পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> >切ペ তৎপর ছিলেন । কিন্তু রাজা যখন অব্যবস্থিত র্যসূনাসক্ত ছশ্বুদ্ধি, তখন মন্ত্রী আর কত পারিয়া উঠিবেন ? যশবন্তরাও হোলকর ১৮০০ সালে নানার মৃত্যুর পর মহারাষ্ট্রে ভয়ঙ্কর অরাজকতা উৎপন্ন হইল । পেশওয়ার শাসন নির্জীব ও অন্তঃসারশূন্ত, চতুর্দিকে বিপ্লব, যে যেখানে পারে সৈন্ত্যবল সংগ্ৰহ করিয়া নিজ নিজ স্বাধীনতা সাধিয়া লইতে তৎপর। বৎসরেক পরে আর এক নুতন বীর সমরক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন— যশবন্তরাও হোলকর । সিন্দিয় এতদিন হোলকরকে বশে রাখিয়াছিলেন, যশবন্তরাও সহসা স্বাধীন দুৰ্ত্তিতে সমুখান পূৰ্ব্বক সিন্দের বিরুদ্ধে কটিবদ্ধ হইলেন। যশবস্তের রণকাহিনী বর্ণনা করিবার পূৰ্ব্বে এইস্থলে ক্ষণেকের জন্ত র্তাহার পূর্বপুরুষদেব অবতারণ করিতে ইচ্ছা করি । হোল কর ব শ হোলকর বংশ আসলে ধনসর (গয়লা, জাতীয় মারাঠা । পুণাসন্নিহিত নীরানদী তীববৰ্ত্তী হোলগ্রামে তাহদের আদম নিবাস ও সেই গ্রাম হইতে র্তাহাদের কুলনামের উৎপত্তি। হোলকর বংশের মুখোজুলকারী মহলার রাও ১৬০০ খৃষ্টাব্দের শেষ গে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বাল্যকালে খাদেশে তাহার মামার মেষপালক ছিলেন । মহলার রাও ১৬৯৩—১৭৬৯ একদিন মধ্যাহ্নে মাঠের মধ্যে নিদ্রিত আছেন, এমন সময় এক বৃহৎ অজগর ভারতী ফাল্গুন, ১৩২০ সৰ্প ৰ্তাহার মুখের উপর আতপত্ররূপে ফণা ধরিয়া থাকে। এই শুভলক্ষণ দৃষ্টে উৎসাহিত হইয়া তিনি অন্ত চাকরীর চেষ্টা দেখিতে লাগিলেন । প্রথমে তিনি একজন মারাঠী সর্দারেব নিকট ঘোড়সোয়ারের কৰ্ম্ম পান । এই সময় হইতে র্তাহার ভাগ্য ফিরিল ৷ ১৭২৪ সালে বাজিথাও পেশওয়ার অধীনে ৫০০ অশ্বের অশ্বপতি, ক্রমে উচ্চ হইতে উচ্চতর পদে আরোহণ ও বিস্তর ভূমি সম্পত্তি উপার্জন করেন। ১৭৩২ সালে তিনি পেশওয়ার প্রধান সেনাপতিরূপে মালবের মোগল প্রতিনিধিকে যুদ্ধে পরাভব করেন । ১৭৫০ খৃঃ আবেদ মালব বিজয়ান্তর সিন্দে ও হোলকর তাহ আধাআধি ভাগ করিয়া লন, তাহাতে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা মুনফার প্রদেশে তাহার অধিকার বিস্তৃত হয় । এইরূপে তাহাব রাজ্য ও বল বৃদ্ধি হইতে লাগিল, এবং ইন্দোর তাহার রাজধানী হইয়া দাড়াইল । পাণিপতের যুদ্ধে যে অল্প কয়েকজন মারাঠা বীর ভালয় ভালয় দেশে ফিরিয়া আসিয়া ছিলেন, মহলাররাও তাহদের মধ্যে একজন । তিনি ঐ যুদ্ধে বড় একটা যোগ দেন নাই —ত হার কারণ এইরূপ রাষ্ট্র যে, এই যুদ্ধে তিনি যেরূপ পরামর্শ দেন মাৰাঠী সেনাপতি সদা শব ভাউ “গয়লার কথা কে মানে” এই বলিয়া সে পরামর্শ অগ্রাহ করেন । তাহার পরামর্শ এই—পাঠানদের সহিত সন্মুখ যুদ্ধে প্রবৃত্ত না হইয় তাহদের দল বলকে বিবিধ উপায়ে হায়রাণ করা-বল অপেক্ষ কৌশলে তাহাদের দমন করা—পলায়নচ্ছলে অরিদল আকর্ষণ করিয়া অবসর বুঝিয় তাহাদের উপর হল্লা করা ; “ত্ববায় অনর্থ, বিলম্বে