পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা গিয়াছি কেবল সেই চাদের আলো মনে আছে আর মনে আছে তাহার অল্পদিন পরেই শ্ৰীমতী স্বর্ণকুমাৰী দেবী কর্তৃক সখি-সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। আশ্চর্য্যের বিষয় এই, আমাদের কথোপকথন স্থলে সেদিন স্বর্ণকুমারী দেবী উপস্থিত ছিলেন মা,—অথচ এই একই সময়ে এই স্ত্রীশক্তির ভাবটি তাহার মনে স্বতঃ জাগরিত হইয় উঠে—এবং আমাদের কল্পনা জল্পনা র্তাহার যত্নে কাৰ্য্যে পরিণতি লাভ করে। সখিসমিতি স্থাপিত হয়— ১২৯৩ সালেব বৈশাখে ;—ইহার উদ্দেশু ছিল, মেয়েতে মেয়েতে আলাপ পরিচয় দেখাশুনা মেলামেশা, স্ত্রীশিক্ষা বিস্তার ও উন্নতির চেষ্টা—বিধবা রমণীকে সাহায্য করা, অনাথাকে আশ্রয়দান, ইত্যাদি। শ্ৰীমতী স্বর্ণকুমারী দেবী অনেক দিন পৰ্য্যন্ত এই কার্য্যে অনেক পরিশ্রম করিয়াছেন। সে সময় শ্ৰীমতী হিরন্ময়ী কয়েকটা অনাথ বালিকাকে নিজ গৃহে স্থান দিয়া সযত্নে তাহদের লালনপালন ও লেখা পড়া শেখানর ভার লইয়া মাতাকে সাহায্য কবিতেন। সে সব অনেক দিনের অনেক কথা, বলিতে গেলে অনেক বলিতে হয়। সকল কথা মনেও নাই ; কেবল মনে আছে শিল্প মেলার কথা—সে কি আনন্দ সে কি উৎসাহ ! নানা বিঘ্ন বিপত্তির মধ্যে অটল ধৈৰ্য্যের সহিত কায করিয়া কয়েক বৎসর পরে শ্ৰীমতী স্বর্ণকুমারী দেবী বিশ্রাম গ্রহণ করিলেন, আর সখি-সমিতি লোপ পাইল । আজ কয়েক বৎসর হইল শ্ৰীমতী হিরন্ময়ী দেবী সখি-সমিতির একটা উদ্দেশু , বিশেষ মহিলা শিল্পীশ্রম b)సి) . ভাবে গ্রহণ করিয়া মহিলাশিল্পীশ্ৰম প্রতিষ্ঠা করিয়া তাহার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করিতেছেন। এই আশ্রম হিন্দু বিধবা নারীর উন্নতি কল্পে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। আজ কাল ৩০ জন হিন্দু বিধবা বালিকা ও রমণী হিন্দু আচার ব্যবহারে পালিত হইয়া লেখা পড়া ও শিল্পাদি শিক্ষা করিতেছে । ঝাড়ন গামছা সাড়ী রেশমী কাপড় মোজা গেঞ্জি লেস্ ও সদাসৰ্ব্বদ ব্যবহারের বস্ত্রাদি তাহাব নিজেরা প্রস্তুত করিতেছে । একালে আমাদের দেশেও ধনী দরিদ্র ইতর ভদ্র যে কেহ জামা মোজা গেঞ্জি কোর্তা প্রভৃতি ব্যবহার করিয়া থাকে, ইগর জন্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকেই দোকানে দোঁড়িতে হয়, র্যাহাদের ঘরে ছেলে পিলে আছে র্যাহাবা সৰ্ব্বদা দর্জির সহিত কাববার করেন, তাহারা জানেন সে কি বিষম ঝঞ্চাট । প্রথম ত দর্জি কাপড় না চুরি করিতে পারে এ জন্ত খরদৃষ্টি রাখা দরকার, —দ্বিতীয়তঃ অসম্ভব রকম মজুরী হাকিলে তখন কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িতে হয়, সবশেষ ও শ্রেষ্ঠ ভাবন দর্জি কি যে তৈয়ার করিয়া আনিয়া তারিফ করিয়া দেখাইবে তার ঠিক নাই। যখন জ্যাকেট করিতে গিয়া বালিসের খোলটি হাতে ঝুলাইয়া ভারি প্রশংসায় চক্ষে সে দেখে ও দেথায় তখন হাড় শুদ্ধ জলি করে। অনেকে বলিবেন, ওসব “বিলাসিতী” ছাড়িয়া দিলেই জ্বালা ঘোচে - মেয়েদের বেলায় তা যেন হইল—আমরা যেন মাতামহী পিতামহীদের পরিস্থদের দৃষ্টান্ত অনুকরণের জন্ত “ফিরে চল ফিরে