পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা ও ‘পঞ্চজন শব্দটা পুরুষ পর্যায়ের অন্তভূত দেখিতে পাওয়া যায়। যথা— “মনুষ্য মানুষ মর্ত্য মসুজা মানবানরীঃ । স্বঃ পুমাংসঃ পঞ্চজনীঃ পুরুষঃ পুরুষনিরঃ ॥” . . . . - অমরকোষ । আৰ্য্যদিগের আদি শ্রেণীনাম যে মনুষ্য সাধারণের নামরূপে ভারতবর্ষে পরিণত হইয়াছিল তাহা হইতে আমরা ইহাই বুঝিতে পারি যে প্রাথমিক পঞ্চ বা সপ্ত আৰ্য্যজাতির প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দেশে বিস্তার এবং তাহদের শাখা প্রশাখার সর্বত্র ব্যাপ্তি হুইতে সকলকে একলক্ষণাস্ত দেখিয়া ভারতীয় আর্য্যগণ আর্য্যসাধারণ নামেই র্তাহাদিগকে অভিহিত করত: তাহীদের সহিত আপনাদের সাজাত্যের স্মৃতিরক্ষা করিয়াছিলেন। পক্ষণস্তরে এরূপ অনুমানও করা যাইতে পারে যে আৰ্য্যজাতিকে মনুষ্যের প্রকৃত আদর্শ মনে করিয়াই আমাদের পূৰ্ব্বপুরুষেবা আর্য্যদিগের আদিম জাতীয় নামের দ্বারাই সমস্ত মনুষ্য সাক্ষ্য >* S@ এতদ্দেশপ্রসুতস্ত সকাশীদগ্রঞ্জন্মনঃ ॥ স্বং স্বং চরিত্রং শিক্ষেরন পৃথিব্যাং সৰ্ব্বমানবাঃ ॥” ২• মনুসংহিতা ২য় অধ্যায়। “কুরুক্ষেত্র, মৎস্ত, কান্তকুজ ও মথরা এই কয়ট দেশকে ‘ব্রহ্মষি দেশ" বলে । উক্ত দেশ ব্ৰহ্মীবর্তেরই সন্নিহিত ।” এই সমস্ত দেশসস্তৃত ব্রাহ্মণগণের নিকট হইতে পৃথিবীর যাবতীয় লোক স্বীয় স্বীয় আচার ব্যবহার শিক্ষা করিবে । ‘মতুযPনাম যে প্রথমে আর্য্য আদর্শবাচক নাম ছিল তাহার আরও প্রমাণ এই যে পুরাকালে আমরা অনাৰ্য্যজাতি বা অনাৰ্য্যভাবাপন্ন আর্য্যজাতিকে "মনুষ্য’ নামে অভিহিত দেখিতে পাই না পরস্তু যক্ষ, রাক্ষস, অমুর, দানব, দৈত্য প্রভৃতি স্বতন্ত্র নামেই অভিহিত দেখিতে পাই । এই প্রকারে আমরা দেখিতে পাইলাম যে, মূল আর্যজাতির ঐতিহাসিক নিদর্শন যেমন -ভারতীয় সাহিত্যে বিদ্যমান রহিয়াছে জাতির নামকরণ করিয়াছিলেন। মন্থ- "" সংহিতায়ও এই আদর্শের কথা স্পষ্টরূপেই তেমনই আৰ্য মূলস্থানের ঐতিহাসিক উন্নতি দেখা যায়। যথা— নিদর্শনও ভারতীয় সাহিত্যেই বিদ্যমান Ꮐ কুরুক্ষেত্ৰঞ্চ মৎস্তাঞ্চ পঞ্চালাঃ শূরসেনকাঃ । রহিয়াছে। এধ ব্ৰহ্ম যি দেশে বৈ ব্রহ্মবির্ভাদনন্তরঃ ॥ ১৯ শ্ৰীশীতলচন্দ্র চক্রবর্তী । সাক্ষ্য ( > ) সাগর সেঁচিয়া কেশবে বাসবে সকল রত্ন লুইল হরি, তুমি পেলে শুধু ওগো ভোলানাথ উগ্র গরল কণ্ঠ ভরি ! 3 * ( २ ) সত্যের যুগে এ কথাটি হয়, - না জানি কে দিল রটনা করে, আজিও সাক্ষ্য শিশু সুধাকর রয়েছ যখন ললাটে ধরে । ঐপ্রিয়ম্বদা দেবী ।