পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>&○ァ আছে।” (১) মেগন্থেনিস হইতে উদ্ভূত করিয়া আরিয়ান বলিয়াছেন যে, ইরান্নোবেtয়াস এবং গঙ্গার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত প্রাসিয়ানদের রাজ্যে পালিমবোথু নগরই ভারতবর্ষের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ বৃহৎ । নগর প্রাচীরে ৬৭•ট বুরুজ এবং ৬৪টা দ্বার আছে।” অধ্যাপক ম্যাক্রি গুল বলিয়াছেন যে পঞ্চ ওন্ত্রে “পাড়লিপুত্রের” উল্লেখ দেখা যায়। উইলসন বলিয়াছেন যে পাণ্ডুলিপুত্রই শুদ্ধ উচ্চারণ। পাটলিপুত্রের সন্নিকটস্থ জৈন, মন্দিরে যে, খোদিতলিপি আছে তাহাতে “পাড়লাপুরের” উল্লেখ আছে। “ক্ষেত্রসমাস” নামক ভৌগোলিক পুস্তকে পলিভট্ট নাম দেখা যtয় এবং লঙ্কাদ্বীপে প্রচলিত পুস্তকাদিতে পাটলিপুত্র নাম পাওয়া যায়। স্ব প্রসিদ্ধ গ্রন্থ অশোকাদানে পাটলিপুত্রের নিম্নলিখিত বর্ণনা পাওয়া যায় ঃ– "উৎ যথাসীরাখণ্ডে আৰ্যাবত্ত্বে রশোত্তমে মগধভূপ্রদেশছত্র গঙ্গাতীরে পবিত্রিতে । লগৱং পাটলিপুত্ৰ ভূকান্ত তিলকোত্তম, জভিক্ষ কমলাবাসং সর্বসম্পৎ সমৃদ্ধিতম । সাধুজন সসাকীর্ণং বিদ্বজ্জন নিষেবিতং, সৰ্ব্বদা মঙ্গলোৎসাহ প্ৰবৰ্ত্তনাভি নন্দিতম্। ধৃতিষ্ঠিরণভিক্রান্তং স্ফীতং ক্ষেমং শুম্ভপ্রিয়, সত্যধৰ্ম্মালয় রামম্বরম্যং স্বর্গ সন্নিভম্। " অর্থাৎ আর্য্যবর্তের মগধ প্রদেশে গঙ্গাতীবে সৰ্ব্বসমৃদ্ধিসম্পন্ন সাধুজন সমাকীর্ণ ও বিদ্বজ্জন সেবিত পাটলিপুত্র নামক নগর আছে। পাটলিপুত্রের মুরম্যসৌন্দৰ্য্য সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টিগোচর না হইলেও অশোকাবদানের যাহা দেখিয়াছিলেন তাহাতেই চৈনিক-পরিব্রাজক ফা-হিয়ান “ মুগ্ধ হইয়াছিলেন। ফা-হিয়ান ভারতী ফাল্গুন, ১৩২ • বলিয়াছেন “পাটলিপুত্র মগধের রাজধানী ছিল এবং রাজা অশোক এই স্থানেই রাজত্ব করিতেন । নগরস্থ রাজ প্রাসাদের ভিন্ন ভিন্ন অংশগুলি রাজাদেশে দৈত্যগণ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এখনও রাজপ্রাসাদের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয় এবং তাহ হইতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, রাজ প্রাস দান্তর্গত প্রাচীর, দ্বারগুলি এবং স্থপতিকার্য্য মনুষ্যের দ্বারা সম্পন্ন হয় নাই ।” অদ্যতম পর্য্যটক হিউয়েন-সিয়াং বলিতেছেন “গঙ্গার দক্ষিণে প্রায় সত্তরলি বিস্তৃত একটা পুবাতম নগর আছে। এক্ষণে ইহা জনশূন্ত হইলেও অস্থাপিও ইহার প্রাচার দণ্ডায়মান রহিয়াছে। রাজ প্রাসাদে অনেক পুষ্পবৃক্ষ ছিল, বলিয়া পূৰ্ব্বে ইহা কুসুমপুর নামে অভিহিত হইত। বহুকাল পরে ইহার নাম পরিবৰ্ত্তিত পাটলিপুত্রে পরিণত হইয়াছে।” হিউয়েনসিয়াং এই নাম প্রসঙ্গে বলিয়াছেন Q8—– झ इंप्री "অনেকদিন পূৰ্ব্বে এক বিদ্বান ব্রাহ্মণ এইস্থানে বাস করিতেন। অনেক বিদ্যাগী তাহার নিকট অধ্যয়ণার্থ গমন করিত । একদিন ছাত্র সকল একত্র হইয়। অন্যত্র ভ্রমণার্থ গমন করিয়াছিল ; সেই সময় তাহীদের একজন অত্যন্ত বিমৰ্ষভাবে কলিযাপন করিতেছিল । কারণ জিজ্ঞাসা করিলে ছাত্রট উত্তর করিল যে,"আমার যৌবন-সীমা অতিক্রান্ত হইতে চলিল ; কিন্তু, এ পর্য্যন্ত আমি “ধৰ্ম্মরক্ষা" করিতে সমর্থ হইলাম না ; এই জন্যই আমি এত বিমর্ষ।” অস্তান্ত ছাত্রের এই কথা শ্রবণ করিয়া পরিহাসপূর্বক তাহাম্বের সহtধ্যায়ীকে বলিল যে "এ ক্ষেত্রে • আমরা অবস্তই তোমার জন্তু পাত্রী আম্বেষণ করিব।” তৎক্ষণাৎ (১) মৎসম্পাদিত “সমসাময়িক ভারত" প্রথম কল্প. দ্বিতীয় খণ্ড ও তৃতীয় খণ্ড দ্রষ্টব্য।