পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

५१९** বৌদ্ধ ধৰ্ম্মস্বত্র প্রচারের জন্ত স্তম্ভে শিলা লিপিতে কি ভাষা ব্যবহার করেছিলেন, ংস্কৃত কি ?” “না”— “আচ্ছ সংস্কৃত নয় কেন ? কারণ র্তার সময়ের প্রজাবৃন্দ ও ভাষার একবর্ণও বুঝতে পারত না । অশোকের শিলালিপি সম্বন্ধে আপনি কি অনুমান করেছেন ?” শলৎমুন কহিলেন “আমার বিশ্বাস নান ভাষায় শিলালিপি লেখা হয়েছিল,--যা হো’ক আমরা বাজে কথায় আমাদের অমূল্য সময় বৃথা নষ্ট কচ্চি, আমাদের এ তর্কের শেষ হওয়া খুব শীঘ্র সম্ভব নয় । আজ এইখানেই থাক ।” বাবা একটু দুঃখিত ভাবে কহিলেন “আপনার সঙ্গে কথা কয়ে বড় সুখ পেয়েছিলেম— এখানে এসে কথা কইবার লোক পৰ্য্যন্ত পাইনে, তবে এই নির্জন স্থান পাঠের পক্ষে আমার খুব সাহায্য করেচে।” সন্ন্যাসী কহিলেন “স্বৰ্য্যদেব মধ্যগগন অতিক্রম করে যাচেচন আমি আর বিলম্ব করবনা, আমায় সঙ্গীদের সঙ্গে মিলতে হবে।” বাবা নম্রস্বরে কছিলেন “ভারী দুঃখের বিষয় আমি তাদের দর্শন পেলুম না।” বাবার মুখে ঈষৎ দুঃখিত ও কুষ্ঠিত ভাব দেখিয়া আমি স্পষ্টই বুঝিতে পারিলাম যে বী< তাহার স্কৃতিথির সহিত তর্কে পাছে আতিথ্যের সীমা অতিক্রম করিয়া গিয়া থাকেন সেই ভাবনায় যেন একটু বিচলিত হইয়া পড়িয়াছেন। সন্ন্যাসী আসন ত্যাগ করিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন, কহিলেন "তারা এখন সাধনার উচ্চ সোপানে আরোহণ করেছেন—পৃথিবীর সঙ্গে তাদের কোন খোজ নেই, পাছে লোকসঙ্গ মনের চাঞ্চল্য আনয়ন छाब्रडौ ফাল্গুন, ১৩২৯ করে সেই জন্ত মৌনব্রত অবলম্বন করেছেন। ছয় মাস সমাধিতে থেকে তৃতীয় অবতারের রহস্ত জানবার প্রতীক্ষায় আছেন । হিমালয় থেকে নামবার পূৰ্ব্বেই তারা এই সাধন। আরম্ভ করেচেন । মিঃ হাণ্টার ওয়েষ্ট বিদায়, —আর কখনও আপনার সঙ্গে দেখা হবে না । বড় আনন্দ পেলেম আপনার সঙ্গে কথা কয়ে । আপনার শেষ জীবন আনন্দেই কাটবে, শান্তি ও আনন্দ লাভের যথার্থই আপনি উপযুক্ত অধিকারী । আপনার ভারতবর্ষীয় জ্ঞানচর্চা আপনার দেশের ও সমাজের উপর চিরস্থায়ী প্রভাব বিস্তার করবে। নমস্কার ।” একটুখানি সঙ্কোচের সহিত আমি জিজ্ঞাসা করিগাম “আমার সঙ্গেও কি আপনার আর দেখা হবে না ?” “আমার সঙ্গে যদি সমুদ্রতীর পর্য্যস্ত স্থান তবেই—কিন্তু বোধ হয় আপনি ক্লাস্ত হয়েছেন, সকালে কোথায় বেরিয়েছিলেন না ?” আমি আন্তরিক আনন্দের সহিত উত্তর দিলাম "তা হোকৃ, আপনার সঙ্গ আমাকে খুবই আনন্দ দান করবে।” সন্ন্যাসী আপত্তি না করায় আমি তাহার অনুগামী হইলাম । বাবাও খানিক দূর আমাদের সহিত আসিয়াছিলেন । আমার মনে হইল সেই অমীমাংসিত সংস্কৃত তর্ক আরো খানিকট চালাইতে র্তাহার মনে মনে খুব ইচ্ছা হইতেছিল। কিন্তু পথ চলা ও ও কথা কহ!—এই দ্বিবিধ ব্যায়ামের শক্তি র্তাহার শরীরে না থাকায় তিনি নীরবে চলিতেছিলেন। বাবা ফিরিয়া গেলে সন্ন্যাসী কহিলেন “উনি, মিঃ হাণ্টার ওয়েষ্ট মস্ত २ि६ान शक्लि,-किछु ७मन ' अर्न्त्र (डाक