পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>રે છ8 হইতেছে অথবা তজ্জনিত ব্যাধি হইতে আজন্ম कटे *श्८ि७८छ्, देशग्न छूग्नि छूहि झूठेखि ७ দেশীয় চিকিৎসকদিগের অগোচরনাই । অথচ আমরা এমনি অল্পবুদ্ধি যে জানিয়া শুনিয়া আমাদিগের কস্তা ও ভগিনীগণকে মৃত্যুমুখে অগ্রসর হইবার পথ পরিস্কার করিয়া দিতেছি । অধ্যয়ন সমাপ্ত হইবার পূৰ্ব্বে বালকদিগের, বিবাহ দেওয়া একান্ত অনুচিত। সাধারণতঃ ২৪২৫ বৎসরের পূৰ্ব্বে বিদ্যাশিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না। প্রাচীন ভারতেও এই বয়স পর্য্যন্ত গুরুগৃহে থাকিয়া অধ্যয়ন সমাপ্ত করিত। সুতরাং ইহার পূৰ্ব্বে বালকের বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শ্রেয়স্কর নহে । ইহাতে স্বাস্থ্যভঙ্গ ব্যতীত আরো অনেক সামাজিক অনিষ্ট সাধিত হয় । শিক্ষাবস্থায় বিবাহ হইলে বিদ্যাশিক্ষা সম্বন্ধে যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটে, শিক্ষা শেষ হইবার পূৰ্ব্বে পুত্র কস্তা জন্মিলে, তাহদিগের ভরণপোষণ চিন্তায় উদ্বিগ্ন হইতে হয়, অর্থের প্রয়োজন হেতু জীবনের উচ্চ আকাজ অনেক সময়ে স্বপ্নে পরিণত হয় এবং অবস্থাবৈগুণ্যে সামান্ত উপজীবিকার জন্ত পরের দাসত্ব স্বীকার করিয়৷ আত্মসন্মান ও মমুষোচিত সদগুণাবলীকে চিরবিদায় প্রদান করিতে হয়। শুশ্ৰতের মতে ২৫ বৎসরের পুৰ্ব্বে পুরুষের এবং ১৬ বৎসরের পূৰ্ব্বে কস্তার বিবাহ দেওয়া একান্ত অনুচিত এবং ইহা নিশ্চিতরূপে বলা যাইতে পারে যে উচ্চবর্ণের মধ্যে প্রাচীন ভারতের প্রথা আমাদের সমাজে পুনঃ প্রচলিত হইলে আমাদের জাতি যে অর্থসামর্থ্য ও পূৰ্ব্বগৌরব লাভের অধিকারী হইতে পারিবে, ইহাতে কোম সন্দেহ নাই।” ভারতী ४कख, २७२० বালক বালিকার অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ সজঘটন যদি প্রকৃতি ও বিজ্ঞানের নিয়মের সম্পূর্ণ বিপরীত হয় তবে এত অল্প বয়সে বিবাহ দিতে পিতামাতার এত আগ্ৰহ কেন ? অ প্রাপ্তবয়স্ক পুত্রকষ্ঠার উপর এইরূপ অধিকার খাটিয়ে তারা ভাল কাজ—ম বাপের উপযুক্ত কাজ করেন কি ? যে বয়সে সন্তানের স্বাধীন ইচ্ছা পরিস্ফুটিত হয়নি— নিজের মতামত দেবার ক্ষমতা জন্মে না, সে বয়সে চিরজীবনের মত তাদের উদ্বাহশৃঙ্খলে বেঁধে দিয়ে কি তারা সুবিবেচনার কার্য্য করেন ? আমি একথা বলচি নে যে, পুত্র কস্তার বিয়েতে পিতামাতার অধিকার নেই— হস্তক্ষেপ করবার আবশুক নেই। আমি বলি নিদেন এইটুকু বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত যে বয়সে মেয়ে পুরুষ আপনারা জেনে শুনে বিবাহ করতে পারে, বিবাহে আপনার ইচ্ছানিচ্ছা প্রকাশ করতে পারে। যে বয়সে তারা বিবাহের মৰ্ম্ম বুঝতে ও নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করতে অসমর্থ সে বয়সে তাদের বিবাহ ঘটিয়ে দেওয়া অন্তায় । কস্তার উপর পিতামাতার যতই অধিকার থাকৃ না কেন তবুও দেখতে হবে যে সে স্বাধীন ইচ্ছাবিশিষ্ট জীব—ঘটী বাটীর মত ব্যবহারের জিনিষ নয় । তার স্বাধীনতাটুকু যতদূর বজায় রাখা যেতে পারে তা করা কর্তব্য । যে সামাজিক নিয়ম তার প্রতি একেবারেই লক্ষ্য করে না অথবা যার প্রভাবে তা সমুলে বিনষ্ট হয় সে নিয়ম কখন হিতাবহ হতে পারে না । e আমি বিবাহ সম্বন্ধে দুইটি মূলতত্ত্ব বলতে চাই, তার প্রতি সমাজপতিদের দৃষ্টি রাখা