পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা লাভ করিয়াছে, তেমনি নিভৃত মৃদুব “পরাদৃশু”, “পোড়ো ঘাট” “ঝাউবন” “গরিব মুটে”র উপরও র্তাহার দৃষ্টি বিমুখ হয় নাই। ললিত সরলভাবে নিরপেক্ষ কবির মেহরসম্পর্শে সেগুলিও অপুৰ্ব্ব গৌরবে গরীয়ান হইয় উঠিয়াছে ! "পোড়ো ঘাট’কে সম্বোধন কবিয়া কবি বলিতেছেন, “কাহার স্বপন তুই দেখিছিস বসে হেথ৷ কার গীত মনে পড়ে তোর ? কার স্মৃতিগুলি ধীরে আকুল ব্যাকুল হৃদে কেহ নাই, এক, স্তব্ধ ঘোর । রহিছিস কার-ভাবে ভোর। 事 家 * আসেনাকে আর পাস্থ আসেনকে আর হেথ রূপসীরা নুপুর-চরণে খেলেনাকে হেথা আর শিশুগুলি ফুল লয়ে মত্ত শুধু ঢেউগুল রণে । . * 漆 -- অলস কনক পাখী খেলে মেঘ বায়ুকোণে হাসিয়া আকাশ দেখে খেল । গেয়ে যায় পার্থী গান চলে চায় দিগন্তরে হেসে খেলে কাটায় রে বেল । . তুই শুধু এক হেথ স্বপন-আসনে বসে অজান মরম কথা ধরে, রয়েছিল ভাঙা বুকে । টুটে গেছে আশা বুঝি, নাহি বুঝি মায়া আর ওরে। এবে তোর পরাণের পরে ? পোড়ো ঘাটের ভগ্ন ইষ্টক-স্তপের উপর কবির যে অশ্রুধাবা ঝরিয়া পড়িয়াছে, তাহাতে বাটের সমৃদ্ধি-সৌভাগ্যের ইতিহাস কি দীপ্ত করুণ রাগে উজ্জ্বল বর্ণে ফুটিয়া উঠিয়াছে ! ‘নেীকা’য় বসিয়া কবি পল্লীব যেটুকু দুগু দেখিয়াছেন, তাহাও সুনিপুণ ফটোগ্রাফের মত তিনি সকলের চক্ষের সম্মুখে ধরিয়াছেন।. সাহিত্য-প্রসঙ্গ ১২৫৭ কতটুকু ! তবু সমস্ত পল্লীর সাড়া এই ছন্দে মুরে কেমন ধ্বনিয়া উঠিয়াছে ! “কৃষক লাঙ্গল ধীরে আঁকা বাক মেঠে পথে চলে চtয় গ্রামে ত্বর ; ছায়াময় গাছতলে দূর হতে উকি মারে, গ্রামগুলি ঘেরা-ঘোরা ।

  • ‘গোয়াল-পোড়া’ দেখিয়া কবি গাহিয়াছেন, সেখানে ‘চক্র-ঘর্ঘব’ নাই, জন-কোলাহল নাই, আছে শুধু পত্ৰমৰ্ম্মর—বাশবনে সমীর-শব্দে কবি বঁাশরীব রব শুনিতে পান, এই সকল মুরের মধ্য দিয়া ছায়া-আলোকের মধুর সম্পাতে র্তাহার মনে হয়, “গ্রামগুলি স্বপ্নময় !” কবিব মুটে বলিতেছে,—
  • বহিয়া সহিয়া বহে দর দর ঘৰ্ম্ম । তাহে সুস্থ মুখী আমি করে করে কৰ্ম্ম ॥” দুই-একটি ইঙ্গিতে অনেকখানি ফুটাইয়া তোলা প্রতিভাবান লেখকের বিশেষত্ব । কবি তাহাতে বহু স্থলেই সফলতা লাভ করিয়াছেন । তাহার ভাষা সবল, কোথাও তিনি ছন্দে কথায় সযত্ন কারিকুরির চেষ্টা করেন নাই –হালক। তরঙ্গে ভাব-বরিধি পাঠকের হৃদয়-তটে উছলিয়া পড়ে ! সে তরঙ্গে লীলা ভঙ্গ আছে, সে তবঙ্গ কুলকুল-নিনাদে বহিয়া চলিয়াছে—তাহাতে গভীর গর্জন নাই ! নিতান্তই সে শাস্ত ধীব স্রোত ! সে স্রোত

কোথাও অস্পষ্টতার জঞ্জালে বাধা পায় নাই । কবিব রচনায় এমন একটি অনাড়ম্বর লালিত্য আছে যে র্তাহাকে নিতান্তই ঘরের লোক বলিয়া মনে হয়। উদ্ধৃত দুই-চারিটি কবিতা-থ গু হইতে আমরা ভাবের সরল তা ও কোমলতার পরিচয় পাইয়াছি। এরূপ বহু কবিতা কোমলহার