পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 ఫిe সুলতান ইব্রাহিম চাদবিবির নিকট অনেক বিষয়ে ঋণী—র্তাহার কৃতজ্ঞতার চিহ্ল স্বরূপ তিনি মুলতানার নামে যে একটি স্তুতিগীত রচনা করেন তাহ। এই স্থলে ভাষান্তরে উদ্ধৃত করিয়া দিলাম ! + সুরকাননে অঙ্গরা—আছে নানা, মরভবনে রূপবতী—কত আছে। বিজাপুরের রাণা চাদ—সুলতান, রূপে সবাই হার মানে—র্তার কাছে ॥ সদা সাহস ধ্রুব তার-ঘোর রণে, গৃহে শাস্তি দয়া যেন—শোভমান । আহা, করুণ। কত তার—দীনজনে, বিজাপুরের রাণী চাদ—সুলতান ॥ যথা ফুলের মাঝে চাপা—সেবা মানি, তরু মাঝারে সহকার—সবে জিতে । ভারতী “কিন্তু তাহ। ফাল্গুন, ১৩২০ তথা রাণীর মাঝে রাণী—চাব রাণী, কেব পারে গো তার গুণ—বাখনিতে ॥ যিনি জননী সম মেছে—স্বভবনে, মোরে বিদেশে পালিলেন– সযতনে । আমি দ্বিতীয় ইব্রাহিম –ম্মরি সে কথা, র্তাব চবণে সঁপিলাম—স্মরণ গাথা ॥ আহমদনগর মোগল রাজ্য ভুক্ত হইল দিল্লীশ্বরের হস্তে অধিককাল স্থায়ী হয় নাই । দিল্লীর অবসাদের সঙ্গে সঙ্গে তাহার ৪ ভাগ্য পরিবর্তন হইল। মোগল হইতে মারাঠী অধিকার, পরে যখন পেশওয়াকে রাজ্যচ্যুত করিয়া ইংরাজের পশ্চিম ভারতবর্ষের অধীশ্বর হইলেন, তখন আহমদনগরও ইংরাজরাজ্যে আসিয়া মিলিত হইল। শ্ৰীসত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর। নারীশিক্ষা ও মহিলা শিম্পাঞ্জম সে আজ কত দিনের কথা—একদিন সন্ধ্যার সময় আমরা তিনজনে তেতালার ঘরের খাটের উপর কেহ বসিয়া কেহ শুইয়। গল্প করিতেছিলাম। শ্ৰীমতী জ্ঞানদা নন্দিনী দেবী বলিলেন যে “দেখ আমার মনে হয় আমরা চেষ্টা করিলে দেশের ও জনসাধারণের অনেক কায করিতে ও করাইতে পারি । মনে কর তোমার স্বামী ডাক্তার,—কোন দরিদ্র বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাইতেছে তুমি স্বামীকে বলিয়া তাহার চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়া ক্ষ্য + বোম্বাই চিত্র পৃ:৩৩৯–৬৪৩ । কাহারও স্বামী ব্যারিষ্টার—স্বামীকে সুবিচারের প্রার্থ কোন দরিদ্রের তিনি কাযটা উদ্ধার করিয়া দিলেন ।” সকল কথা মনে নাই কিন্তু বেশ মনে পড়ে সেদিন অনেক রাত্রি পর্য্যন্ত এই বিষয়ে আলোচনা হইয়াছিল । সন্ধ্যার ঘন অন্ধকারে আমরা এই কথাবার্তায় এমন নিমগ্ন ছিলাম যে কখন সে ঘর চাদের আলোতে ভরিয়া উঠিয়াছে তাহ জানিতেও পারি নাই। সে দিনের আর সব কথা ভুলিয়া 3. দিলে । বলিয়া