পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা কেল্লা পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া তাহার বলাধানের উপায় চিন্তা করিতেছেন। মোগলখণিত দুইটা সুড়ঙ্গ দেখিতে পাইয় তাহ প্রতিবিধানের ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। তৃতীয় আর একটা সুড়ঙ্গ ছিল তাহার বিরুদ্ধে সৈন্ত চালাইবার পূৰ্ব্বেই শক্রগণ তাহ উড়াইয়া দেওয়াতে সেই সঙ্গে অনেক দুর্গপালবিনষ্ট হইল, প্রাচীরে বৃহৎ ছিদ্র দেখা । গেল, লোকের প্রাণভয়ে পলায়নোস্থ্যত চাদবিবি কবচ ধারণ পূৰ্ব্বক মুখের উপর একটা ঘোমটা ফেলিয়া খোলা তরবারে সেই স্থানে গিয়া উৎসাহ বাক্যে সকলকে ডাকিয় আনেন—তাহার দৃষ্টাস্তে ভীরু ও সাহস পাইল, গুলি গোলা তীর যাহা কিছু ছিল শক্ৰদের উপর বর্ষণ হইতে লাগিল । অবশেষে ঘোরতর যুদ্ধের পর মোগল সৈন্ত পিছু হটিয়া গিয়া সেদিনকার মত নিরস্ত হইল। র্চদবিবি সে রাত্রে সমস্ত রাত্রি অবিশ্রান্ত কাজ করিতেছেন। পরদিন প্রাতে মোগলের দেখিতে পাইল প্রাচীরের ছিদ্র অনেকটা বুজিয়া গিয়াছে, তাহদের প্রবেশ দ্বার রুদ্ধ, নুতন মুড়ঙ্গ না করিলে আর প্রবেশের পথ নাই। যুবরাজ ভাবিলেন গতিক বড় ভাল নয়, প্রস্তাব করিয়া পাঠাইলেন, যদি বহাড়(Berar) প্রান্ত দিল্লীশ্বরকে ছাড়িয়া দেওয়া হয় তাহt হইলে তিনি যুদ্ধে ক্ষান্ত দিবেন। চাদবিবি বিজাপুরের সাহায্য লাভে হতাশ হইয়া এই প্রস্তাবে অগত্যা সন্মত হইলেন। যুবরাজ ও অল্পস্বল্প ফললাভে সন্তুষ্ট হইয়া সসৈন্তে ফিরিয়া গেলেন। সুলতানা সেবারকার মত যেন কোনপ্রকারে নিস্তার পাইলেন কিন্তু সে অল্পকালের জন্ত । তাহার দুই বৎসর পরে আমার বোম্বাই প্রবাস ה"ל לל মোগলের ফিরিয়া আসিয়া আবার নগরের উপর হল্লা করিল। এবার রাজ্ঞী আর শক্রহস্ত এড়াইতে পারিলেন না । তিনি দেশরক্ষণে প্রাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিলেন কিন্তু তাহার সমুদায় চেষ্টা ব্যর্থ হইল। এদিকে বাহিরের শক্ৰ তাহার উপর আবার গৃহ বিচ্ছেদ ; চাদবিবি দেখিলেন এবার আর রক্ষা নাই। উপায়ান্তর না দেখিয়া মোগলের সঙ্গে সন্ধি সাধনের উদ্যোগ করিতেছেন, এমন সময় তাহার সৈন্তেরা বিদ্রোহী হইয়া উঠিল। সেই গোলযোগে একজন বিদ্রোহী সৈনিকের হস্তে রাণী প্রাণ হারাইলেন ; মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আহমদনগর শক্র হস্তে নিপতিত হইল। চাদবিবি ভারতবীরনারীদের মধ্যে একটি রত্ন, তাহার ভ্রাতুপুত্র বিজাপুরের চাদবিবি