাদলের দ্বার রক্ষিত আগ্রানগরী অবরোধের চেষ্টা করিলেন। রোহিলাও তাহার সহিত মিলিবার অtশায় অগ্রসর হইলেন। দুরন্ত হিমানী শেষে ১৭৪৪ খৃষ্টাস্কের মধু মার্চ মাসে নুতন সৈন্তাদির সমাবেশের পর, সিন্ধিয়া বাহ ঔদাসীষ্ঠ পরিত্যাগ করত: চম্বল নদী পার হইয়া ঢোলপুরে আসিলেন। তিনি আগ্রী প্রবেশের পূৰ্ব্বেই সম্মিলিত মসলেম শক্তি র্তাহাকে ২৪শে এপ্রিল তারিখে ভরতপুর হইতে এগার মাইল দূরে চক্ষণ নামক স্থানে আক্রমণ করিল । সৈন্তা* বৈগুনের উপস্থিতি সত্ত্বেও ১৭৬১ খৃষ্টাব্দে পাণিপথ ক্ষেত্র হইতে পলায়ন কালে সিন্ধিয়ার জীবন রক্ষক রাণ খাঁ এ সংগ্রামে রাজপক্ষের সেনাচালনের নেতৃত্বভার গ্রহণ করিলেন। মোসলেম অশ্বারোহী সেনাগণ যেন একটা অঙ্গত শক্তিতে শক্তিমান হইয়া উঠিল ; মারাঠা সৈন্তদিগের দ্বারা গঠিত তিনদল পদাতিক, শত্রুর বেগ সহ করিতে না পারিয়া পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করিতে বাধ্য হইল। এমন কি জাটু অশ্বারোহীগণও কিছু করিতে পারিল না। এইরূপে পরাজিত হইয়া রাণ খা গোয়|লিয়ারে প্রত্যাবর্তন করিলেন। রোহিলা নৱাবও আপন দেশে ফিঙ্কিা গেলেন। শিখগণ রোহিলারাজ্যের উত্তর পাশ্ব আক্রমণ করিয়া, দেশকর্তাকে ভয় দেখাইলেও ফলে কিন্তু শিখেরাই পশ্চাৎ তাড়িত হইয়াছিল,— যদিও, এই আক্রমণফলে বিধ্বস্ত, লুষ্ঠিত শয়শপুর জেলাকে তাহার পূর্বাবস্থায় ফিরাইয়া আনিতে দুইপুরুষেরও বেশী সময় ভারতী দের ফাল্গুন, ১৩২• আবগুক হইয়াছিল । রোহিলা এবং বেগ পুনরায় তাহাদেব সৈন্ত একত্রিত করিলেন। এই নবগঠিত সৈন্তদলের এক অংশ আগ্ৰায় রাথিয় অবশিষ্টাংশ লইয়া রাজধানী অভিমুখে যাত্র করিলেন ; এবং গ্রীষ্মের প্রারম্ভে তাহার। মহানগরীতে পৌছিলেন । এই সময়ে শাহ রাজপুত রাজন্তবর্গকে স্বীয় করতলগত করিবার জন্ত রাজপুতানায় গমন করেন, কিন্তু র্তাহার অভিযান ব্যর্থ হইয়াছিল। দাক্ষিণাত্য হইতে আগত নুতন সেনাবলে বলীয়ান হইয়া সিন্ধিয় আগ্রা অবরোধ করিলেন। এই সন্মুখযুদ্ধে ফতেপুরসিক্রির জীর্ণ প্রাসাদ সমীপে ইসমাইল বেগ পলায়ন করিতে বাধ্য হইলেন ; এবং গোলাম কাদিরের সঙ্গে দিল্লীতে প্রস্থান করিলেন । সিন্ধিয়ারাজ র্তাহার একজন শ্রেষ্ঠ সেনাপতি লক্কদাদকে আগ্রী রক্ষণের ভার দিলেন ; এবং তাহার পণ্টনের ক্ষুদ্র এক অংশ সম্রাটকে রক্ষা করিবার জন্ত দিল্লিতে পাঠাইয়া দিয়া মথুরার সেনানিবাসে অবশেষে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন । মোসলেম নেতাগণ ‘শাদরে’ শিবির সন্নিবেশ করিল। শিবিরে খাদ্যদ্রব্যের অনাটন পড়িয়া গেল। ঠিক এই সময়ে নেতৃযুগল শাহের সেনাপতিদিগের সহিত ষড়যন্ত্র আরম্ভ করিল। ফলে মোগলসেনাদলও র্তাহীদের সহিত যোগদান করিল ; গোসাঞিনেতা হিম্মত আপন সেনাদলকে ফিরাইয়া লইলেন । এইরূপে সম্রাট সকলের দ্বারা পরিত্যক্ত হইলে, মিত্রদ্বয় নদী পার হইয়া দিল্লিতে প্রবেশ করিলেন ; এবং নগররক্ষণ দুর্গ ও রাজকীয় প্রাসাদ জয় করিয়া বসিলেন। ১৭৮৮ খৃষ্টাব্দের মৌসুম প্রারম্ভে