পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

も*8 সে বয়সে বড়, তাহাকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করা সঙ্গত হয় না, কিন্তু তাহ ন হইলেও তাহাকে মহলাররাও এর পুত্র ও উত্তরাধিকারীরূপে বরণ করিয়া যান। প্রথম মারাঠী সমরে তুকাজী হোলকর ও মহাদাজী সিন্দে উভয়ে মিলিয়া একমনে কাৰ্য্য করেন। শেষাশেষি তাহীদের পরস্পর বৈমনস্ত ও . বৈরভাব সংঘটন হন। মহাদাজীর মৃত্যুর কয়েক বৎসর পরে তুকাজী পরলোকগত হয়েন । তুকাজীর চারি পুত্র। কাশীধাও ও মহলাররাও দুই পত্নী-গর্ভজাত-যশবন্ত ও বিঠোজী দুই দাসী পুত্র। কাশীরাও মহলাররাও দুই ভায়ে রাজ্য লইয়া কাড়াকড়ি ; জে ষ্ঠের সহায় দৌলতরাও সিন্দে, কনিষ্ঠের পক্ষে নানাফর্ণধীশ । একবার দুই ভায়ের মধ্যে মিলনের চেষ্ট হয় কিন্তু সে চেষ্টার কোন ফল হইল না। যে দিনে দুই ভ্রাতা তাহদের পরস্পর সৌহাৰ্দ্দবন্ধন স্থাপন করিলেন তার পরদিনেই মহলাররাও সিন্দিয়ার সৈন্ত হস্তে নিহত হন । যশবন্তরাও মহলাররাও এর পক্ষ ছিলেন, তিনি এই গোলযোগে পলায়ন করিয়া নাসপুব রাজার শরণাপন্ন হইলেন । সেখানে শরণ লাভ দূরে থাকুক তাহার ভাগ্যে কার লাভ ঘটিল—-দেড় বৎসর পরে বহুকষ্টে পলায়নে মুক্তিলাভ করেন। সেই সময় হইতে তিনি তাহার ভ্রাতুপুত্র খণ্ডেরাও এর নামে সৈন্ত ংগ্ৰহ করিতে আরম্ভ করিলেন । ক্রমে মারাঠী, রাজপুত, পাঠান, ভিল, পিণ্ডারী প্রভৃতি লোক হইতে ফৌজ একত্রিত করিয়া তিনি তাহীদের , দলপতি হইয়া দাড়াইলেন । ভারতী ফাল্গুন, ১৩২৬ পরে ইউরোপীয় রণপণ্ডিতদের সাহায্যে এই ফৌজ হইতে রণদক্ষ শিক্ষিত সৈন্যদল প্রস্তুত করিয়া লইলেন । আমীর খ৷ নামক জনৈক মুসলমান সর্দারেব সাহায্য পাইল্প তাহার বল পুষ্ট হইল ; দুইজনে মিলিয়া লিন্দিয়ার রাজ্যে ঘোরতর লুটপাট অত্যাচার আরম্ভ করিয়া দিলেন। পরিশেষে ১৮০২ সালে পুণাগগনে ধুমকেতুর স্তায় সহসা সসৈন্ত আবিভূত হইলেন। তাহার পুণা আক্রমণের এক বিশেষ কারণ উপস্থিত হইল। র্তাহার ভ্রাতা বিঠোজী কোন এক বিদ্রোহাচরণে ধরা পড়িয়া দণ্ডনীয় হন, বাঙ্গীরাও র্তাহাকে হাতীর পায়ে বাধিয়া নির্দয়ৰূপে তাহার প্রাণদণ্ড বিধান করেন । সিন্ধিয়ার রাজ্য লুণ্ঠন স্থগিত বাপিয়া যশবন্তরাও প্রতিশোধ তুলিবার মানসে পুণার দিকে ধাবমান হইলেন । তাহার গতিরোধ করিবার জন্ত পেশওয়া ও সিন্ধে উভয়ে আলিবেল ঘাটে সৈন্ত প্রেরণ করিলেন, তিনি আর একদিক দিয়া ঘুরিয়া সৈন্ত হস্ত এড়াইয়া পুণার দেড় ক্রোশ পূর্বে আসিয়া তাম্বু গাড়িলেন । দুই দিন পরে দুই সৈন্তের সংঘর্ষণ । ঘোরতর সংগ্রামের পর যশবন্ত জয়ী হইলেন । সিন্ধিয়া কণমান ও অন্তান্ত জিনিষপত্র ফেলিয় রণক্ষেত্র হইতে পলায়ন করিলেন । পুণর পথ উন্মুক্ত। পরদিন ব্রিটিশ রেসিডেণ্ট কর্ণল ক্লোজ সাহেব হোলকরের সহিত সাক্ষৎ করিতে যান । গিয়া দেখেন কর্দমাক্ত ক্ষত বিক্ষত শরীরে অন্ধবীর * এক ক্ষুদ্র তাম্বুতে শয়ান, ঠিক যেন শরশয্যাগত ভীষ্মদেব। হোলকর কর্ণল সাহেবকে পুণায় থাকিবার জন্ত বিস্তর

  • ইতিপূৰ্ব্বে ঘটন। ক্রমে দৈবাৎ বলুক ছুটিয়া যাওয়াতে একচক্ষু হারাইয় ছিলেন। 蠍