পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা মেয়ের ১৬ কিম্বা ১৭ বৎসবের আগে বিবাহ দেওয়া উচিত নয়। ১৬ জন ডাক্তারেব মত নেওয়া যায় তার মধ্যে কেবল একজন (ডাক্তার চন্দ্র) এ দেশে স্ত্রী লোকের বিবাহের বয়স অনুন ১৪ বৎসব নির্দেশ করেন। এই সকল পণ্ডিতের মত এই যে স্ত্রীলোক স্ত্রীধৰ্ম্ম প্রাপ্ত হলেই সে সস্তান ধারণের উপযুক্ত হয় তা নয়। আরো দুতিন বৎসর অতীত হলে তবে তাদের প্রসবেব উপযোগী অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। এ থেকে প্রমাণ হচ্চে যে আমাদের দেশে বিবাহের নিয়ম প্রাকৃতিক নিয়মের বিরোধী । যেখানে স্ত্রীর যৌবনাবস্থা হওয়া পর্যন্ত পিতৃগৃহে বাস করা রীতি আছে যেমন মারাঠা দেশেব কোন কোন স্থানে দেখেছি, সেখানে অবশ্য বাল্য-বিবাহেব দোষ অনেকটা খণ্ডন, হয় কিন্তু আমাদের দেশে বালক বালিকার বিবাহের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মত একত্র সহবাসের যে নিয়ম আছে তাব চেয়ে অনিষ্টকর কুৎসিৎ নিয়ম আর কি হতে পারে ? প্রথিতনাম ডাক্তার চুনীলাল বস্তু তাহার নব প্রকাশিত ‘শাবীর স্বাস্থ্য বিধান’ বিষয়ক পুস্তিকায় বাল্য-বিবাহ সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন তাহ আমাদের সকলেরই প্রণিধান যোগ্য। র্তাহার বক্তব্য এইঃ– “আমাদের সমাজের বর্তমান অবস্থায় এই তত্ত্বটুকু বিশিষ্টভাবে হৃদয়ঙ্গম করিবার প্রয়োজন উপস্থিত হইয়াছে। যে বয়সে, যে অবস্থায় এবং যে ভাবে আমাদের দেশে পুত্র কন্ত জন্মিতেছে, তাহাতে তাহারা যে ক্ষীণশক্তি, চিরকুঞ্জ ও অল্পজীবী হইবে, তাহাতে আমার বোম্বাই প্রবাস ১২৬৩ : আব বিচিত্র কি ? পিতামাতার দেহ পূর্ণভা লাভ করিবার বহুদিন পূৰ্ব্বেই তাহাদিগের দেহে ইন্দ্রিয়ুসেবা জনিত ক্ষয়ের আরম্ভ হইয়া থাকে। প্রথমতঃ ২৫ বৎসরের মুনে পুরুষের দেহ পুর্ণতা লাভ করে না ; ইহার পূর্বে তাহার বিবাহ হইলে অপূর্ণদেহ হইতে সবল এসস্তান লাভ করিবার আশা দুরাশা মাত্র । তদুপরি সাংসারিক অসচ্ছলতা হেতু শারীরিক এই অপূর্ণতা আরো অধিক পরিমাণে আমাদিগের যুবকবৃন্দের মধ্যে বিদ্যমান থাকে। বালিকাগণের যে বয়সে বিবাহ হয় এবং যে বয়সে তাহারা জননীপদগৌরব লাভেব অধিকারিণী হইয়া থাকে, তাহ। ভাবিয়া দেখিলে এই জাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বিশেষ দুর্ভাবনা উপস্থিত হয়। এই সকল দুগ্ধপোষ্য বালিকাদিগের গর্ভ হইতে যে সন্তান উৎপন্ন হইবে, তাহার যে কথন জীবনে শৌর্য্য বীৰ্য্যের পরিচয় দিতে পারিবে এরূপ আশা করা বাতুলের কার্য মাত্র। আমাদের দেশে শিশুদিগের মৃত্যুসংখ্যা যত অধিক, পৃথিবীর অপর কোন দেশে সেরূপ দেখিতে পাওয়া যায় না। বহুদৰ্শী চিকিৎসকদিগের মত এই যে, অপরিণত পিতামাত হইতে উদ্ভূত বলিয়াই এই সকল শিশুদিগের জীবনী শক্তি এত অল্প এবং সামান্ত কারণেই উহার রোগগ্ৰস্ত ও মৃত্যুমুখে পতিত হইয় থাকে । আর যাহার বাচিয়া থাকে তাহারাও কোন রূপে দুৰ্ব্বহ জীবনভার বহন করিয়া জীবনের নির্দিষ্টকাল অতিক্রম না করিতেই মৃত্যুমুখে পতিত হয় । আমাদের বালিকাগণ অল্পবয়সে সন্তান প্রসব করিয়া অকালে মৃত্যুমুখে পতিত্ব