পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৯২ চল ভাই” বলিয়া গাইতে গাইতে ফিরিয়া যাইব ; কিন্তু মোজা গেঞ্জি পাঞ্জাবী কামিজ চাপকন কোট প্যান্ট পুরুষদের নিত্য ব্যবস্থাৰ্য্য সকলই ত চাহি । সুতরাং দেখা ধাইতেছে মেয়ের সেলাইএ অভ্যস্ত হইলে ংসারের বিস্তর ঝঞ্ঝাট কমিয়া যায়। ধনী দরিদ্র প্রত্যেক রমণীরই সেলাইএ দক্ষতা থাকা যে উচিত এ কথা একবাক্যে সকলেই স্বীকার করিবেন। শিল্পাশমে যে কেবল বিধবাদের শিক্ষা দেওয়া হয় তাহা নহে, সধবা বালিকাগণও ইচ্ছা করিলে সেখানে গিয়া প্রত্যহ লেখাপড়া এবং শিল্প শিক্ষা করিতে পাবেন । মহিলাশিল্পাশমের ছাত্রীগণ র্ত্যত বোন হইতে সুন্দর সুন্দর কারুকার্য্যশোভিত জ্যাকেট ফ্রক রুমাল প্রভৃতি প্রস্তুত করিতেছে। এমন যে আবশুকীয় শিক্ষা বিস্তারের জন্য আশ্রমটি স্থাপিত হইয়াছে তাহার আদর कहे ? চিরদিন কল্যাণময়ী নারীর সুকোমল হস্ত ও স্নেহপ্রবণ হৃদয় সেবার জন্ত সৰ্ব্বদা প্রস্তুত । কিন্তু আমাদের দেশে বিধবা হইলেই আর সে নারীর আদর থাকে না – তখন সেই কল্যাণময়ী সকলের চক্ষে চির অকল্যাণী বলিয়া প্রতিভাত হয়। যখন বিধাতার নিৰ্ব্বন্ধে কল্যাণী নারী দৃঢ় বন্ধন মুক্ত হইয়া দশজনের সেবার জন্ত নিজের হৃদয় মনকে প্রস্তুত করিতে প্রয়াস পায়, তখন সেই বিধবা অকল্যাণী বলিয়া আত্মীয় জনের গলগ্রহ ও হতাদরের হইয়া তাহার জীবনকে ব্যর্থ জীবন মনে করিয়া কোনমতে দিন যাপন করিতে থাকে। এই ॐांब्रडौ - ইহা যদি সকলে ভাবিয়া ফাষ্ট্রন, ১৩২৬ সকল বিধবাদের জীবন যে ব্যর্থ নহে ইহা প্রতিপন্ন করিবার জন্ত শ্ৰীমতী হিরন্ময়ী দেবী শিল্পাশম প্রতিষ্ঠা করিয়া দেশের যে কতখানি মঙ্গল সাধন করিয়াছেন তাহ অল্প লোকেই বুঝিয়াছেন। দুঃখের বিষয় এইজন্ত অর্থভাবে ইচ্ছানুরূপ কাৰ্য্য অগ্রসর হইতেছে না । সামান্ত 10 মাসিক চাদ। আদায় করিতে , কিরূপ কষ্ট পাইতে হয় তাহ শ্ৰীমতী হিরন্ময়ী ও কৰ্ম্মক ক্রীগণ বিলক্ষণ জানেন । এই পতিপুত্রহীন বিধবাগুলি যেন তাহাদেরি অবশু পোষ্য, দেশের আর দশজনের সহিত যেন কোন সংশ্রব নাই । এ যে দশজনের কায —তাহা কেমন করিয়া বুঝাইব ? একটা ব্যর্থ জীবনকে সার্থক করিয়া গড়িয়া তুলিতে পারিলে সে যে তোমাদের দশজনের কায করিয়া নিজে ধষ্ঠ হইবে-এই মাতৃস্বরূপিণী বালিকার যে দেশের দশজনের সচ্ছন্দত বৃদ্ধির জন্তই নিজেকে প্রস্তুত করিতেছে দেখেন তবে ইহার উন্নতি বিধানে মুক্ত হস্ত হইতে কি কুষ্ঠিত হষ্টতে পারেন ? আমরা অবরোধে বাস করি—নিজ নিজ পিতা পুত্র ভ্রাত ও স্বামীর সংসারই আমাদের কৰ্ম্মক্ষেত্র,— তদভাবে নিকট আত্মীয় যদি স্থান দান করেন তবে কোনমতে মান রক্ষণ হয় বটে, কিন্তু প্রাণ রক্ষা হয় অনেক কষ্টে !—এই পরের গলগ্রহ আপদকে কি কেহ মেহের চক্ষে দেখিতে পাবে ? এ দৃশু যে ঘরে ঘরে । এই জন্ত এদানী অনেক ভদ্রঘরের দরিদ্র বিধবাকে হীনকার্য্যে জীৰিক অর্জন করিতে দেখা যায়। আত্মীয়গণের নিকট দাসী বৃত্তি করিয়াও যখন অনেক স্থলে